বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের নাগরিক অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত রাজশাহী স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি ৩৮ দফা দাবি উত্থাপন করেছে। শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই দাবিসমূহ উত্থাপন করে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে, রাজশাহী নগরবাসীর নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হোল্ডিং ট্যাক্স কমানো, ট্রেড লাইসেন্স ফি হ্রাস, অটো ও অটোরিকশার নিবন্ধন ফি কমানো, নগরের ব্যস্ততম স্থানে অটো সিগন্যাল লাইট চালু, রাজশাহীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, রেশম শিল্পের বিকাশ, খেলাধুলার জন্য মাঠ নির্মাণসহ মোট ৩৮টি দাবি তুলে ধরা হয়।

সংগঠনের নেতারা বলেন, এই দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে রাজশাহীর নাগরিক জীবনের মান উন্নয়ন ঘটবে এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে। এসব দাবি আদায় করতে নাগরিক সমাজকে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। দাবি বাস্তবায়নের জন্য তারা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতা কামনা করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের আহ্বায়ক এনামুল হক, সদস্য সচিব মাহফুজুল হাসনাইন হিকোল, সদস্য সচিব, রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জমশেদ আলী, রাজশাহী চেম্বারের সহসভাপতি সুলতান মাহমুদ সুমন, জাতীয় মহিলা পরিষদের জেলার সভাপতি কল্পনা রায়, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল হোসেন।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

টাঙ্গাইলে জুয়ার আসর থেকে গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাসহ ৩৪ জনের জামিন

টাঙ্গাইলে জুয়ার আসর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতিসহ ৩৪ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাদল কুমার চন্দ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে সুশীল সমাজ ও সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। জুয়া প্রতিরোধ-বিষয়ক আইনটি আরো কঠোর করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এর আগে, মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতে শহরের ভিক্টোরিয়া রোডে অবস্থিত শতাব্দী ক্লাব থেকে জুয়া খেলার সময় গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪১০ টাকা, জুয়া খেলার বিভিন্ন সরঞ্জাম ও দুইটি খালি মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। পরে বুধবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে জুয়ার আসর থেকে বিএনপি নেতাসহ আটক ৩৫

জনগণ প্রচলিত রাজনীতির পরিবর্তন চাইছে: তারেক রহমান

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, সাবেক জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক দেওয়ান শফিকুল ইসলাম, কালিবাড়ি এলাকার বিধুণ ভূষণের ছেলে রক্ষিত বিশ্বজিৎ, সবুর খান বীর বিক্রমের ছেলে মো. শাহ আলম খান মিঠু, দিঘুলিয়ার জসিম উদ্দিন, বাঘিলের গোলাম মাওলা, থানাপাড়ার শাহিন আহমেদ, আবু জাফর খান, বিশ্বাস বেতকার মো. আব্দুর রশিদ, আকুর টাকুর পাড়ার মঈন খান, করটিয়ার ইসমাইলের ছেলে মোস্তফা কামাল।

এছাড়া আরো আছেন, সাবালিয়া এলাকার বিশ্বনাথ ঘোষ, একে এম মাসুদ, বেতকার শিপন, মহব্বত আলী, বিশ্বাস বেতকার আশিকুর রহমান, রফিক, আখতারুজ্জামান, বেপারী পাড়ার এস এম ফরিদ আমিন, কবির হোসেন, আদালত পাড়ার মোশারফ উদ্দিন, রফিকুল, বিশ্বজিৎ, হাসান আলী, ঘারিন্দা এলাকার হাবিল উদ্দিন, আকুর টাকুর পাড়ার জাহিদ, থানা পাড়ার প্রিন্স খান, সৈয়দ শামসুদ্দোহা, পাড় দিঘলিয়ার সাদেকুর, কাজিপুরের সেলিম, আদালত পাড়ার শাহ আলম, সিরাজুল, আদি টাঙ্গাইলের শফিক, আশেকপুর এলাকার আরমান ও ছয়আনি পুকুর পাড় এলাকার শামসুল হক।

গালা গ্রামের ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, “এই জুয়া খেলে অনেক পরিবার নিঃস্ব হচ্ছে। তারপরও দেশ থেকে জুয়া বন্ধ হচ্ছে না। জুয়ার আইনটি আরো কঠোর করার দাবি জানাচ্ছি।”

শহরের সন্তোষের আবু হানিফ বলেন, “এই জুয়া মামলায়ই মনে হয় আদালতে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আসামীরা জামিন পেয়ে যায়। অথচ এই জুয়ায় আসক্ত হয়ে অনেকে অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। অপরাধ কমাতে ও অনেক পরিবার রক্ষায় আইনের বিষয়টি সরকারকে ভেবে দেখা উচিৎ।”

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানবীর আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতে সেনাবাহিনী শতাব্দী ক্লাবে অভিযান চালিয়ে জুয়ার আসর থেকে বিএনপি নেতাসহ ৩৪ জনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।”

টাঙ্গাইল আদালত পরিদর্শক লুৎফর রহমান বলেন, “দুপুর পৌনে ১টার দিকে আসামিদের আদালতে আনা হয়। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।”

ঢাকা/কাওছার/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ