টাঙ্গাইল শহরের কান্দাপাড়া যৌনপল্লিতে অগ্নিকাণ্ডে তিনটি বাড়ির ২২টি ঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। 

শনিবার (২৮ জুন) বেলা ১১টার দিকে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 

আগুনে যৌনকর্মীরা নিঃস্ব হয়েছেন। তারা সরকারি সহায়তা কামনা করেছেন। 

দুপুর ১২টার দিকে সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্তদের সান্ত্বনা দেওয়ার পাশাপাশি তাদেরকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার বেলা ১১টার দিকে যৌনপল্লির একটি ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তা মুহূর্তের মধ্যে আশপাশের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে কেউ হতাহত হননি।

ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, আগুনে তাদের ঘরের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা না পেলে তারা এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন না।

টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এস এম হুমায়ন কার্নায়েল বলেছেন, বেলা সোয়া ১১টার দিকে আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে আসি। প্রথমে দুটি ইউনিট নিয়ে কাজ শুরু করলেও পরে চারটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পাশের পুকুরে পর্যাপ্ত পানি থাকায় এবং স্থানীয়রা সহযোগিতা করায় কম সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দিনের বেলায় অগ্নিকাণ্ড ঘটায় সহজেই আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগেছে। আনুমানিক ১৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত করা হবে।

ঢাকা/কাওছার/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ না থামালে ‘কঠোর পরিণতির’ হুমকি ট্রাম্পের

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার জন্য আগামীকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় বৈঠকে বসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওই বৈঠকের পর পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে রাশিয়াকে ‘খুব কঠোর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। খবর সিএনএনের।

বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকের পর ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া শীর্ষ বৈঠকে তিনি যুদ্ধবিরতি চাইছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, পুতিনের সঙ্গে এর আগে তার ‘ভালো আলোচনা’ হয়েছিল। তবে বাড়ি ফেরার পর খবর পান- ‘একটি রকেট কোনো নার্সিং হোমে গিয়ে পড়েছে বা কোনো অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আঘাত করেছে, আর রাস্তায় পড়ে আছে মৃত মানুষ।’ এই বাস্তবতা তার অবস্থানকে আরও কঠোর করেছে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।

আরো পড়ুন:

শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনকে রাখতে হবে: ইউরোপ

ইউক্রেনের সু-২৭ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্টের নথি ব্যবস্থাপনা করা কম্পিউটার সিস্টেম রাশিয়া হ্যাক করেছে বলে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তা নিয়েও শুক্রবারের বৈঠকে পুতিনকে প্রশ্ন করার ইঙ্গিত দেন ট্রাম্প। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তাদের হ্যাক করা নিয়ে আপনি কি অবাক হচ্ছেন?”

পুতিনের সঙ্গে ভবিষ্যতে আরেক দফা বৈঠকের সম্ভাবনাও উত্থাপন করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, যদি প্রথম বৈঠকটি ইতিবাচক হয়, তবে দ্রুতই দ্বিতীয় বৈঠক আয়োজন করা হবে, যেখানে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও থাকতে পারেন। “আমি প্রায় তাৎক্ষণিকভাবেই এই বৈঠক করতে চাইব, যদি তারা আমাকে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়,” যোগ করেন তিনি।

তবে ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেন, প্রথম বৈঠকে যদি তিনি প্রত্যাশিত বক্তব্য না শোনেন, তাহলে দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে না।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ