নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন শপ থেকে লোহার বাবরি চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. জাবেদ (৩৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। তিনি টেম্পোরারি লেবার রিক্রুটমেন্ট (টিএলআর) পদে কর্মরত ছিলেন।

চুরির ঘটনায় রেলওয়ের হাবিলদার, টিএলআর কর্মী, চার ব্যবসায়ীসহ মোট আটজনের নাম উল্লেখ করে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। শপটির ইনচার্জ সিনিয়র সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে মামলাটি করেন।

গ্রেপ্তার জাবেদ সৈয়দপুর পৌরসভার পাটোয়ারী পাড়ার বাসিন্দা এবং মমিতুল ইসলামের ছেলে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ-উন নবী।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিকেলে ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন শপ থেকে লোহার বাবরি চুরির তথ্য জানতে পারেন শপটির ইনচার্জ সিনিয়র সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম। তিনি তাৎক্ষণিক বিষয়টি বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ককে জানান এবং সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হন।

ফুটেজে দেখা যায়, জাবেদ একটি বস্তায় লোহার বাবরি বহন করছেন। এরপর তাঁকে আটক করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি চুরির কথা স্বীকার করেন।

এ ঘটনায় বাফার সেকশনের টিএলআর হুমায়ুন কবির (৪৩), ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন শপের টিএলআর সাইফুল ইসলাম (৩৫), রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার হাসান আল মামুন (৪০) এবং চোরাই মাল কেনার অভিযোগে শহরের ব্যবসায়ী মোহন চন্দ্র, মুন্না হোসেন, জাভেদ আকতার ও এরশাদ আলীর নাম উঠে আসে।

কারখানা কর্তৃপক্ষ হুমায়ুন কবির ও সাইফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর লালমনিরহাট কমান্ড্যান্ট মোরশেদ আলমের নির্দেশে হাবিলদার হাসান আল মামুনকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারখানার নিরাপত্তা পরিদর্শক ইলিয়াছ হোসেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স য়দপ র র লওয় ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় চুরির ঘটনায় ৮ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ১

নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন শপ থেকে লোহার বাবরি চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. জাবেদ (৩৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। তিনি টেম্পোরারি লেবার রিক্রুটমেন্ট (টিএলআর) পদে কর্মরত ছিলেন।

চুরির ঘটনায় রেলওয়ের হাবিলদার, টিএলআর কর্মী, চার ব্যবসায়ীসহ মোট আটজনের নাম উল্লেখ করে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। শপটির ইনচার্জ সিনিয়র সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে মামলাটি করেন।

গ্রেপ্তার জাবেদ সৈয়দপুর পৌরসভার পাটোয়ারী পাড়ার বাসিন্দা এবং মমিতুল ইসলামের ছেলে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ-উন নবী।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিকেলে ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন শপ থেকে লোহার বাবরি চুরির তথ্য জানতে পারেন শপটির ইনচার্জ সিনিয়র সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম। তিনি তাৎক্ষণিক বিষয়টি বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ককে জানান এবং সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হন।

ফুটেজে দেখা যায়, জাবেদ একটি বস্তায় লোহার বাবরি বহন করছেন। এরপর তাঁকে আটক করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি চুরির কথা স্বীকার করেন।

এ ঘটনায় বাফার সেকশনের টিএলআর হুমায়ুন কবির (৪৩), ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন শপের টিএলআর সাইফুল ইসলাম (৩৫), রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার হাসান আল মামুন (৪০) এবং চোরাই মাল কেনার অভিযোগে শহরের ব্যবসায়ী মোহন চন্দ্র, মুন্না হোসেন, জাভেদ আকতার ও এরশাদ আলীর নাম উঠে আসে।

কারখানা কর্তৃপক্ষ হুমায়ুন কবির ও সাইফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর লালমনিরহাট কমান্ড্যান্ট মোরশেদ আলমের নির্দেশে হাবিলদার হাসান আল মামুনকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারখানার নিরাপত্তা পরিদর্শক ইলিয়াছ হোসেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ