কক্সবাজারের রামু উপজেলায় এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও ছুরিকাঘাতের অভিযোগে আবদুল মান্নান (২৬) নামের এক যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিহত মান্নান উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের কম্বনিয়া এলাকার বাসিন্দা। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, আজ সকালে মান্নান ওই এলাকার এক নারীর ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে ওই নারীকে ছুরিকাঘাত করেন তিনি। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। পালানোর চেষ্টা করলে মান্নানকে ধরে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন তাঁরা। পরে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। আহত নারীকে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

তৈয়বুর রহমান। দুপুরে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। নিহত মান্নান একটি ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য বলে পুলিশ জানিয়েছে।

রামু থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ফরিদ বলেন, মান্নানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি ও অপহরণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁর বাবা ও তিন ভাইও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত।

খুনিয়াপালং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এস এম ফরিদ প্রথম আলোকে বলেন, মান্নানের বাবা মছন আলী ও তাঁর ছেলেদের একটি সশস্ত্র ডাকাতদল রয়েছে। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সড়কে ও বাড়িঘরে ডাকাতি করে আসছেন। তাঁদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।

পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার ওই ডাকাতদলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবিতে স্থানীয় লোকজন কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক তিন ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। ঘটনার দুই দিন পর গণপিটুনিতে মান্নান নিহত হলেন।

খুনিয়াপালং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এস এম ফরিদ প্রথম আলোকে বলেন, মান্নানের বাবা মছন আলী ও তাঁর ছেলেদের একটি সশস্ত্র ডাকাতদল রয়েছে। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সড়কে ও বাড়িঘরে ডাকাতি করে আসছেন। তাঁদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।

পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার ওই ডাকাতদলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবিতে স্থানীয় লোকজন কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক তিন ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। ঘটনার দুই দিন পর গণপিটুনিতে মান্নান নিহত হলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড ক তদল র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

শহীদ সাজিদের শাহাদাতবার্ষিকীতে জবি শিবিরের আলোচনা সভা

জুলাই বিপ্লবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র শহীদ শিক্ষার্থী একরামুল হক সাজিদের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া, কুরআন খতম ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে শাখা ছাত্রশিবির। একইসঙ্গে শহীদের বাবার সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত আয়োজন করে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) মাগরিবের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

মাগরিবের নামাজ শেষে মসজিদের প্রধান খতিব হাফেজ মাওলানা সালাহ্ উদ্দিন ‘শাহাদাতের গুরুত্ব ও শহীদের মর্যাদা’ শীর্ষক আলোচনায় বলেন, “শহীদরা আল্লাহর পথে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেন। তাঁদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে চিরস্থায়ী এবং জাতির ইতিহাসে অমর হয়ে থাকে।”

আরো পড়ুন:

বরিশালে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

নবাব স্যার সলিমুল্লাহ স্মৃতি সংসদের নেতৃত্বে জাহিন-রাফি

শাখা শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহেদ বলেন, “শহীদ সাজিদ আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক। তার আদর্শ ও ত্যাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে সাহস জোগাবে।”

আলোচনা শেষে শাখা শিবির সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন। মোনাজাতে শহীদ সাজিদের রুহের মাগফিরাত, পরিবারের জন্য ধৈর্য ও সাহস এবং তার বাবার সুস্থতা কামনা করা হয়।

একরামুল হক সাজিদ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে গণআন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ