জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি কার্যক্রমে প্রথম মেধাতালিকা ২৬ জুন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ভর্তি ফরম জমা দেওয়া যাবে আগামী ১৬ জুলাই পর্যন্ত, ক্লাস শুরু ২১ জুলাই।

দরকারি তথ্য জেনে রাখুন

প্রথম মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে কোনো শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তি হয়ে থাকলে তাঁকে অবশ্যই ৩ জুলাইয়ের মধ্যে পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বাতিল করে অনলাইনে চূড়ান্ত ভর্তি ফরম পূরণ করতে হবে। তা না হলে দ্বৈত ভর্তির কারণে শিক্ষার্থীর ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে।

প্রথম মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া কোনো শিক্ষার্থী তাঁর বিষয় পরিবর্তন করতে চাইলে তাঁকে চূড়ান্ত ভর্তি ফরমে বিষয় পরিবর্তনের নির্দিষ্ট ঘরে ‘Yes’ অপশন সিলেক্ট করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পছন্দক্রম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কলেজে বিষয়ভিত্তিক শূন্য আসনে মেধার ভিত্তিতে বিষয় পরিবর্তন করা হবে।

ভর্তির জন্য দরকার হবে

প্রথম মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণ ও এর প্রিন্ট বা পিডিএফ কপি সংগ্রহের তারিখ: ২৮ জুন থেকে ১৫ জুলাই।

শিক্ষার্থীকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটের Applicant Login অপশনে থাকা Honours Login লিংকে গিয়ে সঠিক Application ID ও পিন এন্ট্রি দিয়ে চূড়ান্ত ভর্তি ফরম পূরণ করে এর প্রিন্ট কপি নিতে হবে।

প্রথম মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত ভর্তি ফরমসহ রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ৫৬৫ টাকা সংশ্লিষ্ট কলেজে (কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অথবা সরাসরি) জমা দেওয়ার তারিখ: ২৯ জুন থেকে ১৬ জুলাই।

কলেজ কর্তৃক প্রথম মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত নিশ্চিত করার তারিখ: ২৯ জুন থেকে ২০ জুলাই।

কলেজ কর্তৃপক্ষকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি কার্যক্রমে প্রথম মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফরমে প্রদর্শিত সব তথ্য ও ছবি (শিক্ষার্থীদের সনদ ও নম্বরপত্র অনুযায়ী) যাচাই করে চূড়ান্ত ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।

কোনো শিক্ষার্থীর ভর্তি ফরমে দেওয়া তথ্য ও ছবিতে অসংগতি বা গরমিল দেখা গেলে সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষকে ওই শিক্ষার্থীর ভর্তি নিশ্চিত না করে বিষয়টি লিখিতভাবে ডিন, স্নাতক পূর্ব শিক্ষাবিষয়ক স্কুল বরাবর জানাতে হবে।

সংশ্লিষ্ট কলেজকে প্রথম মেধাতালিকায় ভর্তি করা শিক্ষার্থীদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি (৫৬৫ টাকা) যেকোনো সোনালী ব্যাংক শাখায় জমা দেওয়ার তারিখ: ২১ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই।

এ জন্য কলেজকে লগইনের মাধ্যমে Admission Payment Info (Honours) অপশনে ক্লিক করে Pay Slip ডাউনলোড করতে হবে। Pay Slip এ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ‘রেজিস্ট্রেশন ফি’ খাতের সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর-0218100000134 উল্লেখ করে মোট টাকার অঙ্ক লেখা থাকবে। এর প্রিন্ট কপি নিয়ে নিকটস্থ যেকোনো সোনালী ব্যাংক শাখায় ফি জমা দিয়ে রশিদ সংগ্রহ করতে হবে।

বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইটে জানা যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স শ ল ষ ট কল জ চ ড় ন ত ভর ত র ভর ত

এছাড়াও পড়ুন:

২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন হয়েছে, আদালতে স্বীকারোক্তি হাবিবুল আউয়ালের

রাজনৈতিক সরকারের অধীনে আগামী এক হাজার বছরেও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে দাবি করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে এ কথা বলেন তিনি। রিমান্ড শুনানিকালে আদালতের এজলাসে নিজে ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন আয়োজন করেছেন বলেও স্বীকার করেন হাবিবুল আউয়াল।

আদালতে অনুমতি নিয়ে তিনি বলেন, আমার জীবনে কোনোদিন কেউ অর্থ আত্মসাৎ বা দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারেনি। আমি ডামি বা প্রহসনের নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত নই। এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমাকে কেউ পয়সা দেয়নি বা আমি কারও কাছ থেকে পয়সা নেয়নি।

এ সময় বিচারক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার যারা সহযোগী থাকেন, তারা অতীতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার অধিক পায়নি। আপনার সময়ে তাদের পারিশ্রমিক বহুগুণ বৃদ্ধি করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে আপনার কোনো দায়িত্ব ছিল কিনা? এবারের নির্বাচনের সময় আমি একটা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক ছিলাম, অথচ আমাকে দায়িত্ব না দিয়ে অন্য একজনকে দেওয়া হয়, তারা প্রত্যেকে ৫ লাখ টাকা করে বিল তুলেছেন।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, এত টাকা বিল পাওয়ার কথা আমার জানা নেই। একটি নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রায় ৮ লাখ লোক যুক্ত থাকে, তাদের কাউকে আমি চিনিও না।

বিচারক বলেন, আপনার সময় আপনি দেশ সেরা অফিসার ছিলেন। নির্বাচনে অনৈতিকতা দায় নিয়ে কেন আপনি পদত্যাগ করেননি? 

জবাবে তিনি বলেন, পদত্যাগ করলে ভালো হতো। কিন্তু রাজনৈতিক সরকারের অধীনে অতীতে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি। তখন কী নির্বাচন কমিশনাররা পদত্যাগ করেছেন। ক্ষমতার লোভ শেখ মুজিবুর রহমানও সামলাতে পারেননি।

এদিন ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয় কাজী হাবিবুল আওয়ালকে। এরপর বিচারক ১টা ৩০ মিনিটের দিকে এজলাসে আসেন। 

এরপর রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানি করেন। আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন আসামি কাজী হাবিবুল আওয়াল। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি স্বীকার করেছি- আমি ডামি নির্বাচন করেছি। রাজনৈতিক সমঝোতার অভাবে এক তরফা নির্বাচন হয়েছে। তবে এখানে আমাকে পয়সা দেওয়ার কোনো প্রশ্ন আসেনি। আমার জীবনে আমি অর্থ আত্মসাৎ বা দুর্নীতি করিনি।’

এ সময় আদালত বলেন, আপনার কাছে জাতির প্রত্যাশা ছিল অনেক। কিন্তু বিতর্কমুক্ত নির্বাচন করতে পারেননি।

এ প্রসঙ্গে সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, বাংলাদেশের কোনো নির্বাচন বিতর্কিত হয়নি? ১৯৭২ এর ডিসেম্বরে সংবিধান রচনার তিন মাস পর ৭৩এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শেখ মুজিবের মতো নেতা নির্বাচনে কারচুপি করেছে। ক্ষমতার যে লোভ এটা ভয়ানক। দেশে এক হাজার বছরেও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সেটা করার জন্য সংস্কার লাগবে।

আদালত বলেন, সাধারণত নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ২০-২৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হতো। কিন্তু এই নির্বাচনে ৪-৫ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়। এমনটি হওয়ার কারণ কী?

তবে এ প্রশ্নের জবাবে নিজের দায় এড়িয়ে যান কাজী হাবিবুল আওয়াল। 

রাতের ভোট করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখন রাতের বেলায় ভোট হয়, তখন আমি গভীর নিদ্রায় নিমগ্ন।

এ সময় তার দীর্ঘ বক্তব্যে বিরক্তি প্রকাশ করেন পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী। এসময় হাবিবুল আওয়াল বলেন, ‘জাস্টিফাই করার সুযোগ না দিলে একটা জীবনকে মেরে ফেলেন।’

পরে পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, ‘এখানে সাধু সাজার সুযোগ নেই। আপনার নিজের অপরাধ ঢাকার সুযোগ নেই। অন্যরা অন্যায় করেছে এসব না বলে আপনি কী করেছেন সেটা বলেন। 

এ সময় পাশ থেকে এক আইনজীবী বলেন, ‘এতগুলো ছেলেমেয়ে মারা গেছে আপনার জন্য।’ 

এর উত্তরে হাবিবুল আওয়াল পাল্টা প্রশ্ন করেন- ‘আমার জন্য এতগুলো ছেলেমেয়ে মারা গেছে?’

এদিন রিমান্ড শুনানিকালে পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘২০২৪ সালের  নির্বাচনের আগে তিনি (আসামি) শেখ হাসিনাকে বলেন, সমস্যা নেই। আমি আপনাকে বিজয়ী ঘোষণা করে দেব। আর আপনি যে টাকা দেবেন, তা পকেটে ঢুকিয়ে নেব।’

পিপি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী কর্মকর্তাদের টাকা দেয়, এই আসামি তার হিসাব দেয়নি। এছাড়াও তিনি নির্বাচনি বরাদ্দের টাকার হিসাব পেশ করেননি এবং এ টাকাগুলো আত্মসাৎ করেছে। এ ধরনের ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে হবে, যেন আগামীতে আর এমন জঘন্য নির্বাচন কমিশনার এ দেশে জন্মগ্রহণ না করে।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘তিনি ৭০ বছর বয়স্ক লোক। ফ্যাস্টিস্ট হটাতে গিয়ে আমরা যেন ফ্যাসিস্ট হয়ে না যাই। আমি আসামির রিমান্ড বাতিল ও জামিন প্রার্থনা করছি।’ পরে আসামির জামিন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন বিচারক। 

এর আগে গত ২৩ জুন এ মামলায় নুরুল হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে বুধবার  রাজধানীর মগবাজার থেকে হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। 

গত ২২ জুন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করে উল্টো ভয়-ভীতি দেখিয়ে জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে মামলা করে বিএনপি। সংগঠনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। 
পরবর্তীতে গত ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়। এ মামলায় শেখ হাসিনা এবং সাবেক ১৫ নির্বাচন কমিশনারসহ মোট ২৪ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কোহলি, রোনালদো, মেসি—প্রতিটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে কে কত টাকা পান
  • যমুনা ব্যাংকের ২৪ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন
  • ইউটিউবে চাইলেই লাইভ ভিডিও প্রচার করা যাবে না
  • সাগরে বেড়েছে পানির উচ্চতা কাজে আসছে না পুরোনো বাঁধ
  • জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিএনপির মাসব্যাপী কর্মসূচি
  • রূপগঞ্জে গাজী টায়ারস কারখানায় আগুন দেয়ায় ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫
  • ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন হয়েছে: আদালতে হাবিবুল আউয়াল
  • ‘মৃত্যুর আগে ছেলের গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দেখে যেতে চাই’
  • ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন হয়েছে, আদালতে স্বীকারোক্তি হাবিবুল আউয়ালের