‘মাতৃভাষা ও শিক্ষা: শতবর্ষের ভাবনা’ বই নিয়ে আলোচনা
Published: 29th, June 2025 GMT
প্রবন্ধ সংকলন ‘মাতৃভাষা ও শিক্ষা: শতবর্ষের ভাবনা’ বই নিয়ে বইবিষয়ক পত্রিকা ‘এবং বই’ ও ‘শিক্ষালোক’ এর যৌথ উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ঢাকার শেখেরটেকের সিদীপ মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।
আলোচ্য বইটি প্রকৃতি প্রকাশনী ও সিদীপ যৌথভাবে প্রকাশ করেছে। অক্ষয়কুমার দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সৈয়দ মুজতবা আলী থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ের অধ্যাপক শহিদুল ইসলামসহ প্রথিতযশা লেখকদের আটটি লেখা নিয়ে প্রকাশিত সংকলনটি সম্পাদনা করেছেন আলমগীর খান।
আরো পড়ুন:
নির্ভুল পাঠ্যবই নিশ্চিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: শিক্ষা উপদেষ্টা
শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে উদ্যোক্তা সাজ্জাদের সফলতা
সিদীপের ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ শহিদুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘এবং বই’ সম্পাদক ও লেখক ফয়সাল আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষালোকের নির্বাহী সম্পাদক আলমগীর খান।
আয়োজনে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও অনুবাদক জাভেদ হুসেন, ইউল্যাব শিক্ষক খান মো.
‘এবং বই’ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বলেন, “আজ আলোচনার জন্য আমরা একটি গুরত্বপূর্ণ বই নির্বাচন করেছি। যে বইটির প্রধান বিষয় মাতৃভাষা ও শিক্ষা। আমরা এবং বই ও শিক্ষালোক যৌথভাবে এ ধরনের কাজ আরো করতে চাই।”
জাভেদ হুসেন ‘মাতৃভাষা ও শিক্ষা’ বইটি নিয়ে তার আলোচনায় রবীন্দ্রনাথের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “রাজার ১০০০ চোখ থাকলেও যখন শিক্ষার ব্যাপার আসে, তখন তার ৯৯০টি চোখ বন্ধ হয়ে যায়।”
প্রধান অতিথি শিক্ষাবিদ শহিদুল ইসলাম বলেন, “আমাদের দেশ অর্থনৈতিকভাবে পরনির্ভরশীল, সেজন্য আমরা ভাষাসহ সবকিছুতেই পরনির্ভরশীল।”
তিনি বলেন, “আমাদের বাংলা ভাষার চর্চা যেমন বাড়াতে হবে, ঠিক তেমনি প্রযুক্তিতেও নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”
ঢাকা/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’ চালু
প্রমোদতরী হিসেবে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে শনিবার (১৫ নভেম্বর) চালু হয়েছে শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রাজধানীর সদরঘাটে শতবর্ষী এ প্যাডেল স্টিমার যাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
আরো পড়ুন:
‘নৌপথ ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে নৌপরিবহন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়’
শ্রম উপদেষ্টার সঙ্গে জার্মান সংসদ সদস্যের সাক্ষাৎ
আগামী প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের নদীমাতৃক ঐতিহ্য তুলে ধরাই এর মূল লক্ষ্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুতফে সিদ্দিকীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “পিএস মাহসুদ বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও নৌ-পর্যটনের মধ্যে এক অনন্য সেতুবন্ধন তৈরি করবে।”
তিনি আরো বলেন, “আগামী ২১ নভেম্বর থেকে ঢাকা-বরিশাল রুটে নিয়মিত পর্যটন সেবা শুরু করবে জাহাজটি।”
তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিআইডব্লিউটিসির শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’কে সংস্কার ও পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।”
সাখাওয়াত বলেন, “পিএস মাহসুদ শুধু একটি জাহাজ নয়, এটি বাংলাদেশের নদীমাতৃক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জীবন্ত প্রতীক। আমরা চাই নতুন প্রজন্ম দেখুক, একসময় নদীই ছিল যোগাযোগ ও সংস্কৃতির প্রাণ।”
তিনি জানান, নদী ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং নৌ-পর্যটনের সম্ভাবনা বাড়াতে পিএস অস্ট্রিচ, পিএস লেপচা ও পিএস টার্নসহ আরও কয়েকটি পুরনো স্টিমার মেরামতের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্মকর্তারা জানান, স্টিমারটির সংস্কার ও আধুনিকীকরণে মূল কাঠামো ও ঐতিহাসিক নকশা অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে। তবে, ইঞ্জিন, নিরাপত্তা ও অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ আধুনিক করা হয়েছে।
এতে রয়েছে আধুনিক কেবিন, পর্যটকবান্ধব ডেক ও ডিজিটাল নেভিগেশন ব্যবস্থা।
স্টিমারটি প্রতি শুক্রবার ঢাকা থেকে বরিশাল এবং প্রতি শনিবার বরিশাল থেকে ঢাকা যাবে। সকাল ৮টায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে ছেড়ে রাতে বরিশালে পৌঁছাবে।
আগে স্টিমারটি শুধু রাতেই চলত। এবার দিনের ভ্রমণ চালু হওয়ায় পর্যটকরা নদী ও নদীর তীরের সৌন্দর্য আরও বেশি উপভোগ করতে পারবেন বলে আশা করছেন বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা। খবর বাসসের।
ঢাকা/এসবি