ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে মারধর ও স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাতের এ ঘটনায় সোমবার তজুমদ্দিন থানায় উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক ফরিদ উদ্দিনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছে– তজুমদ্দিন সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো.

রাসেল এবং ফরিদ উদ্দিনের সহযোগী আলাউদ্দিন, যিনি নিজেকে স্থানীয় যুবদলের নেতা হিসেবে পরিচয় দেন, তবে কোনো পদ নেই। 

মামলার বাদী ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী জানান, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ চলছে। এ নিয়ে কথা বলার জন্য শনিবার রাতে ফোন করে তাকে তজুমদ্দিন বাজার এলাকায় যেতে বলেন ওই নারী। সেখানে পৌঁছানোর পর শ্রমিক দলের নেতা ফরিদ উদ্দিন, তার সহযোগী আলাউদ্দিন, ছাত্রদল নেতা রাসেলসহ ৫ থেকে ৭ জন তাকে মারধর করে চার লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না পেয়ে তাকে রাতভর নির্যাতন করা হয়। খবর পেয়ে পরদিন রোববার বেলা ১১টায় ওই ব্যক্তির প্রথম স্ত্রী সেখানে গিয়ে আসামিদের ১০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু এতে খুশি হননি ফরিদ ও তার লোকজন। ক্ষুব্ধ হয়ে স্বামী-স্ত্রী দু’জনকে নির্যাতন করতে থাকে তারা।

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, দুপুর ১২টায় তার স্বামীকে জোরপূর্বক বাসার বাইরে নিয়ে যায় আসামিদের কয়েকজন। এ সময় ওই বাসার একটি কক্ষে  ফরিদ ও আলাউদ্দিন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। তখন ঘরের বাইরে পাহারায় ছিল মারধরের শিকার ব্যক্তির দ্বিতীয় স্ত্রী। ধর্ষণের শিকার নারী আসামিদের ‘ভাই’ ডেকেও রক্ষা পাননি। বিষয়টি কাউকে না জানানোর শর্তে বিকেলে মুক্তি স্বামী-স্ত্রীর। বাড়ি ফিরে সন্ধ্যায় দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা চালান ধর্ষণের শিকার নারী। তবে স্বজনদের কারণে তিনি তা করতে পারেননি। প্রতিবেশীদের সহায়তায় ওই রাতে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পরে তজুমদ্দিন থানা পুলিশ গিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে।

আজ সন্ধ্যায় তজুমদ্দিন থানার ওসি মোহাব্বত খান জানান, এজাহার অনুযায়ী, ফরিদ ও আলাউদ্দিন ধর্ষণ করে এবং একজন তাদের সহযোগিতা করে। মারধরের ঘটনায় ৬-৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এসপি মোহাম্মদ শরীফুল হক বলেন, তদন্তে প্রমাণ হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদল নেতা রাসেল বলেন, ‘আমি বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।’ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ওমর আসাদ রিন্টু জানান, বিএনপির অঙ্গসংগঠনের কেউ এ ঘটনায় জড়িত থাকলে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ধর্ষণের শিকার মানসিক ভারসাম্যহীন শিশু
ফরিদপুর সদর উপজেলায় মানসিক ভারসাম্যহীন (১০) শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববারের এ ঘটনায় সোমবার কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নিযাতন দমন আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর মা। মামলার আসামি ওমর আলী ও মো. জুয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার ওসি আসাদউজ্জামান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই শিশুকে ওমর আলী ধর্ষণ করে। তাকে সহায়তা করে জুয়েল। ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

ঝিনাইদহে শিশুকে ধর্ষণ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ১২ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে রোববার তানভীর হোসেন ওরফে সোহেল মন্ডল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিন সন্ধ্যায় বিষয়টি জানাজানির পর রাতে ভুক্তভোগীকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় সোহেলের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সোহেলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নেত্রকোনায় শিশুকে যৌন নির্যাতন
নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলায় শিশুকে (৭) যৌন নির্যাতনের অভিযোগে জাফর আলী নামের এক মুদিদোকানিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরের এ ঘটনায় খালিয়াজুরী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার পর সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, শিশুটিকে যৌন হয়রানির বিচার চাইতে গেলে জাফর ও তার লোকজন হুমকি দেয়। এরপর তারা মামলা করেন।

মাদ্রাসায় ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার এক মাদ্রাসায় ছাত্রীকে (১১) যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রাম্য সালিশে শরিফুল ইসলাম নামের এক শিক্ষককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই মাদ্রাসার সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, কিছুদিন ধরে শিক্ষক শরিফুল ইসলাম ওই ছাত্রীকে নানা ধরনের খারাপ ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। সেই সঙ্গে খারাপ কথা বলতেন। পরে বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্যদের ব্যক্তিদের জানানা হলে শনিবার তারা সালিশ বৈঠকে বসেন। বালিয়াকান্দি থানার ওসি জামাল উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(সংশ্লিষ্ট অফিস ও প্রতিনিধির পাঠানো তথ্য)

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর আস ম দ র এ ঘটন য় উপজ ল য় ব যবস থ র বব র ব ষয়ট ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে ভুয়া র‍্যাব গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা থেকে এক ভুয়া র‍্যাব সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১। এ সময় নগদ ১ লাখ ১২ হাজার ৪০০ টাকা, ভুয়া আইডি কার্ড ও বিভিন্ন জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত ভুয়া সনদ জব্দ করা হয়।

শনিবার (১৬ আগস্ট) র‍্যাব-১১ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুণ্ডু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে, শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে উপজেলার চৌমুহনী রোডের হেলথ কেয়ার ডায়গনস্টিক সেন্টার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আরো পড়ুন:

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলি করে পালানো আল-আমিন গ্রেপ্তার

সাংবাদিক তুহিনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে স্বাধীন: র‌্যাব

গ্রেপ্তার মো.ইয়াসিন হোসেন (২৫) সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর গ্রামের হাজী আব্দুল মুন্সী নতুন বাড়ির মৃত ইউসুফের ছেলে।  

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আরিফ হোসেন (২১) নামে এক শিক্ষার্থীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ইয়াসিন হোসেন ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে ইয়াসিন নিজেকে র‍্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে ওই ছাত্রকে জানান, তিনি ঢাকায় কর্মরত আছেন। মোবাইলে র‍্যাবের পোশাক পরিহিত ছবি প্রদর্শন করে। তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে সহকারী কাস্টমস পদে নিয়োগ দিতে পারবেন।

এভাবে প্রলোভন দেখিয়ে দুই ধাপে ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব সদস্যরা চৌমুহনী রোডের হেলথ কেয়ার ডায়গনস্টিক সেন্টার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।  

র‍্যাব-১১ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, “এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মালামালসহ আসামিকে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”

ঢাকা/সুজন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ