জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী জয়া আহসান। দেশের সীমা পেরিয়ে ভারতে অভিনয় ও রূপের দ্যুতি ছড়িয়েছেন। উপহার দিয়েছেন বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমা। এরই মধ্যে ওপার বাংলার দর্শকদের ভালোবাসা যেমন পেয়েছেন, তেমনি কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্তির ঝুলিতে জমা পড়েছে পুরস্কার। 

ব্যক্তিগত জীবনে মডেল-অভিনেতা ফয়সাল আহসানের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন জয়া আহসান। কিন্তু ২০১২ সালে ভেঙে যায় তাদের ১৪ বছরের সংসার। তারপর আর বিয়ে করেননি জয়া। বর্তমানে কলকাতায় ‘অর্ধাঙ্গিনী’ সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেখান থেকে একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এ আলাপচারিতার কাজ ও ব্যক্তিগত নানা বিষয় উঠে এসেছে। 

আপনার প্রেম-বিয়ে নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ অনেক। এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে কী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন? জবাবে জয়া আহসান বলেন, “স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করার কিছু নেই। আমার চেয়ে দর্শক ও শুভানুধ্যায়ীদের আগ্রহ অনেক বেশি। এটা থাকবেই, এটাই স্বাভাবিক। কেউ কাউকে ভালোবাসলে এটা ঘটে।”   

আরো পড়ুন:

জয়া আহসান কবে বিয়ে করবেন?

একসঙ্গে জয়া, মেহজাবীন ও রায়হান রাফী

ব্যাখ্যা করে জয়া আহসান বলেন, “দর্শকরা আমাকে ভালোবাসে বলেই হয়তো তারা এ বিষয়ে সচেতন, আমাদের ব্যক্তিগত জীবন ও পেশাগত জীবন—সবকিছু নিয়ে। তবে আমার ব্যক্তিগত জায়গা তো আমারই, তা আমি কখনো খোলাসা করব না। অন্তত গণমাধ্যমের সামনে বলব না, সম্পর্কে আছি কি নেই, বিয়ে করার পরিকল্পনা আছে কি নেই!” 

আপনি কী ইচ্ছা করেই ব্যক্তিগত সম্পর্ক গোপন রাখেন? জবাবে জয়া আহসান বলেন, “এটা একদমই আমার সচেতন সিদ্ধান্ত। আমি মনে করি, রিলেশনশিপ, ব্যক্তিগত বিষয় যত বেশি লোকের জানাজানি হবে—তত বেশি সম্পর্ক নষ্ট হয়, এটা আমার বিশ্বাস।” 

অনেক দিন ধরেই কী আপনি সিঙ্গেল? এ প্রশ্নের উত্তরে জয়া আহসান বলেন, “একা আছি এটা আপনিও বলতে পারেন না, দর্শকও বলতে পারে না, একা আছি কি না এটা একমাত্র আমিই বলতে পারব।” 

ব্যাখ্যা করে জয়া আহসান বলেন, “একা আছি কি নেই, এটার উত্তর দেব না। কিন্তু দর্শক জয়া আহসানের যে ইমেজটা দেখে, তাতে তো ভালো লাগে। কারণ এ ইমেজটাই তো আমি তৈরি করতে চেয়েছিলাম। সেটাই আছে। আমি আমার ব্যক্তিগত জায়গায় অনুপ্রবেশ করতে দিতে চাই না। ব্যক্তিগত তো আসলে ব্যক্তিগত। ওটা আমার কাজের জীবনে কোনো উপকারে আসবে না। তাহলে কেন আমি তা খামোখা প্রকাশ করব? আমি শুধু কাজ দিয়ে দর্শকের খুব আগ্রহের জায়গায় রয়েছি। কাজ দিয়ে যারা আগ্রহের জায়গা নেই, কাজ নিয়ে যারা ইনসিকিউরড তারাই নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন, সংগ্রাম বিক্রি করে—সেগুলো আমার পছন্দ নয়। আমার সেটা করার প্রয়োজন হয়নি।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জয় আহস ন চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

এক শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে মারা গেল ২ জনই

বরগুনায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

মারা যাওয়া দুই শিশু হলো, পাতাকাটা গ্রামে সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে জুনায়েদ (৫) এবং রাসেল হোসেনের ছেলে ইয়াসিন (৮)। তাদের পরিবার প্রতিবেশী।

জুনায়েদের বাবা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘‘দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরের পাড়ে খেলছিল জুনায়েদ এবং ইয়াসিন। এ সময় আমার ছেলে জুনায়েদ পানিতে পড়ে গেলে ইয়াসিন তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে সেও পানিতে পড়ে ডুবে যায়। দীর্ঘ সময় শিশুদের খোঁজ না পেয়ে খুঁজতে গিয়ে দেখেন পুকুরে দুইজন ভাসছে। তাদের উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন তারা।’’ 

আরো পড়ুন:

৪ কোটি শিশুকে শরণার্থী বানিয়েছে যুদ্ধ আর সংঘাত

শিশু শিক্ষার্থীকে বস্তায় ভরে নির্যাতন: সেই শিক্ষক কারাগারে

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাজকিয়া সিদ্দিকাহ বলেন, ‘‘হাসপাতালে নিয়ে আসার অনেক আগেই শিশু দুটির মৃত্যু হয়।’’  

বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, এক শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনে মারা গেল। স্বজনদের অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা/ইমরান/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ