জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও উপড়ে ফেলা হলো অর্ধশতাধিক গাছ
Published: 30th, June 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের সম্প্রসারিত ভবন নির্মাণের জন্য অর্ধশতাধিক গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এক্সকাভেটর (মাটি খননের যন্ত্র) দিয়ে গাছগুলো উপড়ে ফেলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন।
আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সামনের গাছ উপড়ে ফেলতে শুরু করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এ সময় সেখানে ভবন নির্মাণের সমর্থক গণিত বিভাগের একদল শিক্ষার্থী ছিলেন।
এদিকে গাছ কাটার খবর পেয়ে সেখানে যান ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ, ছাত্র ফ্রন্ট ও সাংস্কৃতিক জোটের নেতা–কর্মীরা। তাঁরা গাছ কাটার প্রতিবাদ জানান।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান ও অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) নাসির উদ্দীনসহ কয়েকজন শিক্ষক ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের জবাবে তাঁরা জানান, কার অনুমতি নিয়ে গাছ কাটা হয়েছে, তা তাঁরা জানেন না। পরে উপাচার্যের নির্দেশে গাছ উপড়ে ফেলা বন্ধ করা হয়। এর আগেই অর্ধশতাধিক গাছ উপড়ে ফেলা হয়।
এ সময় উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছিল যাঁরা মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের টেন্ডার পাবেন, তাঁদের পরামর্শক্রমে জায়গা নির্ধারণ করে ভবন নির্মাণ করা হবে। কারণ, ভবন দরকার, সঙ্গে পরিবেশও রক্ষা করতে হবে। কিন্তু আমাকে না জানিয়ে গাছ উপড়ে ফেলা হলো। বিষয়টা জানার জন্য আজ প্রশাসনিক সভা করব।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০ এপ্রিল পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সামনে ভবন নির্মাণের জন্য টিনের বেড়া দিয়ে গাছ কাটার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন না করে ভবন নির্মাণে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে বিষয়টি স্থগিত করা হয়। সম্প্রতি উপাচার্য শিক্ষার্থীদের জানিয়েছিলেন, মাস্টারপ্ল্যান দরপত্র আহ্বান করা হবে। তাঁদের পরামর্শক্রমে ভবন নির্মাণের স্থান নির্ধারিত হবে। তখন গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ভবন নির্মাণ করা হবে। তবে এর আগেই গাছগুলো উপড়ে ফেলা হয়েছে।
আজ দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সামনে অর্ধশতাধিক গাছ উপড়ে আছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই সেগুনগাছ। এ ছাড়া কাঁঠালগাছ রয়েছে কয়েকটি।
গাছগুলো উপড়ে ফেলেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদার্সের কর্মীরা। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক আবদুল আজিজ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কয়েক দিন আগে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আবু রুম্মান (গণিত ছাত্র সংসদের ভিপি) আমাকে ফোন করে জানান, সব ঝামেলা মিটে গেছে, আপনি লোকবল পাঠিয়ে কাজ শুরু করেন। সে অনুযায়ী আজ আমি লোকবল পাঠিয়েছিলাম।’ শিক্ষক বা উপাচার্যের সঙ্গে কথা না বলে সেখানে কাজ শুরু করা তাঁদের ঠিক হয়নি বলে স্বীকার করেন আবদুল আজিজ।
এ বিষয়ে আবু রুম্মান বলেন, ‘আমরা প্রথমত গাছ কাটার বিপক্ষে। তবে আমাদের বিভাগের শ্রেণিকক্ষ ও ল্যাব–সংকট, শিক্ষকদের বসার জায়গা নেই, আমাদের চলাচলেরও জায়গা নেই। আমাদের একাডেমিক কার্যক্রম গতিশীল রাখতে ভবন দরকার। সেই জায়গা থেকে পরিবেশের ন্যূনতম ক্ষতি করে হলেও আমাদের ভবন দরকার।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২টি স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলছে। ওই প্রকল্পের আওতায় ১০ তলাবিশিষ্ট ছয়টি নতুন হল নির্মাণ করা শেষ। এসব স্থাপনা করতে গিয়ে কয়েক হাজারের বেশি গাছ কাটা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাতে কর্ণপাত করেনি।
এ সম্পর্কে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক সজীব আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যেই পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সামনে গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে। এটা প্রজেক্টের পিডি জানেন না, উপাচার্যও জানেন না। আমরা আসলে জানতে চাই, এই গাছগুলো কে কাটল? কার হুকুম নিয়ে কাটা হলো? যদি উপাচার্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেন, তাহলে আমরা মামলা করব, আদালতে যাব।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভবন ন র ম ণ র উপ চ র য গ ছ উপড় পর ব শ আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
জাবির বাজেটে ফের উপেক্ষিত গবেষণা ও চিকিৎসা খাত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৫—২৬ অর্থবছরের জন্য ৩২৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বাজেটে ৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা বাড়লেও ফের উপেক্ষিত হয়েছে গবেষণা ও চিকিৎসা খাত।
শনিবার বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সিনেট হলে অনুষ্ঠিত ৪২তম বার্ষিক অধিবেশনে উপস্থাপিত বাজেট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। নিয়মানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রব বাজেট উপস্থাপন করেন। সিনেটরদের আলোচনার পর তা পাস করা হয়।
২০২৫-২৬ সালের প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং পেনশন ও অবসর সুবিধার পেছনে মোট ব্যয় ২২০ কোটি ৬৩ লাখ, যা মোট বাজেটের ৬৮ দশমিক ২৩ শতাংশ। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যয় রাখা হয়েছে বেতন-ভাতায়। এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ১৮১ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এটি বাজেটের ৫৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। পেনশন ও অবসর সুবিধা খাতে এতে বরাদ্দ রয়েছে ৩৮ কোটি ৭৭ লাখ, যা বরাদ্দের ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এই খাতে বাজেটের তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় ধরা হয়েছে। এই দুই খাতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরেও বাজেটের ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়। বাজেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় ধরা হয়েছে সেবা খাতে- ৭৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এ খাতে বাজেটের ২৪ দশমিক ১৫ শতাংশ খরচ হবে।
ফের উপেক্ষিত চিকিৎসা ও গবেষণা খাত
গত ২২ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১তম ব্যাচের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়ের হোসাইন মৃত্যুবরণ করেছেন। তার মৃত্যুর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের অ্যাম্বুলেন্স তিনি যথাসময়ে পাননি এমন অভিযোগ তুলে সেদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্র সংষ্কারের দাবিতে ‘মেডিকেল ঘেরাও’ কর্মসূচি পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের সার্বিক উন্নয়নসহ বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান তারা। তবে বাজেট বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ৪৫ লাখ টাকা, যা বাজেটের মাত্র ০.১৪ শতাংশ। গত অর্থবছরেও মাত্র ০.১৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়।
গবেষণা ও উদ্ভাবন খাতেও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি বাজেটের আকার। নতুন বাজেটে প্রস্তাবিত বরাদ্দ রয়েছে ৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা, যা বরাদ্দের ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। গত বছর এটি ছিল ৭ কোটি ২২ লাখ, যা বরাদ্দের ২ দশমিক ২৬ শতাংশ। এছাড়া যানবাহন ক্রয় বাবদ ২ কোটি ২৮ লাখ, তথ্য ও যোগাযোগ ব্যয় ২ কোটি ২০ লাখ, যন্ত্রপাতি খাতে ব্যয় ৫ কোটি ৭২ লাখ এবং অন্যান্য ব্যয় ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের মূল বাজেটের আয়ের খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বা সরকারি মঞ্জুরি ২৭৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, ছাত্রছাত্রীদের থেকে প্রাপ্ত ফিস বাবদ ৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও ভর্তি ফর্ম বিক্রি থেকে আয় ২৩ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন চার্জ থেকে ৩ কোটি ৭১ লাখ ২১ হাজার টাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি থেকে আয় ৩৩ লাখ টাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য উৎস হতে আয় ১০ কোটি ১৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। ইউজিসির বরাদ্দ বাদে সব মিলিয়ে নিজস্ব আয় ৪৪ কোটি টাকা।
পাঁচ দশকে বাজেট ঘাটতি ১০০ কোটি টাকা
প্রতিষ্ঠার পর প্রায় পাঁচ দশকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রমপুঞ্জিত বাজেট ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৮০ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কোষাধ্যক্ষের বক্তব্য থেকে জানা গেছে- চলতি অর্থবছরে সর্বনিম্ন আনুমানিক ২০ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে। সে হিসেবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩০ জুনের পর বাজেট ঘাটতি পৌঁছাবে ১০০ কোটিতে। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের ঘাটতি বাজেট ছিল ১৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ১৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ও ২০২১—২২ অর্থবছরে ঘাটতি ৩ কোটি ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
বাজেটের বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রব বলেন, ২০২৪-২০২৫ সনের সংশোধিত বাজেটের জন্য ৪১৫ কোটি ৭৮ লাখ ১ হাজার টাকা এবং ২০২৫-২০২৬ সনের ৪৩৪ কোটি ৪৬ লাখ ১৯ হাজার টাকার মূল বাজেট ইউজিসিতে পাঠানো হয়। ইউজিসি ২০২৪-২০২৫ সনের সংশোধিত বাজেটে ৩৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং ২০২৫-২০২৬ সনের মূল বাজেটে ৩২৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজস্ব তহবিলে ঘাটতির পরিমাণ ৮০ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। চলতি অর্থবছরে সর্বনিম্ন আনুমানিক ২০ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে। এরূপ আর্থিক চাপের মধ্যে একটি কল্যাণমুখী বাজেট প্রস্তুত করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।
আগামী বছরের শুরুতে হতে পারে জাবির সপ্তম সমাবর্তন: উপাচার্য
আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সপ্তম সমাবর্তন। শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের ৪২তম বার্ষিক অধিবেশন এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান।
অধিবেশনে লিখিত ভাষণে উপাচার্য বলেন, ২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আগামী বছরের প্রথম তিন মাসের মধ্যে সপ্তম সমাবর্তন আয়োজন করতে আগ্রহী। এ বিষয়ে সকলের পরামর্শ ও মতামত প্রত্যাশা করছি।
উপাচার্য আরও জানান, বিগত শিক্ষাবর্ষে ১ হাজার ৬৭ জন শিক্ষার্থী স্নাতক (সম্মান), ১ হাজার ১৮২ জন শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর, ৩ জন এমফিল ও ৪৭ জন গবেষক পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
আওয়ামী লীগপন্থি সিনেটরদের প্রবেশে বাঁধা
এ দিকে দুপুর আড়াইটার দিকে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আওয়ামী লীগপন্থি সিনেটরদের প্রবেশ ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সিনেট হলের প্রবেশপথে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিক-উর-রহমান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক যুগল কৃষ্ণ দাস এবং বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিগার সুলতানা পসিনেট হলে প্রবেশ করলে শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্দেশে স্লোগান দেন। একপর্যায়ে তারা সিনেট হল ত্যাগ করেন।