দীর্ঘ বিরতির পর ওয়ার্ল্ড ট্যুর নিয়ে ফিরছেন বিশ্ববিখ্যাত কোরিয়ান গার্ল গ্রুপ ব্ল্যাকপিঙ্ক। নতুন গান, নতুন ভাবনা, নতুন যাত্রা– সব মিলিয়ে এক অন্যরকম প্রত্যাবর্তন। দীর্ঘ দুই বছর আট মাস পর তারা ফিরছে নতুন সিঙ্গেল ও বহুল প্রতীক্ষিত ওয়ার্ল্ড ট্যুর নিয়ে, যার নাম– ‘ডেডলাইন’। এই ঘোষণা এক সঙ্গে উন্মাদনা ছড়িয়েছে বিশ্বব্যাপী ফ্যানদের মাঝে।

সম্প্রতি ওয়াইজি এন্টারটেইনমেন্ট প্রকাশ করেছে এই বিশ্বসফরের একটি সিনেম্যাটিক টিজার ভিডিও, যা দেখতে অনেকটা হাইওয়ে-পশ্চিমা ঘরানার কোনো হলিউড ট্রেলারের মতো।

ভিডিওতে দেখা যায়, একা মরুভূমির মধ্যে ফোনে কথা বলছেন রোজে। কিছুক্ষণ পর একে একে লিসা, জেনি ও জিসু এসে যোগ দেন তাঁর সঙ্গে। এরপর চারজন মিলে রওনা হন এক রোমাঞ্চকর রোড ট্রিপে, যেন সংগীতের খোঁজে চার ভিন্ন আত্মা এক হয়ে যাচ্ছে।

ভিডিওটির দৃশ্যধারণ হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার ল্যাঙ্কাস্টার মরুভূমি ও হলিউডের একটি স্টুডিওতে। এতে কাজ করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কিছু পরিচালক ও শিল্প নির্দেশক, যা টিজারটির গঠন ও আবহে স্পষ্ট। শুধু একটি ট্যুরের ঘোষণাই নয়, এটা যেন এক গল্প, এক যাত্রার শুরু। এই ‘ডেডলাইন’ ওয়ার্ল্ড ট্যুর শুরু হবে ৫ ও ৬ জুলাই সিউলের উপকণ্ঠে অবস্থিত গোয়াং স্পোর্টস কমপ্লেক্সে। সেখান থেকেই শুরু হবে তাদের বিশ্বসফর, যেখানে ব্ল্যাকপিঙ্ক পারফর্ম করবে বিশ্বের ১৬টি শহরে, প্রতিটি কনসার্টে ভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে। আর এই কনসার্টের মঞ্চেই প্রথমবারের মতো উন্মোচিত হবে ব্ল্যাকপিঙ্কের নতুন গান, যা হবে তাদের প্রায় তিন বছরের নীরবতা ভাঙার মুহূর্ত।

গানের শিরোনাম এখনও প্রকাশ না হলেও, সূত্র বলছে, গানটিতে থাকবে ব্ল্যাকপিঙ্কের চিরচেনা শক্তি, আধুনিকতা ও নতুন এক আবেগঘন সুরের মিশেল। ব্ল্যাকপিঙ্কের এই ফিরে আসা শুধু আরেকটি অ্যালবাম রিলিজ নয়– এটা যেন তাদের ফ্যানদের উদ্দেশে একটি বার্তা: “আমরা ফিরেছি, আরও নতুন গল্প নিয়ে, আগের চেয়েও বড় করে।”

বিশ্বসংগীত আবারও কাঁপাতে প্রস্তুত ব্ল্যাকপিঙ্ক। ডেডলাইন আসছে– তাদের ছন্দে আবার নড়বে বিশ্ব।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব য ন ড দল

এছাড়াও পড়ুন:

গণ–অভ্যুত্থানের জন–আকাঙ্ক্ষা আজও বাস্তবায়িত হয়নি: সিপিবি

গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও জন–আকাঙ্ক্ষা আজও বাস্তবায়িত হয়নি, বরং স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও রাষ্ট্রের চার মূলনীতি লক্ষ্য করে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নেতারা এ কথাগুলো বলেছেন।

শুক্রবার বিকেলে পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহ আলম। এতে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা, রাগীব আহসান মুন্না, হাসান তারিক চৌধুরী সোহেল, সদস্য জাহিদ হোসেন খান, ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম সভায় বক্তব্য দেন।

সভায় নেতারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ছিল একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, যার মধ্য দিয়ে দেশে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির উত্থান ঘটে। তাঁরা অভিযোগ করেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা দলগুলো, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর নীতি থেকে সরে গিয়ে মোশতাক-জিয়া-এরশাদের অনুসৃত পথে হেঁটেছে।

সিপিবির নেতারা বলেন, ‘ক্ষমতায় যাওয়ার ও টিকে থাকার জন্য তারা বারবার স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে আপস করেছে। তারা ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম না টেনে বরং লুটেরা ধনিক শ্রেণিকে রক্ষা করতে সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দিয়েছে।’ তাঁরা বলেন, এসব কারণেই ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন ঘটে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। তবে দুঃখজনকভাবে এক বছর পার হলেও সেই অভ্যুত্থানের মূল দাবি ও লক্ষ্য পূরণ হয়নি।

আলোচনায় নেতারা আরও বলেন, আজকের বাংলাদেশে প্রয়োজন একটি শক্তিশালী বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তির সমাবেশ। তাঁদের ভাষায়, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নয়, মুক্তিযুদ্ধের ধারায় বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনাই হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ