রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজে ভর্তি, এসএসসি–এইচএসসিতে জিপিএ ৬.৫০ হলে আবেদন
Published: 29th, June 2025 GMT
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ইঞ্জিনিয়ারিং ও কৃষি কলেজ/ইনস্টিটিউটগুলোর বিভিন্ন বিভাগে ১ম বর্ষ স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি আবেদনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আবেদনকারীকে অধিভুক্ত কলেজ/ইনস্টিটিউটে যোগাযোগপূর্বক কিছু নিয়ম মেনে আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। গত ১ মে দুপুর ১২টা থেকে আবেদন শুরু হয়েছে।
আবেদনপ্রক্রিয়া/পদ্ধতি—
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুসরণে কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজ দায়িত্বে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার/প্রচারণা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি সংগ্রহ করে আইসিটি সেন্টার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে ভর্তির আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।
আবেদন ফি জমা প্রক্রিয়া: ভর্তির আবেদন ফি বাবদ মোট ৩৩০/- টাকা (সার্ভিস চার্জসহ) অনলাইনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। ফি বাবদ আদায়কৃত অর্থ থেকে আইসিটি সেন্টার, রা.
ভর্তির যোগ্যতা—
*২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে অধিভুক্ত কলেজসমূহের জন্য ২০২২ ও তৎপরবর্তী বছরের এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
*পরীক্ষার্থীকে পদার্থ, রসায়ন ও গণিত/জীববিজ্ঞান বিষয়সহ বিজ্ঞান বিভাগ হতে এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে হবে।
*এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় ৪র্থ বিষয়সহ কমপক্ষে জিপিএ ৩.০০ সহ সর্বমোট জিপিএ ৬.৫০ থাকতে হবে।
*ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং/কৃষি/ফিশারিজ/ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স/হেলথ (আইএইচটি ম্যাটস)/নার্সিং হতে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য ৪ স্কেলকে ৫ স্কেলে রূপান্তর করে উপরোক্ত যোগ্যতা নির্ধারণ করতে হবে। ডিপ্লোমা পরীক্ষায় জিপিএ ৪.০০ স্কেলে ২.৫ এর কম হলে আবেদন করতে পারবে না।
*২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের এইচএসসি/সমমান বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবে।
আরও পড়ুনকম খরচ এবং সহজে ভিসার কারণে উচ্চশিক্ষায় বেছে নিতে পারেন এই ৫ দেশ০৮ মে ২০২৫অতিরিক্ত প্রার্থীর ক্ষেত্রে—
আবেদনকারীর সংখ্যা নির্ধারিত আসনের অধিক হলে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অধিকর্তার তত্ত্বাবধানে কলেজ/ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুমোদিত আসনে শিক্ষার্থী মনোনয়ন করবেন।
আবেদনের সময়সীমা—
আগামী ৩০ জুন ২০২৫ রাত ১২.০০টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী প্রার্থীরা।
আরও পড়ুনইউনিভার্সিটি অব আলবার্টায় সম্পূর্ণ অর্থায়নের বৃত্তি, স্নাতক–স্নাতকোত্তর–পিএইচডিতে সুযোগ০৫ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের সিমন্স ডিসটিংগুইশড স্কলার অ্যাওয়ার্ড, জিপিএ ৩.৩ হলে আবেদন০৬ মে ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ য প রক র য ভর ত র ন করত
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল, তবে উদ্বেগ রয়ে গেছে
শাসনব্যবস্থায় পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে। তবে কিছু বিষয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে। দেশের ২০২৪ সালের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার–বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ নিয়ে সারসংক্ষেপে বলা হয়, কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এবং পুলিশ আর আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে সংঘর্ষে শত শত মানুষ নিহত হওয়ার পর গত বছরের ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে ৮ আগস্ট রাষ্ট্রপতি শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘প্রধান উপদেষ্টা’ (প্রধানমন্ত্রীর সমমর্যাদার) করে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন।
আগস্টের কিছু ঘটনার পর দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে, যদিও কিছু বিষয় নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আগের সরকারের আমলে মানবাধিকার-সংক্রান্ত যেসব বিষয়ে উল্লেখ করার মতো গ্রহণযোগ্য খবর রয়েছে, সেগুলো হলো নির্বিচারে বা বেআইনি হত্যাকাণ্ড, গুম, নির্যাতন কিংবা নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি, নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক, বিদেশে থাকা সমালোচকদের সরকারিভাবে হয়রানি, মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর গুরুতর বিধিনিষেধ, যার মধ্যে রয়েছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি, সাংবাদিকদের অযৌক্তিকভাবে গ্রেপ্তার বা বিচার করা এবং সেন্সরশিপ, শ্রমিক সংগঠনের স্বাধীনতার ওপর উল্লেখযোগ্য বিধিনিষেধ, শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তি বা শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা হুমকি, শিশুশ্রমের সবচেয়ে খারাপ ধরন উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বিদ্যমান থাকা।
আরও পড়ুনবাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি২২ এপ্রিল ২০২৪বিগত সরকারের আমলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ব্যাপকভাবে দায়মুক্তির অসংখ্য খবর পাওয়া গেছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। এর জেরে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তা বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত করা ও শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে খুব কমই বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে। সরকার পতনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় আগের সরকারের অনেক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদনে জুলাই ও আগস্টে সাবেক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। এসব বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। অপরাধীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে দেশের প্রচলিত বিচারব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল—উভয়কে কাজে লাগানো হচ্ছে।
আরও পড়ুনমানবাধিকারের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হলেও মার্কিন প্রতিবেদনে আসেনি২৫ এপ্রিল ২০২৪