সচল চট্টগ্রাম বন্দর, ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য
Published: 30th, June 2025 GMT
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির কারণে দুই দিন বন্ধ থাকার পর আবারো চট্টগ্রাম বন্দরের কাস্টমস কার্যক্রম পুরোদমে চালু হয়েছে। ফলে আজ সোমবার (৩০ জুন) থেকে আমদানি-রপ্তানির সব ধরনের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে।
সোমবার (৩০ জুন) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক এ তথ্য জানান।
এনবিআরের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির কারণে গত শনিবার ও রবিবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এতে করে বিল অব এন্ট্রি, বিল অব এক্সপোর্ট, শুল্কায়ন, শুল্ক পরিশোধ ও কনটেইনার ডেলিভারিসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ছিল।
এই বন্ধের প্রভাব পড়ে চট্টগ্রাম বন্দর ও সংশ্লিষ্ট ২১টি বেসরকারি অফডকে।
বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকাল ৮টায় বন্দরে জমে থাকা কনটেইনারের পরিমাণ ছিল ৪০ হাজার ৭২২ টিইইউস। অথচ পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ১৩৯ টিইইউস কনটেইনার ডেলিভারি দেওয়া হয়। ফলে অন্তত তিনটি রপ্তানিমুখী জাহাজ বন্দর ত্যাগ করতে পারেনি কনটেইনার ঘাটতির কারণে। তবে সন্ধ্যার পর থেকেই পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ও বন্দরের বিভিন্ন গেইটে কাস্টমস কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন শুরু করেন। বিল অব এক্সপোর্ট গ্রহণসহ অন্যান্য কার্যক্রমও শুরু হয়।
চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম সাইফুল আলম বলেন, “রবিবার সন্ধ্যা থেকে রপ্তানি চালানের শুল্কায়ন কার্যক্রম আবারো চালু হয়েছে। আজ থেকে সব কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে।”
এদিকে, বেসরকারি কনটেইনার ডিপো মালিকদের সংগঠন বিকডার মহাসচিব মোহাম্মদ রুহুল আমিন সিকদার বলেন, “রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে কাস্টমস কর্মকর্তারা তিনটি গেইটে কাজ শুরু করেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন অফডকেও তারা দায়িত্ব পালন করছেন। আজ সকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পুরোদমে কার্যক্রম চলছে।”
তিনি আরো জানান, ২১টি বেসরকারি ডিপোর মধ্যে ১৯টি রপ্তানিযোগ্য পণ্য প্রক্রিয়ায় যুক্ত। এই ডিপোগুলোতে বর্তমানে ১৪ হাজার ৩৭১ টিইইউস রপ্তানিযোগ্য কনটেইনার রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে আড়াই হাজার কনটেইনার বন্দরে পাঠানো হয়। রবিবার দিনের বেলায় কোনো জাহাজ ছাড়তে না পারলেও সোমবার পাঁচটি কনটেইনার জাহাজের বন্দর ত্যাগের কথা রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো.
ঢাকা/রেজাউল/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক স টমস ক রব ব র
এছাড়াও পড়ুন:
ডিমে শিশুর অ্যালার্জি কেন হয়, কীভাবে বুঝবেন, সমাধান কী
কেন হয়
শিশুদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা পুরোপুরি গড়ে না ওঠায় অনেক সময় ডিমের প্রোটিনকে শরীর ‘অচেনা’ বা ক্ষতিকর হিসেবে ভুলভাবে শনাক্ত করে। ফলে ঠিক যেভাবে রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধব্যবস্থা কাজ করে, একই ধরনের প্রতিক্রিয়া এখানে সৃষ্টি হয়। এই প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবেও হতে পারে, আবার অনেক ক্ষেত্রে কয়েক ঘণ্টা পরেও দেখা দিতে পারে।
লক্ষণ● ত্বকে লাল লাল চাকা, একজিমা।
● পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব বা মুখের চারপাশে চুলকানো।
● সর্দি, শ্বাস নেওয়ার সময় শোঁ শোঁ শব্দ, শ্বাসকষ্ট হওয়া।
● দ্রুত হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ কমে যাওয়া।
● অ্যানাফাইলেকসিস শক।
আরও পড়ুনডিম দিনে কয়টি ও কীভাবে খাবেন০৫ জুলাই ২০২৫রোগনির্ণয়● শিশুকে প্রথম ডিম খাওয়ানোর সময় অ্যালার্জি উপসর্গ বোঝা যায়।
● চিকিৎসক যদি মনে করেন ডিম বা ডিমযুক্ত খাবার খেলে অ্যালার্জি হয়, তবে তা স্কিন টেস্ট করে নিশ্চিত হতে পারেন।
চিকিৎসা● ডিম ও ডিমযুক্ত খাবার না খাওয়া।
● অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া দমনে অ্যান্টি হিস্টামিন, মারাত্মক অ্যানাফাইলেকসিসে শক ইনজেকশন এপিনেফ্রিন ব্যবহার।
● ডিমে অ্যালার্জি থাকলে কিছু খাদ্য উপাদান পরিহার করা যেমন—এলবুমিন, গ্লোবুলিন ইত্যাদি।
অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
আরও পড়ুনডিমের কমলা, না হলুদ কুসুম—কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর৩১ অক্টোবর ২০২৫