সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় চুরির ঘটনায় ৮ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ১
Published: 1st, July 2025 GMT
নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন শপ থেকে লোহার বাবরি চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. জাবেদ (৩৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। তিনি টেম্পোরারি লেবার রিক্রুটমেন্ট (টিএলআর) পদে কর্মরত ছিলেন।
চুরির ঘটনায় রেলওয়ের হাবিলদার, টিএলআর কর্মী, চার ব্যবসায়ীসহ মোট আটজনের নাম উল্লেখ করে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। শপটির ইনচার্জ সিনিয়র সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে মামলাটি করেন।
গ্রেপ্তার জাবেদ সৈয়দপুর পৌরসভার পাটোয়ারী পাড়ার বাসিন্দা এবং মমিতুল ইসলামের ছেলে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ-উন নবী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিকেলে ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন শপ থেকে লোহার বাবরি চুরির তথ্য জানতে পারেন শপটির ইনচার্জ সিনিয়র সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম। তিনি তাৎক্ষণিক বিষয়টি বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ককে জানান এবং সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হন।
ফুটেজে দেখা যায়, জাবেদ একটি বস্তায় লোহার বাবরি বহন করছেন। এরপর তাঁকে আটক করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি চুরির কথা স্বীকার করেন।
এ ঘটনায় বাফার সেকশনের টিএলআর হুমায়ুন কবির (৪৩), ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন শপের টিএলআর সাইফুল ইসলাম (৩৫), রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার হাসান আল মামুন (৪০) এবং চোরাই মাল কেনার অভিযোগে শহরের ব্যবসায়ী মোহন চন্দ্র, মুন্না হোসেন, জাভেদ আকতার ও এরশাদ আলীর নাম উঠে আসে।
কারখানা কর্তৃপক্ষ হুমায়ুন কবির ও সাইফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর লালমনিরহাট কমান্ড্যান্ট মোরশেদ আলমের নির্দেশে হাবিলদার হাসান আল মামুনকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারখানার নিরাপত্তা পরিদর্শক ইলিয়াছ হোসেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স য়দপ র র লওয় ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।
আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।
এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।
ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’
১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।