এটি একটি পূর্ণাঙ্গ এবং সমন্বিত নির্মাণ সমাধান, যা ডিজাইন থেকে শুরু করে রিবার সরবরাহ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে সময়, খরচ ও গুণগত মানের ভারসাম্য বজায় রেখে কাজ করে। জিপিএইচ ওয়ান সেবার আওতায় ‘কিউ-কাট’ ও ‘কিউ-বেন্ড’ রয়েছে, যার মাধ্যমে প্রকল্প অনুযায়ী নির্দিষ্ট ডিজাইনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিবার কাটিং ও বেন্ডিং করা হয়। এতে সময়, শ্রম ও উপকরণ অপচয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসে। একই সঙ্গে ‘কিউ-থ্রেড’ নামক আরেকটি বিশেষ সেবা রয়েছে, যেখানে রিবারে রোল থ্রেডিংয়ের মাধ্যমে কাঠামোগত সংযোগ আরও দৃঢ় ও স্থায়ী হয়।

এ ছাড়া আছে প্রকৌশলীদের দ্বারা পরিচালিত ডিজাইন অপটিমাইজেশন সেবা পুরোনো বা প্রাথমিক নকশার কার্যকারিতা মূল্যায়ন করে উন্নত ও খরচসাশ্রয়ী নকশা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে বার বেন্ডিং সিডিউল প্রস্তুত করা হয়, যেখানে প্রতিটি রিবারের দৈর্ঘ্য, কোণ ও পরিমাণ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকে। সুনির্দিষ্ট স্টিরাপ তৈরির জন্য ‘কিউ-রিংস’ সেবাও এর অন্তর্ভুক্ত। জিপিএইচ ওয়ান কেবল একটি সেবা নয়, এটি ভবিষ্যৎমুখী নির্মাণশিল্পের জন্য একটি বিশ্বস্ত এবং প্রযুক্তিনির্ভর সমাধান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ প এইচ

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ