বলা হয় প্রেম মানে না কোনো বাধা। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে চীনে। ভালোবেসে ছেলের বন্ধুকে বিয়ে করেছেন ৫০ বছর বয়সী এক নারী। এবার জানালেন মা হতে যাওয়ার খবর।
চীনের ওই নারী অনলাইনে ‘সিস্টার শিন’ নামে জনপ্রিয়। গুয়াংজু শহরে একটি ই-কমার্স ব্যবসা রয়েছে তার। শিনের যখন ৩০ বছর বয়স তখন স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। একাই তার ছেলে-মেয়েকে মানুষ করেছেন। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
এখন থেকে ছয় বছর আগে তার ছেলে কাইকাই নিউ ইয়ারের ডিনারে তিন জন বিদেশি বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানান। তাদের মধ্যে ছিলেন রাশিয়ার ‘ডেফু’। যিনি কাইকাইয়ের চেয়ে এক বছরের বড়। বেশ কয়েক বছর চীনে থাকার কারণে কাইকাই চীনা ভাষা ভালোভাবেই আয়ত্ত করেছিলেন। তো আমন্ত্রণে আসার পর শিনের রান্না খেয়ে ও আতিথেয়তায় মুগ্ধ হন ডেফু। তিনি একরাত্রির জন্য আসলেও থেকে যান এক সপ্তাহ। তখন থেকেই শুরু হয় ভালো লাগা। যা পরবর্তীতে প্রেম ও বিয়েতে গড়াই।
শিন বলেন, “আমি তখনও সুন্দর ছিলাম। ডেফু সব সময়ে যোগাযোগ রেখেছে। বিভিন্ন সময় অপ্রত্যাশিত সারপ্রাইজ পাঠাতো।”
শিন আর ডেফুর বয়সের পার্থক্য ২০ বছর। শিন প্রথমে ডেফুর প্রণয় প্রস্তাব মেনে নেননি। তবে ছেলে কাইকাই এখানে বাধা হয়ে দাঁড়াননি, বরং তিনি নতুন জীবন শুরু করতে মাকে আরো উৎসাহ দেন। ফলে শিন শেষমেশ দ্বিতীয়বার প্রেমকে স্বাগত জানানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং এ বছরের শুরুতে তারা বিবাহ নিবন্ধনে আবদ্ধ হন।
দুজনের ছবি শেয়ার করে সম্প্রতি তিনি তৃতীয়বারের মতো মা হওয়ার খবর জানান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এতেই ঝড় ওঠে। কেউ কেউ তাদের শুভকামনা জানালেও অনেকে করেন সমালোচনা।
এক সমর্থক মন্তব্য করেন, “সিস্টার শিন কষ্ট করে জীবন গড়েছেন, প্রেমও পেয়ে গেছেন—সত্যিই প্রশংসনীয়। নিরাপদ প্রসব কামনা করি।”
অপর একটি মন্তব্য, “তিনি ডেফুর সঙ্গে রাশিয়ায় চলে যাবেন? তিনি কি তার বাবা-মামার সমবয়সী? সেটা কীভাবে সম্ভব?”
এ সবের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সিস্টার শিন তার প্রসবগত পরীক্ষার রিপোর্ট শেয়ার করে লিখেছেন, “সময়ই প্রমাণ করবে আমাদের ভালোবাসা।”
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নারী নিহত
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের রাজৈরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
নিহত নিলুফা ইয়াসমিন নিলা (৩০) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রুনসী গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত
অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, মা-মেয়ে নিহত
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল চন্দ্রা পরিবহনের বাসটি। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিলার মরদেহ উদ্ধার করে। আহত হন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মাদারীপুরের মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বাস খাদে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ