কলম্বো টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কত্ব ছাড়ার পেছনে- তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক বাস্তব সম্মত ধারণা নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। দলের ভালোর জন্য তাই সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার ঠিক আগে শান্তকে বোর্ড থেকে জানানো হয় ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে তারা মেহেদী মিরাজকে ভাবছেন। এরপরই মিরাজকে ওয়ানডের অধিনায়ক করা হয়। শান্ত তখনই ক্রিকেট পরিচলনা বিভাগকে জানিয়ে গিয়েছিলেন, টেস্টের নেতৃত্বে তিনি থাকবেন না।

কথা মতো, দায়িত্বও ছেড়ে দিয়েছেন। প্রশ্ন হলো- তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক ধারণায় শান্ত বিশ্বাসী নন কেন। প্রধান কারণ মনে করা হচ্ছে- ড্রেসিংরুমের শান্তি নষ্ট হওয়া। গ্রুপিং তৈরি হওয়া এবং অধিনায়কদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়া। 

হয়তো ওয়ানডে ফরম্যাটের অধিনায়ক পছন্দ মতো কোন ক্রিকেটারকে দলে ডাকছে। কয়েক জন তার প্রিয় বা কাছের ক্রিকেটার হয়ে যাচ্ছেন। টেস্ট অধিনায়ক তাদের আবার পছন্দ করছেন না। টি-২০ অধিনায়ক আবার টেস্ট দলের কোন ব্যাটার বা বোলারকে টি-২০ জন্য কার্যকর নাও মনে করতে পারেন। 

পূর্বেও বিসিবি একবার তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক প্রথা চালু করেছিল। তখন টি-২০ অধিনায়ক ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ওয়ানডের নেতৃত্বভার ছিল মাশরাফির কাঁধে। টেস্ট দলকে নেতৃত্ব দিতেন সাকিব আল হাসান। ওই সময়ের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ সুখকর ছিল না বলেও মনে করা হয়। 

শান্তও পূর্বের ওই অভিজ্ঞতার কথা ইঙ্গিত করে টেস্ট নেতৃত্ব ছাড়ার কারণ হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমি বিগত কয়েকটা দলের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করেছি। আমি মনে করি, তিন আন্তর্জাতিক ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক বাস্তব সম্মত না।’ 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফরম য ট

এছাড়াও পড়ুন:

ডিমে শিশুর অ্যালার্জি কেন হয়, কীভাবে বুঝবেন, সমাধান কী

কেন হয়

শিশুদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা পুরোপুরি গড়ে না ওঠায় অনেক সময় ডিমের প্রোটিনকে শরীর ‘অচেনা’ বা ক্ষতিকর হিসেবে ভুলভাবে শনাক্ত করে। ফলে ঠিক যেভাবে রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধব্যবস্থা কাজ করে, একই ধরনের প্রতিক্রিয়া এখানে সৃষ্টি হয়। এই প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবেও হতে পারে, আবার অনেক ক্ষেত্রে কয়েক ঘণ্টা পরেও দেখা দিতে পারে।

লক্ষণ 

ত্বকে লাল লাল চাকা, একজিমা।

পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব বা মুখের চারপাশে চুলকানো।

সর্দি, শ্বাস নেওয়ার সময় শোঁ শোঁ শব্দ, শ্বাসকষ্ট হওয়া।

দ্রুত হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ কমে যাওয়া। 

অ্যানাফাইলেকসিস শক। 

আরও পড়ুনডিম দিনে কয়টি ও কীভাবে খাবেন০৫ জুলাই ২০২৫রোগনির্ণয় 

শিশুকে প্রথম ডিম খাওয়ানোর সময় অ্যালার্জি উপসর্গ বোঝা যায়। 

চিকিৎসক যদি মনে করেন ডিম বা ডিমযুক্ত খাবার খেলে অ্যালার্জি হয়, তবে তা স্কিন টেস্ট করে নিশ্চিত হতে পারেন।

চিকিৎসা

ডিম ও ডিমযুক্ত খাবার না খাওয়া। 

অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া দমনে অ্যান্টি হিস্টামিন, মারাত্মক অ্যানাফাইলেকসিসে শক ইনজেকশন এপিনেফ্রিন ব্যবহার।

● ডিমে অ্যালার্জি থাকলে কিছু খাদ্য উপাদান পরিহার করা যেমন—এলবুমিন, গ্লোবুলিন ইত্যাদি।

অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

আরও পড়ুনডিমের কমলা, না হলুদ কুসুম—কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ