এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব পেতে পারে নৌবাহিনী
Published: 29th, June 2025 GMT
নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহায়তা নেওয়ার চিন্তা করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে নৌ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে আসেন। এ সময় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদও ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে সভায় বিষয়টি নিয়ে গতকাল আলোচনাও হয়। সেখানে জানানো হয়, সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলে এ ব্যাপারে শিগগির সিদ্ধান্ত জানাবে মন্ত্রণালয়।
আগামী ৬ জুলাই এনসিটির বর্তমান অপারেটর সাইফ পাওয়ার টেকের সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষের চুক্তি শেষ হবে। এর পরে নতুন অপারেটর দেশি, নাকি বিদেশি হবে– সেটি ঠিক করবে সরকার। মধ্যবর্তী এই সময়টাতে নৌবাহিনীর সহায়তায় এনসিটি পরিচালনা করতে চায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
জানতে চাইলে বন্দর সচিব মো.
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে নিয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টা গতকাল সকালে বন্দর পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীও।
দুই উপদেষ্টা যখন সভা করছিলেন, তখন বন্দর ভবনের সামনে পালিত হচ্ছিল রোডমার্চ কর্মসূচি। বামপন্থি দল ও সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি চলছে। শুক্রবার শুরু হওয়া দু’দিনের এ কর্মসূচি শেষ হয়েছে গতকাল। আন্দোলনকারীদের অন্যতম দাবি, নিউমুরিং টার্মিনালসহ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশিদের হাতে দেওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করা।
এনসিটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় টার্মিনাল। এই টার্মিনালে পাঁচটি জেটি রয়েছে। এই পাঁচ জেটির চারটিতে সমুদ্রগ্রামী জাহাজ নোঙর করে। একটি জেটিতে অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী জাহাজ নোঙর করতে পারে।
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের চেয়ারম্যান এস এম আবু তৈয়ব জানান, নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ডের হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে বিগত সরকার। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এ প্রক্রিয়া এগিয়ে এনেছে। আগামী নভেম্বরে চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সহযোগী ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) এ টার্মিনালে ট্রানজেকশন অ্যাডভাইজার বা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে। চুক্তির আগ পর্যন্ত টার্মিনালটি নৌবাহিনীর সহায়তায় পরিচালনা হতে পারে।
এনসিটি টার্মিনালের চারটি ও সিসিটি টার্মিনালের দুটি জেটি ১৭ বছর ধরে আছে সাইফ পাওয়ার টেকের হাতে। প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র ছাড়া সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতেই তাদের কাজ দেওয়া হয়েছে ১১ বার। প্রতিবছর চট্টগ্রাম বন্দরের হ্যান্ডল করা কনটেইনারের ৬২ শতাংশ এককভাবে ওঠানামার কাজ করে সাইফ পাওয়ার টেকের অধীনে থাকা ছয়টি জেটি। বাকি ৩৮ শতাংশ কনটেইনার হ্যান্ডল করে অন্য জেটিগুলো।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট এনস ট গতক ল সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ