গত পবিত্র ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে তানিম নূরের ‘উৎসব’ আর সঞ্জয় সমাদ্দারের ‘ইনসাফ’। তবে গতকাল শুক্রবার হঠাৎই ‘উৎসব’ সিনেমার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয় ‘ইনসাফ’ নির্মাতা সঞ্জয় সমাদ্দারকে। কিন্তু কেন?
‘উৎসব’ সিনেমার ফেসবুক পেজ থেকে লেখা হয়, ‘সিনেমাটা আপনারা এই ঈদে সিনেমা হলে দেখতে পারতেন না, যদি পরিচালক সঞ্জয় সমাদ্দার না থাকতেন। ঠিক তা–ই; হয়তো শুনে অবাক লাগছে আপনাদের। সঞ্জয় সমাদ্দার তো “উৎসব” টিমের কোনো কিছুতেই জড়িত ছিলেন না, সে ক্ষেত্রে তিনি না থাকলে “উৎসব” সিনেমা হলে দেখতে না পারার সম্পর্কটা কোথায়?’

দীর্ঘ পোস্টে দেওয়া হয়েছে এর ব্যাখ্যাও। ‘সিনেমার পোস্টপ্রোডাকশনের জন্য এখনো বাংলাদেশের বেশির ভাগ সিনেমাকে যেতে হয় পাশের দেশ ভারতে। এডিটফিক্স নামের প্রতিষ্ঠানে বেশির ভাগ সিনেমার পোস্টপ্রোডাকশনের কাজ চলে। “উৎসব” ও “ইনসাফ”—দুটো সিনেমারই পোস্টপ্রোডাকশনের কাজ সেখানেই চলছিল। “উৎসব” সিনেমার ফাইনাল ভার্সন রেডি হলে ঈদের কয়েক দিন আগে পরিচালক তানিম নূর ও প্রযোজক কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের কলকাতায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভিসাসংক্রান্ত জটিলতায় তারা কলকাতায় যেতে পারলেন না। পুরো “উৎসব” টিমের মাথায় হাত! এখন উপায়? তখনই জানা যায়, সেই মুহূর্তে পরিচালক সঞ্জয় সমাদ্দার কলকাতায় অবস্থান করছেন তাঁর সিনেমা “ইনসাফ”-এর চূড়ান্ত সংস্করণ দেশে আনার জন্য। তাঁকে অনুরোধ করতেই তিনি সানন্দে রাজি হয়ে যান আর “উৎসব”-এর হার্ডড্রাইভটি সঙ্গে করে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন।’ লিখেছে ‘উৎসব’ টিম।

‘উৎসব’ সিনেমার পোস্টার। নির্মাতার সৌজন্যে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইনস ফ

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরের লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে চলছে

বন্দরের ঐতিহ্যবাহী লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে মেতে উঠেছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। যে খাল দিয়ে এক সময় শীতলক্ষা-বহ্মপুত্র নদীতে সংযোগ ছিল।

সেই ঐতিহ্যবাহী খালটি অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেছে ওই সকল ভূমিদস্যুরা।

খালটি দখল হয়ে যাওয়ার কারনে পয়নিষ্কাশনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত স্থানীয়রা। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উল্লেখিত খাল দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা ।

এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে,  বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও  সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ ও সানাউল্লাহ সানু এবং বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের মদদপুষ্ট হয়ে আদর্শ বিদ্যানিকেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে খাল দখল করে রাস্তা বানিয়েছে।  

তেমনি ভাবে গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে  পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া  খালটি ভরাট করার কারনে  বন্দর ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের কদমতলীসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ড্রেজার দিয়ে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমি ভরাট করতে গিয়ে সরকারি খাল দখল করে নিয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই।

বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন সৈকত জানান,  এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে  একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি। 

এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

প্রভাবশালী মহল ও ভূমিদস্যুদের কর্তৃক দখলকৃত খালটি উদ্ধার করে পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা  করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।  
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে দুর্গোৎসব: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
  • দেবী দুর্গার বিদায়ের সুরে রাজশাহীতে প্রতিমা বিসর্জন
  • ঢাকঢোল বাজিয়ে চট্টগ্রামে প্রতিমা বিসর্জন, বৈরী আবহাওয়ায়ও মানুষের ঢল
  • অশুভের বিরুদ্ধে শুভ শক্তির জয় হোক: হাওলাদার
  • দর্পণ বিসর্জন: মণ্ডপে মণ্ডপে বিদায়ের সুর
  • উৎসবের আনন্দে ভরা পূজার মেলা
  • বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই পর্যটকের ঢল, বিকেলে প্রতিমা বিসর্জন উৎসব
  • বিজয়া দশমীতে আজ শেষ হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব
  • ড. ইউনূসকে অসুর রূপে উপস্থাপন নিন্দনীয়: উপদেষ্টা 
  • বন্দরের লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে চলছে