প্রবন্ধ সংকলন ‘মাতৃভাষা ও শিক্ষা: শতবর্ষের ভাবনা’ বই নিয়ে বইবিষয়ক পত্রিকা ‘এবং বই’ ও ‘শিক্ষালোক’ এর যৌথ উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার ঢাকার শেখেরটেকের সিদীপ মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।

আলোচ্য বইটি প্রকৃতি প্রকাশনী ও সিদীপ যৌথভাবে প্রকাশ করেছে। অক্ষয়কুমার দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সৈয়দ মুজতবা আলী থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ের অধ্যাপক শহিদুল ইসলামসহ প্রথিতযশা লেখকদের আটটি লেখা নিয়ে প্রকাশিত সংকলনটি সম্পাদনা করেছেন আলমগীর খান।

আরো পড়ুন:

নির্ভুল পাঠ্যবই নিশ্চিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: শিক্ষা উপদেষ্টা

শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে উদ্যোক্তা সাজ্জাদের সফলতা

সিদীপের ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ শহিদুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘এবং বই’ সম্পাদক ও লেখক ফয়সাল আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষালোকের নির্বাহী সম্পাদক আলমগীর খান।

আয়োজনে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও অনুবাদক জাভেদ হুসেন, ইউল্যাব শিক্ষক খান মো.

রবিউল আলম, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক কুদরতে খোদা, কথাসাহিত্যিক আহমদ বশীর, এনসিটিবির প্রধান সম্পাদক ফাতিহুল কাদির সম্রাট, কবি শামসেত তাবরেজী ও শিল্পী শিশির মল্লিক প্রমুখ।

‘এবং বই’ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বলেন, “আজ আলোচনার জন্য আমরা একটি গুরত্বপূর্ণ বই নির্বাচন করেছি। যে বইটির প্রধান বিষয় মাতৃভাষা ও শিক্ষা। আমরা এবং বই ও শিক্ষালোক যৌথভাবে এ ধরনের কাজ আরো করতে চাই।”

জাভেদ হুসেন ‘মাতৃভাষা ও শিক্ষা’ বইটি নিয়ে তার আলোচনায় রবীন্দ্রনাথের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “রাজার ১০০০ চোখ থাকলেও যখন শিক্ষার ব্যাপার আসে, তখন তার ৯৯০টি চোখ বন্ধ হয়ে যায়।”

প্রধান অতিথি শিক্ষাবিদ শহিদুল ইসলাম বলেন, “আমাদের দেশ অর্থনৈতিকভাবে পরনির্ভরশীল, সেজন্য আমরা ভাষাসহ সবকিছুতেই পরনির্ভরশীল।” 

তিনি বলেন, “আমাদের বাংলা ভাষার চর্চা যেমন বাড়াতে হবে, ঠিক তেমনি প্রযুক্তিতেও নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বই

এছাড়াও পড়ুন:

স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে বিতণ্ডা, কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে প্রথম স্ত্রী আটক

ফেনীতে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কলহের জেরে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফেনীর দাগনভূঞার পৌর এলাকার জগতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম আলমগীর হোসেন (৪৫)। তিনি একই গ্রামের গফুর ভান্ডারি বাড়ির আবদুল গফুরের ছেলে। পেশায় তিনি ট্রাকচালক ছিলেন। আটক স্ত্রীর নাম খালেদা ইয়াসমিন (৩৮)।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্র জানায়, ২০ বছর আগে পারিবারিকভাবে আলমগীরের সঙ্গে খালেদা ইয়াসমিনের বিয়ে হয়ছিল। তাঁদের এক ছেলে রয়েছে। তবে গত কয়েক মাস আগে নারায়ণগঞ্জ জেলায় আরেকটি বিয়ে করেন আলমগীর। এসব নিয়ে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আলমগীর বাড়িতে আসেন। এরপর আজ দুপুরে তাঁর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে বিতণ্ডা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে ইয়াসমিন তাঁর স্বামীকে কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে স্বজনেরা ঘরের শৌচাগারের ভেতর আলমগীরের মরদেহ দেখতে পান। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে নিহত ব্যক্তির ছেলে কামরুল ইসলাম (১৬) প্রথম আলোকে বলে, নতুন বিয়ে করার পর তাঁর বাবা তাঁদের ভরণপোষণ দিতেন না। এ ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। দুপুরের দিকে খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন।

জানতে চাইলে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহেদ পারভেজ বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরে একাধিক জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আঁখির অতিথি সৈয়দ আবদুল হাদী
  • দেবী দুর্গা শক্তি ও সাহসের মূর্ত প্রতীক: মির্জা ফখরুল 
  • কাশিপুরে বিএনপি নেতা আলমগীর ও সাইদুর গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সংঘর্ষের আশঙ্কা
  • হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে ৪১ জেলার ৪৩৮টি স্থানে
  • স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে বিতণ্ডা, কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে প্রথম স্ত্রী আটক
  • বনিকবাড়ির শতবর্ষী পূজা