পে-কমিশনের দাবিতে কর্মচারি পরিষদের অর্থ সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ
Published: 30th, June 2025 GMT
নবম পে-কমিশন গঠন এবং সচিবালয়ের কর্মচারিদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা রেশন ভাতা বাস্তবায়নসহ নানা দাবি নিয়ে অর্থ সচিব ও অর্থ উপদেষ্টার একান্ত সচিবের সঙ্গে দেখা করেছেন বাদিউল কবীরের নেতৃত্বাধীন সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারি সংযুক্ত পরিষদ।
সোমবার (৩০ জুন) সচিবালয়ে দুপুরে নেতারা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.
এর আগে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় সংযুক্ত পরিষদের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীর।
এ সময় সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বাংলাদেশ সচিবালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর সংস্থায় কর্মরত কর্মচারিদের জন্য নবম পে-কমিশন গঠন এবং সচিবালয়ের কর্মচারিদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা রেশন ভাতা বাস্তবায়নের জন্য আলোচনা করেন।
সভায় সচিবালয়ে কর্মচারি নামধারী কতিপয় ব্যক্তির অরুচিকর, অবাস্তব, কর্মচারীদের দাবির সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
এ সময় নেতারা বলেন, বাংলাদেশ সচিবালয়ের সুনাম ও ঐতিহ্য ভঙ্গ করে কতিপয় ব্যক্তি সচিবালয়ের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির প্রচেষ্টায় লিপ্ত। উক্ত ব্যক্তিরা সাধারণ কর্মচারিদের স্বার্থকে উপেক্ষা করে অতীতে বনভোজন, মাশরুমের কক্ষ বরাদ্দ এবং সচিবালয় সমবায় দখলে নিয়ে ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধার ও বাণিজ্যিক মনোভাব প্রকাশ করে আসছেন। তারা তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য যে কোনো হীন কার্যের আশ্রয় গ্রহণ এবং সচিবালয়ের চলমান গঠনমূলক নেতৃত্ব পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা ও মিথ্যা অপপ্রচার চালনার জন্য যে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছেন, তাতে কর্ণপাত না করে এবং তাদের উস্কানিতে সাড়া না দিয়ে সহকর্মী ভাই-বোনদের অনুরোধ জানান।
কোনো ক্রমে আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে উদ্ভূত পরিস্থির মোকাবেলা করার সবাইকে যথাযথ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান নেতারা।
সভায় বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারি সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীর ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিনের ডাকে সাড়া দিয়ে অতীতে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় দাবি-দাওয়া পেশ ও সফল বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ভবিষ্যতের দিনগুলোতেও ধৈর্য, সংযম, বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার সঙ্গে কালো আইন বাতিলের বা কাঙ্ক্ষিত সংশোধনী গেজেট প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত সকলকে যে কোনো কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানানো হয়।
আগামী জুলাই মাসের মধ্যে ৯ম পে-কমিশন গঠন এবং সচিবালয়ে রেশন ভাতা চালুর জন্য যে কোনো সম্ভাব্য কর্মসূচি বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা মো: তোয়াহা, শাহীন গোলাম রব্বানী, মো: নজরুল ইসলাম, মো: নুরুজ্জামাল, মো: মিজানুর রহমান, সুমন জিমানুর রহমান, আব্দুস সবুর, বাবুল আক্তার, বায়েজিদ হাসান, মাকছুদা আক্তার বেলী, নুরুন্নাহার, রহমত উল্লাহ বাবু, আশরাফুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন, মো: বিপুল, আরিফুর রহমান, আরিফ হুসাইন,, রুহুল আমিন মো: আরিফ, সাব্বির আহম্মেদ, আব্দুল কাদের, শাহাদাৎ হোসেন, শামীমসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি, সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকেরা।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে রাতের আঁধারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পোস্টার
ঝালকাঠিতে ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঝালকাঠি জেলা শাখার সদস্যরা শহরের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের পক্ষে বরিশাল-ঝালকাঠি আঞ্চলিক মহাসড়কের নলছিটি থানার বিসিক, প্রতাপ, বরইতলা, ভৈরবপাশা, ষাটপাকিয়া, শ্রীরামপুর, আমিরাবাদসহ সড়কের পাশে থাকা বিভিন্ন মাইলফলকে এসব পোস্টার লাগানো হয়।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে বিষয়টি সকলে নজরে আসে।
একাধিক সূত্র জানায়, রাতের আঁধারেই এসব পোস্টার লাগানো হয়। ঘটনার পরপরই ঝালকাঠি-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি পেট্রোল পাম্প মোড়সহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়। পাশাপাশি টহলে রয়েছে জেলা পুলিশের বিভিন্ন টিম। পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদও চলছে।
জেলা বিএনপির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান মুবিন বলেন, ‘‘নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ রাতের আঁধারে পোস্টারিং করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। গণঅভ্যুত্থানের পর তাদের সাহস নেই প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি করার, তাই চোরের মতো রাতের আঁধারে পোস্টার লাগিয়েছে।’’
এদিকে, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ মধু তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্টারের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ঝালকাঠির বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগানো হয়েছে। যারা পোস্টার লাগিয়েছে, তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’’
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুস ছালাম বলেন, “পোস্টারগুলো কারা লাগিয়েছে, সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি অনুসন্ধান করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘মহাসড়কে টহল পুলিশ কর্তব্য পালন করছে। হয়তো রাতের আঁধারে কেউ চোখ ফাঁকি দিয়ে পোস্টার লাগিয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে যারা এ কাজ করেছে, তাদের শনাক্তেরও চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/অলোক/এস