হাতিরঝিলে শিশু ধর্ষণচেষ্টায় আসামির ১০ বছর কারাদণ্ড
Published: 30th, June 2025 GMT
রাজধানীর হাতিরঝিল থানার আমবাগান এলাকায় ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় এক আসামির ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আসামিকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. শুকুর আলী শেখ (৩৫) রাজবাড়ী জেলা সদরের লন্দানপুর গ্রামের মৃত এখলাছ শেখের ছেলে।
আজ সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো.
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ধর্ষণচেষ্টার মামলায় আসামি শুকুরকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৪) (খ) ধারায় সর্বোচ্চ সাজা তথা ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২১ মে হাতিরঝিল থানার আমবাগানের মো. আতাহার আলীর রিকশা গ্যারেজের ভেতরে রিকশার সিটে বসিয়ে ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে মো. শুকুর আলী শেখ (৩৫)। পরে শিশুটি কান্না করায় তাকে ছেড়ে দেয় আসামি। কান্নারত অবস্থায় বাসায় এসে তার মায়ের কাছে ঘটনাটি জানায়। এ ঘটনায় পরের দিন ভুক্তভোগীর বাবা হাতিরঝিল থানায় এ মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। মামলার বিচার চলাকালে ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভাঙা সড়ক মেরামতে ৫০০ কোটি টাকা চান চসিক মেয়র
এক বর্ষায় চট্টগ্রাম নগরে ভেঙেছে ৩৮৮ সড়ক। আবার অরক্ষিত নালা-নর্দমা ও খালে পড়ে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এখন এসব ভাঙা সড়ক সংস্কার ও নিরাপত্তাবেষ্টনী দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে ৫০০ কোটি টাকার বিশেষ আর্থিক বরাদ্দ চেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন।
সিটি করপোরেশনের আর্থিক সংকটের কারণে এ অর্থ বরাদ্দ দিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে গত মঙ্গলবার চিঠি দেন মেয়র শাহাদাত হোসেন। তবে আর্থিক বরাদ্দ চাইলেও তা পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কেননা এর আগে সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বর্জ্য অপসারণে যন্ত্রপাতি কেনার প্রকল্প অনুমোদনসহ বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ চাইলেও তা মেলেনি বলে খোদ মেয়রই অভিযোগ করেছিলেন।
চট্টগ্রাম নগরে পাঁচ বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি রাস্তাঘাট ভেঙে বেহাল হয়েছে। ৩৮৮টি সড়কের ১৪২ কিলোমিটার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত বছর ভেঙেছিল ১০০ কিলোমিটার। ২০২৩ সালে ৫০ কিলোমিটার, ২০২২ সালে ১০০ কিলোমিটার ও ২০২১ সালে ৩৬ কিলোমিটার সড়ক নষ্ট হয়েছিল।
গত ছয় বছরে অরক্ষিত খাল ও নালায় পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৫ সালে দুজন, ২০২৪ সালে তিনজন, ২০২৩ সালে তিনজন, ২০২১ সালে পাঁচজন ও ২০২০ সালে দুজনের প্রাণহানি হয়েছে। সর্বশেষ চলতি বছরের ৯ জুলাই হালিশহরের আনন্দপুর এলাকায় তিন বছর বয়সী হুমায়রার মৃত্যু হয় মায়ের কর্মস্থলের পাশের নালায় পড়ে। এর আগে গত ১৮ এপ্রিল নগরের কাপাসগোলায় হিজড়া খালে রিকশা উল্টে পড়ে গেলে মায়ের কোল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ছয় মাসের শিশু আনাবিয়া মেহেরিন সেহরীশের।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নগরের ভাঙা সড়ক, নালার ঝুঁকিপূর্ণ স্ল্যাব এবং অরক্ষিত নালা ও খালের তালিকা করেছে। তালিকা অনুযায়ী ১৪২ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে প্রয়োজন হবে ৪২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ১৮ হাজার ৬৬৩ বর্গমিটার স্ল্যাব ঠিক করতে লাগবে ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। অরক্ষিত নালা ও খালে নিরাপত্তাবেষ্টনী দিতে হবে ২১ কিলোমিটার। এতে খরচ হবে ২১ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
সড়কে সৃষ্ট বড় গর্তে জমে আছে পানি। গাড়ি চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন চালকেরা। গত বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাট এলাকায়