আবার নতুন বলিউডের বাতাসে ভাসতে শুরু করেছেন অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের বিয়েবিচ্ছেদের গুঞ্জন। গত কয়েক বছরে বহুবার শোনা গেছে, স্বামী অভিনেতা অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে যাচ্ছেন ঐশ্বরিয়া। কিন্তু গুঞ্জন জোরালো হতে না হতেই হঠাৎ করে থেমে গেছে। আবার নতুন করে বিচ্ছেদ গুঞ্জন ডালপালা মেলতে শুরু করেছে, পদবি বদলের ঘটনায়।
আনন্দবাজার, আজকালসহ আরও কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কিছুদিন আগে সাবেক এ বিশ্বসুন্দরী নিজের নাম থেকে ‘বচ্চন’ পদবি সরিয়ে আগের ‘রাই’ পদবিতে ফিরে গেছেন। এমনকি মায়ের বাড়ি ফিরে গেছেন শাশুড়ি ও ননদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায়।
আম্বানিদের বিয়েতেও ঐশ্বরিয়ার মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে আলাদাভাবে আসতে দেখা গেছে তাঁকে। যাঁকে কেন্দ্র করে পুনরায় নেটিজেনদের আলোচনায় উঠে এসেছে অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের বিষয়টি। কিন্তু এখনও এ বিষয়ে নীরব অভিনেত্রী। অভিষেক বাধ্য হয়েছেন মুখ খুলতে।
সম্প্রতি হিন্দি সিনেমায় নিজের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আমি যতই পরিষ্কার করি না কেন এর সমাধান হবে না। আমি যা-ই বলব সত্যির বদলে লোক তথ্য বিকৃত করবে। কারণ, নেতিবাচক খবরই বিক্রি হয়। তাই এখন ভাবি, আমার জীবনের সঙ্গে যারা জড়িয়ে নেই, তাদের উত্তর দেওয়ার দায়ও আমার নেই।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ ঞ জন
এছাড়াও পড়ুন:
‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।
আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।
এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।
ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’
১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।