ছাত্রী হেনস্তাসহ নানা অভিযোগে ইবি শিক্ষক চাকরিচ্যুত
Published: 30th, June 2025 GMT
ছাত্রীদের হেনস্তা, সমকামিতা প্রচারসহ নানা অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। সোমবার ইবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।
অফিস আদেশ অনুযায়ী, গত ৩১ মে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৮তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী সহকারী অধ্যাপক হাফিজুলের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ নানা অভিযোগ এনে অনেক দিন ধরেই তাঁর অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। হাফিজুলের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটিও অভিযোগের সত্যতা পায়। গত ২২ ডিসেম্বর বার্ষিক একটি ইনক্রিমেন্ট বাতিলসহ তাঁকে এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এই শাস্তিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৭তম সভায় বিষয়টি পুনরায় ব্যাপক তদন্তের জন্য আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকেই গত ৩১ মে সর্বশেষ সিন্ডিকেটে শিক্ষক হাফিজুলকে চাকরি থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে হাফিজুল ইসলামের নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এদিকে, যৌন হয়রানি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আলী রেজওয়ান তালুকদার এবং ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের শাস্তির সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। কিন্তু তাদের এই শাস্তি ‘মাত্রাতিরিক্ত’ এবং তা সিন্ডিকেট কর্তৃক পুনর্বিবেচনা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দিয়েছেন সিন্ডিকেট সদস্য ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড.
জানা গেছে, ওই দুই শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে তাদের শাস্তির সুপারিশ বিষয়ে গত ২৫ জুন রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেন সিন্ডিকেট সদস্য ড. আমজাদ হোসেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ১০৩তম সিন্ডিকেট সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সহযোগী অধ্যাপক আলী রেজওয়ান তালুকদার ও সহকারী অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা নিয়ে তাঁর আপত্তি রয়েছে। তাঁর দাবি, তদন্ত প্রতিবেদন সম্পূর্ণভাবে সভায় পঠিত হয়নি এবং কিছু শাস্তির বিষয়ে সভায় কোনো আলোচনাও হয়নি।
এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সদস্য ও উপ-উপাচার্য ড. মাসুদা কামাল বলেন, সাধারণত সিন্ডিকেট সভায় পর্যালোচনা ও মতামতের মাধ্যমে যে কোনো সিদ্ধান্ত আসে। সে অনুযায়ী অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিষয়েও পর্যালোচনার মাধ্যমে শাস্তির সিদ্ধান্ত এসেছে।
সিন্ডিকেট সদস্য ও প্রক্টর আবদুল হাকিম বলেন, আমি সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত ছিলাম। আর সব সিন্ডিকেট সদস্যের মতামত ও পর্যালোচনার মাধ্যমেই তাদের শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন ড ক ট সদস য তদন ত সহক র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
প্রিন্সেস ডায়ানাকে নিয়ে আলোচিত পাঁচ বই
প্রিন্সেস ডায়ানাকে নিয়ে বহু জীবনী, উপন্যাস ও স্মৃতিগ্রন্থ লেখা হয়েছে। তাঁর চরিত্রটি তো শুধু ব্যক্তিগত নয়; বরং সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এমনকি অস্তিত্বগত প্রশ্নেরও জন্ম দিয়েছে। তাঁর জীবন এবং চারপাশে তৈরি হওয়া গল্পগুলো যেন একেকটি ‘মিথ’। তার দুখী দুখী চোখ, মানবিক ও সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি হয়ে উঠেছে প্রজন্মের পর প্রজন্মের কল্পনার অংশ। ডায়ানার জীবন ও চরিত্র এতটাই জটিল আর বহুমাত্রিক যে বিভিন্ন লেখক একেক দৃষ্টিতে সেসব তাঁদের লেখায় হাজির করেছেন। কেউ তাঁকে ট্র্যাজিক চরিত্র, কেউ আত্মবিপর্যস্ত নারী, কেউবা মিডিয়া আইকন ও ভুক্তভোগী, কেউ আবার অন্তরঙ্গ সেবকের দৃষ্টিতে কিংবা পালিয়ে যাওয়া নারীর প্রতীকরূপে ডায়ানাকে তুলে এনেছেন তাদের লেখায়।
অ্যান্ড্রু মরটনের ডায়ানা: হার ট্রু স্টোরি—ইন হার ওন ওয়ার্ডসডায়ানাকে নিয়ে লেখা সবচেয়ে আলোচিত বই। প্রথম সংস্করণে জাঁকজমকপূর্ণ রাজকীয় জীবনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা রাজকন্যা ডায়ানার নিঃসঙ্গতা এবং ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্দরমহলের নানা গোপনীয়তা, তাঁর সাংসারিক জীবনের নিগূঢ় বাস্তবতা উঠে আসে। রাজপরিবারের এসব দুর্ভেদ্য তথ্য উঠে আসায় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
অ্যান্ড্রু মরটন