কাদা ছোড়াছুড়ির পর ‘হেরা ফেরি থ্রি’ সিনেমায় ফিরছেন পরেশ
Published: 30th, June 2025 GMT
সুনীল শেঠি, অক্ষয় কুমার ও পরেশ রাওয়াল অভিনীত বলিউডের জনপ্রিয় কমেডি সিনেমা ‘হেরা ফেরি’। এ সিনেমা ফ্যাঞ্চাইজির প্রথম পার্ট মুক্তি পায় ২০০০ সালে। অর্ধযুগের বিরতি ভেঙে নির্মিত হয় সিনেমাটির দ্বিতীয় পার্ট। এ সিনেমা ফ্যাঞ্চাইজিতে রাজু, শ্যাম ও বাবুরাও চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মুগ্ধ করেন অক্ষয়, সুনীল ও পরেশ।
নির্মিত হচ্ছে ‘হেরা ফেরি’ ফ্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তি। গত মে মাসের শেষের দিকে এ সিনেমার কাজ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন পরেশ রাওয়াল। এ ঘোষণা আসার পর পরেশের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি রুপি লোকসানের জন্য আইনি নোটিশ পাঠান সিনেমাটির প্রযোজক অক্ষয় কুমার। তারপর কাদা ছোড়াছুড়ি কম হয়নি।
সব দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ‘হেরা ফেরি থ্রি’ সিনেমায় ফেরার কথা জানালেন পরেশ রাওয়াল নিজেই। বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান ‘বাবুরাও’।
আরো পড়ুন:
নতুন রূপে বক্স অফিসে কতটা সাড়া ফেললেন কাজল?
উত্তাল সাগরে শেফালির অস্থিভস্ম ভাসালেন স্বামী
‘হেরা ফেরি থ্রি’ সিনেমা নিয়ে বিতর্ক কেন? এ প্রশ্নের জবাবে পরেশ রাওয়াল বলেন, “আসলে কোনো বিতর্ক নেই। যখন কোনো সিনেমা দর্শকদের এত পছন্দ হয়, তখন আপনাকে অতিরিক্ত যত্ন নিয়ে এটি নির্মাণ করতে হবে। দর্শক আমাদের ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি দায়িত্বও দিয়েছেন। সুতরায় আমাদের কখনো এটিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়।”
‘হেরা ফেরি থ্রি’ সিনেমা এখন আর কোনো সংকট নেই। তা নিশ্চিত করে পরেশ রাওয়াল বলেন, “আমি কেবল অনুভব করেছি, সকলের একত্রিত হওয়া উচিত এবং সেরাটা দেওয়া উচিত। এটাই ছিল একমাত্র উদ্বেগ। কিন্তু এখন সবকিছু ঠিক আছে।”
বছরের পর বছর ধরে, ‘হেরা ফেরি থ্রি’ সিনেমার চিত্রনাট্যে অসংখ্য পরিবর্তন করেছেন সংশ্লিষ্টরা। শুরু থেকেই দর্শকরা চাচ্ছিলেন অক্ষয়, সুনীল, পরেশ রাওয়াল একসঙ্গে পর্দায় আসুক। কিন্তু তাতে নানা জটিলতা দেখা দেয়।
সর্বশেষ পরেশ রাওয়ালের সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত সিনেমাটির ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। এ পরিস্থিতিতে পরিচালক প্রিয়দর্শন ঠিক কীভাবে সিনেমাটির কাজ সামনে এগিয়ে নেবেন তা প্রশ্ন ওঠে। অবশেষে সব সংকটের অবসান হলো।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় এক পোশাক কারখানার শ্রমিক অসন্তোষে বন্ধ হলো ৮ কারখানা
ফতুল্লায় আবির ফ্যাশন নামে একটি রপ্তানীমুখী পোশাক কারখানায় শ্রমিক ছাটাইকে কেন্দ্র করে অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৩০ জুন) সকালে ফতুল্লার কুতুবআইল এলাকার কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
এসময় ওই কারখানার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে আশপাশের আরো ৮টি কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। সেই সাথে এদিন সকাল থেকে শুরু করে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উত্তপ্ত ছিলো ফতুল্লার শিল্পাঞ্চল। শেষ পর্যন্ত এই ঘটনায় কোন মিমাংসা না হওয়ায় আবির ফ্যাশন লে-অফ ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ৮টায় শ্রমিকরা আবির ফ্যাশনে এসে লে-অফ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পেয়ে উত্তেজিত হয়। এরপর অন্তত এক হাজারের মত শ্রমিক এক সাথে হয়ে আশপাশে অবস্থিত মাইক্রো ফাইবার গ্রুপ, মেট্রো নিটিং, ক্যাট টেক্স, পলমল গ্রুপ, টাইম সোয়েটার, আজাদ ফ্যাশনসহ অন্তত ৮টি কারখানার গেটে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এসময় কারখানা গুলোর মালিকপক্ষ ভয়ে শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানে মালিক ও শ্রমিক উভয়পক্ষের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা দীর্ঘ সময় আলোচনা করেন।
এতে শ্রমিকরা তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় আলোচনা থেকে বেরিয়ে গিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
শ্রমিকদের দাবি, ছাটাই বন্ধসহ ৮ দফা মেনে না নিলে আন্দোলন চলবে। কাজ করলে কারখানার সকল শ্রমিক কাজ করবে নয়তো কেউ কাজ করবে না। মালিকপক্ষকে একতরফা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার সহ ৮টি দাবি জানানো হয়েছে। মালিকপক্ষ দাবি মেনে না নেয়ায় আলোচনা থেকে শ্রমিকরা বেরিয়ে এসেছে। আন্দোলন চলবে।
আবির ফ্যাশনের ম্যানেজার সাগর মল্লিক বলেন, আমাদের কারখানায় ৩ হাজার শ্রমিক রয়েছে। এর মধ্যে গার্মেন্টসে রয়েছে ২৪শ। গার্মেন্টসের মধ্যে ২০৫জন শ্রমিককে আমরা চিহ্নিত করেছি যারা সবসময় নানা অজুহাতে বিশৃঙ্খলা সৃস্টি করেন।
আমাদের ধারণা কোন একটি চক্র গার্মেন্টস সেক্টর ধ্বংস করে দিতেই শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। গত কয়েক দিনে ওই শ্রমিকরা গার্মেন্টসে তান্ডব চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, রোববার সন্ধ্যায় আবির ফ্যাশনে কিছু শ্রমিক তান্ডব চালিয়েছে। এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ একটি এজাহার দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আজ বিকেল ৪টার পর থেকে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।