সুনীল শেঠি, অক্ষয় কুমার ও পরেশ রাওয়াল অভিনীত বলিউডের জনপ্রিয় কমেডি সিনেমা ‘হেরা ফেরি’। এ সিনেমা ফ্যাঞ্চাইজির প্রথম পার্ট মুক্তি পায় ২০০০ সালে। অর্ধযুগের বিরতি ভেঙে নির্মিত হয় সিনেমাটির দ্বিতীয় পার্ট। এ সিনেমা ফ্যাঞ্চাইজিতে রাজু, শ্যাম ও বাবুরাও চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মুগ্ধ করেন অক্ষয়, সুনীল ও পরেশ।

নির্মিত হচ্ছে ‘হেরা ফেরি’ ফ্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তি। গত মে মাসের শেষের দিকে এ সিনেমার কাজ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন পরেশ রাওয়াল। এ ঘোষণা আসার পর পরেশের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি রুপি লোকসানের জন্য আইনি নোটিশ পাঠান সিনেমাটির প্রযোজক অক্ষয় কুমার। তারপর কাদা ছোড়াছুড়ি কম হয়নি।

সব দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ‘হেরা ফেরি থ্রি’ সিনেমায় ফেরার কথা জানালেন পরেশ রাওয়াল নিজেই। বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান ‘বাবুরাও’।

আরো পড়ুন:

নতুন রূপে বক্স অফিসে কতটা সাড়া ফেললেন কাজল?

উত্তাল সাগরে শেফালির অস্থিভস্ম ভাসালেন স্বামী

‘হেরা ফেরি থ্রি’ সিনেমা নিয়ে বিতর্ক কেন? এ প্রশ্নের জবাবে পরেশ রাওয়াল বলেন, “আসলে কোনো বিতর্ক নেই। যখন কোনো সিনেমা দর্শকদের এত পছন্দ হয়, তখন আপনাকে অতিরিক্ত যত্ন নিয়ে এটি নির্মাণ করতে হবে। দর্শক আমাদের ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি দায়িত্বও দিয়েছেন। সুতরায় আমাদের কখনো এটিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়।”

‘হেরা ফেরি থ্রি’ সিনেমা এখন আর কোনো সংকট নেই। তা নিশ্চিত করে পরেশ রাওয়াল বলেন, “আমি কেবল অনুভব করেছি, সকলের একত্রিত হওয়া উচিত এবং সেরাটা দেওয়া উচিত। এটাই ছিল একমাত্র উদ্বেগ। কিন্তু এখন সবকিছু ঠিক আছে।”

বছরের পর বছর ধরে, ‘হেরা ফেরি থ্রি’ সিনেমার চিত্রনাট্যে অসংখ্য পরিবর্তন করেছেন সংশ্লিষ্টরা। শুরু থেকেই দর্শকরা চাচ্ছিলেন অক্ষয়, সুনীল, পরেশ রাওয়াল একসঙ্গে পর্দায় আসুক। কিন্তু তাতে নানা জটিলতা দেখা দেয়।

সর্বশেষ পরেশ রাওয়ালের সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত সিনেমাটির ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। এ পরিস্থিতিতে পরিচালক প্রিয়দর্শন ঠিক কীভাবে সিনেমাটির কাজ সামনে এগিয়ে নেবেন তা প্রশ্ন ওঠে। অবশেষে সব সংকটের অবসান হলো।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

দগ্ধ শিক্ষক মাহফুজা খাতুনও চলে গেলেন

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় দগ্ধ শিক্ষক মাহফুজা খাতুন (৪৫) মারা গেছেন। রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ২৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে একটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মাহফুজার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তাঁর শ্বাসনালি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, মাহফুজার বাবার নাম মো. মহসিন আলী। তাঁর স্বামীর নাম ওমর আলী। আয়েশা সিদ্দীকা নামে তাঁর একটি মেয়ে রয়েছে। তিনি তুরাগের বাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা।

মারা যাওয়ার দুদিন আগে মাহফুজা খাতুনের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা বলেন বড় বোন লুৎফুন নাহার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাহফুজা বলেছিল, “আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন। আমি আর বাঁচব না।”’

গতকাল মাগরিবের নামাজের পর দিয়াবাড়ি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে মাহফুজা খাতুনের জানাজা হয়। পরে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয় বলে জানান স্কুলের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল।

গত ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের হায়দার আলী ভবনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৫–এ। দগ্ধ অনেকে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৯ জন। চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফিরেছেন ১৪ জন। দগ্ধ ২১ জনের চিকিৎসা চলছে। তাঁদের মধ্যে একজন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ সূত্র জানায়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শিক্ষার্থী–শিক্ষকসহ প্রতিষ্ঠানটির ৩৪ জন মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে ২৭ জন শিক্ষার্থী, ৩ জন শিক্ষক, ৩ জন অভিভাবক, ১ জন আয়া রয়েছেন। বিমানের পাইলটসহ এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৫।

সম্পর্কিত নিবন্ধ