দলীয় ব্যানারে কারো অপকর্মের দায় দল নেবে না
Published: 30th, June 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে সম্প্রতি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও মামলার হুমকির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে দিয়ে দলীয় অবস্থান পরিষ্কার করেছে জামায়াতে ইসলামী।
রবিবার (২৯ জুন) রাতে গণমাধ্যম পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্মীপুর শহর শাখা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংবাদে তুষার নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটের অভিযোগ আনা হয়েছে; তা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। অভিযুক্ত মেহেদী হাসান তুষার (পিতা: বাহার ভেন্ডার, সাং: বাঞ্চানগর) জামায়াতের কোনো ইউনিট বা উপশাখার সদস্য নন এবং তার সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই।
সংগঠনটি জানিয়েছে, জামায়াত আদর্শগতভাবে সকল প্রকার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরোধী। কেউ জামায়াতের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করলে তার দায় দল নেবে না। প্রশাসনের সহায়তায় এসব অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের প্রতি জামায়াত অঙ্গীকারবদ্ধ।
লক্ষ্মীপুর শহর জামায়াতের সেক্রেটারি মু.
ঢাকা/লিটন/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গণ–অভ্যুত্থানের জন–আকাঙ্ক্ষা আজও বাস্তবায়িত হয়নি: সিপিবি
গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও জন–আকাঙ্ক্ষা আজও বাস্তবায়িত হয়নি, বরং স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও রাষ্ট্রের চার মূলনীতি লক্ষ্য করে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নেতারা এ কথাগুলো বলেছেন।
শুক্রবার বিকেলে পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহ আলম। এতে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা, রাগীব আহসান মুন্না, হাসান তারিক চৌধুরী সোহেল, সদস্য জাহিদ হোসেন খান, ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম সভায় বক্তব্য দেন।
সভায় নেতারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ছিল একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, যার মধ্য দিয়ে দেশে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির উত্থান ঘটে। তাঁরা অভিযোগ করেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা দলগুলো, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর নীতি থেকে সরে গিয়ে মোশতাক-জিয়া-এরশাদের অনুসৃত পথে হেঁটেছে।
সিপিবির নেতারা বলেন, ‘ক্ষমতায় যাওয়ার ও টিকে থাকার জন্য তারা বারবার স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে আপস করেছে। তারা ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম না টেনে বরং লুটেরা ধনিক শ্রেণিকে রক্ষা করতে সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দিয়েছে।’ তাঁরা বলেন, এসব কারণেই ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন ঘটে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। তবে দুঃখজনকভাবে এক বছর পার হলেও সেই অভ্যুত্থানের মূল দাবি ও লক্ষ্য পূরণ হয়নি।
আলোচনায় নেতারা আরও বলেন, আজকের বাংলাদেশে প্রয়োজন একটি শক্তিশালী বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তির সমাবেশ। তাঁদের ভাষায়, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নয়, মুক্তিযুদ্ধের ধারায় বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনাই হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।’