অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ চবির অফিস সহকারি বরখাস্ত
Published: 29th, June 2025 GMT
চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পালি বিভাগের অফিস সহকারি মেহেদী হাসানকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ সোহাইবকে আহ্বায়ক করে এক সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী মুহাম্মদ ইয়াহিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
আরো পড়ুন:
৪৩ লাখ টাকা গড়মিল: নোবিপ্রবির কম্পিউটার অপারেটর বরখাস্ত
যৌন হয়রানির অভিযোগে নোবিপ্রবি আরেক শিক্ষক বরখাস্ত
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, ২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট সেকশন অফিসার পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান তার কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা নেন। পরবর্তীতে তিনি আরো ১ লাখ টাকা দাবি করেন। তার দাবিকৃত মোট ৫ লাখ টাকা দেওয়ার পরো কোনো নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। পরে টাকা ফেরতের আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনো ৩ লাখ টাকা ফেরত পাননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান বলেন, “আমি কারো ব্যক্তিগত নির্দেশে কাজ করেছি। উপাচার্য ম্যাডামের (সাবেক উপাচার্য শিরিন আখতার) পিএস যেভাবে নির্দেশ দিতেন, আমি শুধু তা পালন করতাম। একাধিক পিএস বদল হয়েছে, আমি সবসময় তাদের অধীনে কাজ করেছি।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে আগে থেকেই নানা অভিযোগ মৌখিকভাবে শোনা যাচ্ছিল। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটিয়ে আসছিলেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বরখ স ত বরখ স ত
এছাড়াও পড়ুন:
এআই নিয়ে টার্মিনেটর সিনেমার পরিচালক জেমস ক্যামেরনের সতর্কবার্তা
১৯৮৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য টার্মিনেটর’ সিনেমা দেখেছেন অনেকেই। জেমস ক্যামেরনের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় সেই সিনেমায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির স্কাইনেট নামের একটি কাল্পনিক এআইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়, যেটি পুরো মানবজাতির অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। কাল্পনিক সেই এআইয়ের স্রষ্টা জেমস ক্যামেরন এবার বাস্তবের আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র, বিশেষ করে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের ঝুঁকি নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার আশঙ্কা, এআই প্রযুক্তি লাগামহীনভাবে সামরিক প্রযুক্তিতে যুক্ত হলে মানবসভ্যতা টার্মিনেটরের মতো সর্বনাশের মুখে পড়তে পারে।
রোলিং স্টোন সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যামেরন জানান, সামরিক ক্ষেত্রে এআইয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের গতি মানুষের সক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের নিয়ন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও বিপর্যয় ঠেকানো সম্ভব নাও হতে পারে। মানবজাতি এখন একসঙ্গে তিনটি বড় সংকটের মুখে। এগুলো হলো জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ ধ্বংস, পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার এবং অতিবুদ্ধিমান এআই। এই তিনটি সংকট একই সময়ে তীব্র আকার ধারণ করছে, যা মানব ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে দেখা গেছে, এআই পারমাণবিক বিপর্যয়ের সমতুল্য দুর্যোগ ঘটাতে পারে বলে মনে করেন ৩৬ শতাংশ এআই গবেষক। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সম্মেলনে বিশেষজ্ঞেরা সতর্ক করে বলেছেন, খুব শিগগির এআই ও পারমাণবিক অস্ত্রের সমন্বয় প্রায় অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে।
যুদ্ধাস্ত্রে এআই ব্যবহারের বিরোধিতা করলেও চলচ্চিত্র নির্মাণে এর সীমিত ও পরিকল্পিত ব্যবহারকে সমর্থন করেন ক্যামেরন। তার মতে, ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের ক্ষেত্রে এআই ব্যয় প্রায় অর্ধেক কমিয়ে দিতে পারে। এআই সৃজনশীল প্রক্রিয়ার গতি বাড়ালেও চিত্রনাট্যকার বা অভিনেতার জায়গা নিতে পারবে না।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া