রাজধানীর মগবাজারে একটি হোটেলের রুম থেকে এক পরিবারের ৩ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন-লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা মনির হোসেন, তার স্ত্রী স্বপ্না ও তাদের ছেলে আরাফাত হোসেন নাইম।

রবিবার (২৯ জুন) তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে রমনা থানার এসআই জালাল উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

রামগতিতে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার

কেওড়া গাছের ডালে ঝুলছিল অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ

ডিএমপি রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্য তারা মারা যেতে পারেন। তবে সঠিক কারণ জানতে মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।”

তিনি আরো জানান, চিকিৎসা নিতে শনিবার লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকায় আসে পরিবারটি। চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট না পেয়ে হোটেলে রাত্রি যাপন করেন তারা।

পুলিশের প্রাথমিক অনুসন্ধানের তথ্য অনুযায়ী, স্বপ্না ও নাইম হোটেল রুমেই মারা যান। মনির হোসেনকে পাশের একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আইসিইউতে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হোটেল সুইট স্লিপের সহকারী ম্যানেজার আব্দুল মানিক জানান, গতকাল বিকেলে মনির হোসেন তার প্রতিবন্ধী ছেলে ও তার স্ত্রীকে নিয়ে হোটেলে আসেন। তারা গতকাল সন্ধ্যায় আদ্-দ্বীন হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে যান। সেখান থেকে রাতেই হোটেলে আসেন। তাদের সঙ্গে তাদের এক কেয়ারটেকারও ছিলেন। কেয়ারটেকার তাদের দেখাশোনা করেছেন। তিনি বিভিন্ন হোটেল থেকে খাবার এনে দিতেন। সেই খাবারই তারা খেয়েছেন।

তিনি আরো জানান, তারা কখন অসুস্থ হয়েছেন, তা হোটেলের কেউ টের পাননি। কেয়ারটেকার প্রথমে একজনকে হাসপাতালে নিয়ে যান, এরপর ওই পুরুষকেও নিয়ে যান। তখন হোটেলের সবাই বিষয়টি জানতে পারেন।

ঢাকা/এমআর/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরো পড়ুন:

টানা বৃষ্টিতে সড়কজুড়ে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী

১০৬ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড, ঘনীভূত হতে পারে লঘুচাপ 

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বর্তমানে স্থল গভীর নিম্নচাপটি উপকূলীয় ওড়িশা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সমুদ্রে অবস্থানরত মাছ ধরা ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

সংস্থাটি জানায়, রংপুর বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে আজ দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। 

এদিকে, আজ ভোর ৬টার দিকে রাজধানীতে বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময় বৃষ্টির পরিমাণ কমে যায়। ঢাকার আকাশ মেঘে ঢেকে আছে। 

ঢাকা/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ