রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু
Published: 29th, June 2025 GMT
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ফেরদৌসী খাতুন (২৭) নামে এক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৯ জুন) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক প্রতিবেদনে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে শনিবার (২৮ জুন) রাত সোয়া ৯টার দিকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ফেরদৌসী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি গত সোমবার (২৩ জুন) জ্বর ও শরীর ব্যথাসহ নানা জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থা আরও খারাপ হলে বুধবার (২৫ জুন) তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কুমার বিশ্বাস জানান, চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এবং দুজন মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও একজন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
বর্তমানে হাসপাতালে শিশুসহ ১০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ, তিনজন নারী ও একজন শিশু। রোগীরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজন রাজশাহীর, চারজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ও একজন নওগাঁ জেলার বাসিন্দা।
ঢাকা/কেয়া/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ডলার কাছে নিতেই আর কিছু মনে নেই, ব্যবসায়ীর ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা লুট
চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া পথেরহাটের ভারতেশ্বরী প্লাজা মার্কেটের আবুধাবি স্টোরের দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা নানা পণ্য বিক্রি হয়। দোকানের মালিক ওয়াহিদুল আলম নিজেই ব্যবসা দেখাশোনা করেন। আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে দুই বিদেশি ও বাংলাদেশি ক্রেতা আসেন দোকানে। ৫০ ডলারের একটি নোট দিয়ে বিনিময়ে বাংলাদেশি মুদ্রা চান তাঁরা। ওয়াহিদুল নোট নিয়ে ভালো করে দেখার জন্য চোখের কাছে নেন। এরপর তাঁর আর কিছু মনে নেই। পুরোপুরি যখন চেতনা ফিরে পেলেন, তখন দেখলেন তাঁর দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে লুট হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা।
দোকানের পাশের একটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজে দেখা যায়, টাকা নিয়ে খুব দ্রুত চলে যাচ্ছেন দেশি ও বিদেশি দুই প্রতারক। তবে আবুধাবি স্টোর নামের দোকানটিতে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় ভেতরে কী ঘটেছে তা দেখা যায়নি।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর ধারণা, ডলারের মধ্যে ‘শয়তানের নিশ্বাস’ নামের রাসায়নিক ছিল। তার প্রভাবে তিনি সবকিছু ভুলে গেছেন। প্রতারকেরা ওই রাসায়নিক শুকিয়ে তাঁর টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এর আগেও ‘শয়তানের নিশ্বাস’ প্রয়োগ করে প্রতারণার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সেসব প্রতিবেদন ঘেঁটে জানা যাচ্ছে মূলত স্কোপোলামিন নামের একটি রাসায়নিক প্রয়োগ করে ছিনতাইসহ নানা অপরাধ করে আসছে প্রতারকেরা। এই রাসায়নিকের প্রভাবে ক্ষণিকের জন্য মানুষের স্মৃতি, বিচারশক্তি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে লোপ পায়। ওয়াহিদুল আলমের ক্ষেত্রেও তা ঘটেছিল।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ৫০ ডলারের একটি নোট ভাঙানোর জন্য তাঁর দোকানে আসেন একজন বিদেশি ক্রেতা। তাঁর সঙ্গে একজন বাংলাদেশিও ছিলেন। নোটটি তিনি তাঁদের কাছ থেকে নিয়ে ভালো করে দেখতে গিয়ে চেতনা হারান। প্রতারকেরা তাঁর ক্যাশ বাক্স থেকে ১ লাখ ৪২ হাজার টাক নিয়ে যায়।
জানতে চাইলে এক কিলোমিটার দূরে থাকা নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ওই ধরনের ঘটনার কোনো অভিযোগ তাঁদের কেউ জানায়নি। অভিযোগ দিলে তাঁরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখে প্রতারক চক্রকে খুঁজে বের করার জন্য কাজ করবেন।