দীর্ঘ অস্থিরতার পর ঊর্ধ্বমুখী দেশের শেয়ারবাজার। সর্বশেষ পাঁচ কর্মদিবস বেড়েছে মূল্য সূচক। ঢাকার শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স এ সময়ে ১৬২ পয়েন্ট বেড়ে ৪৮৩৯ পয়েন্টে উঠেছে। অবশ্য এর মধ্যে গতকাল রোববার বেড়েছে ৭ পয়েন্টের কম। টানা পঞ্চম দিনে লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ শেয়ারের দর পাওয়ার পর কারও কারও মুনাফা তুলে নেওয়ার ধারায় বিক্রির চাপ বাড়লে সূচকের বৃদ্ধির ধারায় হ্রাস পড়ে।
এদিকে শেয়ারদরের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেনও বাড়ছে। জুনের প্রথমার্ধ পর্যন্ত যেখানে লেনদেন ২০০ কোটি টাকার ঘরে আটকে ছিল, গত তিন দিন ৪০০ কোটির ঘরে উন্নীত হয়েছে। গতকাল ৪৯৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় ১৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বেশি।
রাজনৈতিক অস্থিরতা ছাড়াও নানা ইস্যুতে গত ২৯ মে পর্যন্ত ব্যাপক দর পতন ছিল শেয়ারবাজারে। লন্ডনে বিএনপির শীর্ষ নেতার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের বহুল আলোচিত বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নিয়ে মতৈক্য হওয়ার পর ওই পতন থামে। তবে ভারত-পাকিস্তানের সামরিক সংঘাত এবং ইরানে ইসরায়েলের আগ্রাসন নতুন করে কিছুটা অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিল। এগুলোর অবসান হতেই নতুন করে কিছুটা সুবাতাস ফিরেছে শেয়ারবাজারে। এর মধ্যে সরকারের হস্তক্ষেপে বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির দূরত্ব কমার বিষয়টিও ইতিবাচক প্রভাব আছে বলে মনে করেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।
গতকাল তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির মধ্যে ১৫৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৪৩টি এবং অপরিবর্তিত ৫৫টির। বাকি ৯টির কেনাবেচা হয়নি। অন্যদিকে তালিকাভুক্ত ৩৭ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩০টির বাজারদর বেড়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র শ য় রব জ র
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে