সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জীবনের অনেক অজানা ঘটনা শেয়ার করেছেন বলিউড তারকা আমির খান। ব্যক্তিগত জীবন থেকে চলচ্চিত্রের নানা গল্প এদিন তুলে ধরেন তিনি। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, নব্বইয়ের দশকে বলিউডে যখন আন্ডারওয়ার্ল্ডের প্রভাব প্রকট, তখন তাঁকেও দুবাইয়ে এক পার্টিতে উপস্থিত হওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে ভয়ভীতিও দেখানো হয়েছিল।
১৯৮০-৯০, বলিউডে এ সময়টা শাসন করেছেন আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাফিয়ারা। বলিউডের যেকোনো কাজে তাঁদের কথাই ছিল শেষ কথা। সম্প্রতি দ্য লালানটপের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজের একটি ঘটনা তুলে ধরলেন আমির।

আরও পড়ুন১৮ বছর পর এত বড় ফ্লপ, হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম: আমির খান২২ জুন ২০২৫‘সিতারে জমিন পর’ সিনেমায় আমির খান। এক্স থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অবৈধ অভিবাসী মা–বাবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া শিশুদেরও বিতাড়িত করা উচিত: রিপাবলিকান সিনেটর

রিপাবলিকান মার্কিন সিনেটর মার্কওয়েইন মুলিন গতকাল রোববার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের সঙ্গে সে দেশে জন্ম নেওয়া তাঁদের শিশুদেরও বিতাড়িত করা উচিত।

দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের লক্ষ্যে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের একটি সিদ্ধান্তের কারণে তাঁর ওই নির্বাহী আদেশ কার্যকর হওয়ার পথ সুগম হয়েছে।

আরও পড়ুনজন্মসূত্রে নাগরিকত্বের ইতি টানতে চান ট্রাম্প, অন্যান্য দেশের কী অবস্থা১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিনেটর মুলিন বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের সঙ্গে তাঁদের প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হলে শিশুদেরও বের করে দেওয়া উচিত।

আদালতের ওই আদেশে ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের নির্বাহী আদেশটি বৈধ কি না, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। অথচ আদেশটি কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের একটি নীতি বদলে যাবে। ওই নীতি অনুযায়ী, কোনো শিশু যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেই সে দেশটির নাগরিকত্ব পাবে, হোক তার মা–বাবা অবৈধ বা বৈধ অভিবাসী।

এনবিসির ক্রিস্টেন ওয়েলকার মুলিনকে প্রশ্ন করেন, যেসব শিশু যুক্তরাষ্ট্রে জন্মেছে, তারা বর্তমান আইনে মার্কিন নাগরিক। কিন্তু তাদের মা–বাবা যদি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত হন, তাহলে ওই শিশুদের কী হবে?

আরও পড়ুনট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ ঠেকানোর ক্ষমতা কমল নিম্ন আদালতের২৭ জুন ২০২৫

জবাবে মুলিন বলেন, ‘মা–বাবা যেখানে থাকবেন, তাদেরও সেখানেই যাওয়া উচিত। আপনি কেনই–বা কোনো শিশুকে তার মা–বাবার কাছে পাঠাবেন না? আমি বলতে চাচ্ছি, কেন আপনি তাদের আলাদা করতে চাইবেন?’

শুক্রবার আদালত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে অভিবাসী ও তাঁদের সমর্থকদের মনে দ্বিধা তৈরি হয়েছে। কারণ, তাঁরা বুঝে উঠতে হিমশিম খাচ্ছেন। যদি কিছু অঙ্গরাজ্যে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব কার্যকর থাকে, কিন্তু অন্যগুলোয় না থাকে, তবে বাস্তবে এর প্রভাব কী হবে।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে কারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন২১ জানুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ