এইচএসসি পরীক্ষায় ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে যেভাবে বেশি নম্বর পাওয়া যাবে
Published: 1st, July 2025 GMT
এইচএসসি পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করতে হলে প্রথম ও দ্বিতীয় উভয় পত্রেই বেশি নম্বর পেতে। ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে থাকছে ১০০ নম্বর। গ্রামার অংশে ৬০ নম্বর ও কম্পোজিশন অংশে ৪০ নম্বর থাকবে। প্রতিটি গ্রামার প্রশ্নের উত্তর ভালোভাবে লিখতে হবে। এখন জেনে নেওয়া যাক বেশি নম্বর পেতে কীভাবে প্রশ্নের উত্তর লিখবে।
গ্রামার অংশ—৬০ নম্বরপ্রশ্ন নম্বর ১
এক নম্বর প্রশ্নটি Gap filling activists without clues (for prepositions) এর ওপর। এ প্রশ্নে ১০টি শূন্যস্থান-সংবলিত একটি টেক্সট দেওয়া থাকবে। উপযুক্ত preposition দিয়ে টেক্সট-এর শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে। উত্তরপত্রে টেক্সট লিখতে হবে না। উত্তরপত্রে a, b, c ইত্যাদি ধারাবাহিকভাবে লিখে শুধু উপযুক্ত preposition লিখতে হবে। প্রশ্নের মান ৫।
প্রশ্ন নম্বর ২
দুই নম্বর প্রশ্নটি থাকবে Gap filling activities with clauses এর ওপর। এ প্রশ্নে ছোট ছোট বাক৵ দিয়ে তৈরি করা একটি টেক্সট দেওয়া থাকবে। প্রতিটি টেক্সটে একটি করে শূন্যস্থান দেওয়া থাকবে। was born, have to, would rather, had better, let alone, as soon as, what’s …like, what does….
প্রশ্ন নম্বর ৩
তিন নম্বর প্রশ্নটি Completing Sentences with clauses/phrases এর ওপর। এ প্রশ্নে ছোট ছোট sentence দিয়ে তৈরি করা একটি টেক্সট দেওয়া থাকবে। প্রতিটি টেক্সটে একটি করে শূন্যস্থান দেওয়া থাকবে। একটি phrase (noun phrase, infinitive phrase, participle prepositional phrase) অথবা একটি clause (conditional clause, adjective clause, adverbial clause, noun clause) দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে। উত্তরপত্রে অবশ্যই পূর্ণ Sentences লিখতে হবে এবং উত্তরের নিচে দাগ দিতে হবে। প্রশ্নের মান ১০।
প্রশ্ন নম্বর ৪
চার নম্বর প্রশ্ন Use of verbs (Right form of verbs and Subject-verb agreement as per contex) নিয়ে। এ অংশে ১৪টি শূন্যস্থান-সংবলিত একটি টেক্সট দেওয়া থাকবে। প্রদত্ত Verb-এর right form ব্যবহার করে শূন্যস্থানগুলো পূরণ করবে। subject-verb-agreement, person, number এবং tense-এর পরিবর্তন ছাড়াও voice-এর passive form ব্যবহার করে right form of verbs-এর উত্তর দেবে। প্রয়োজনে Verb-এর negative form ব্যবহার করবে। প্রশ্নের মান ৭।
প্রশ্ন নম্বর ৫
পাঁচ নম্বর প্রশ্ন থাকবে Narrative বিষয়ে। এ অংশে একটি টেক্সট দেওয়া থাকবে। প্রশ্নপত্রে টেক্সটটি Indirect speech (পরোক্ষ উক্তি) এ উল্লেখ থাকলে তাকে Direct speech (প্রত্যক্ষ উক্তি) এ পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু Direct speech এ উল্লেখ থাকলে তাকে Indirect speech (পরোক্ষ উক্তি) লিখতে হবে। Person, reporting verb ও tense পরিবর্তনের সময় অবশ্যই সতর্ক থাকবে। প্রশ্নের মান ৭।
প্রশ্ন নম্বর ৬
ছয় নম্বর প্রশ্নটি Use of Modifiers এর ওপর। এ অংশে ১০টি শূন্যস্থান-সংবলিত একটি টেক্সট দেওয়া থাকবে। প্রশ্নপত্রে প্রদত্ত প্রথম বন্ধনীর ভেতরের নির্দেশনা অনুসারে উপযুক্ত modifier ব্যবহার করে টেক্সটের অর্থ অনুসারে উত্তর লিখতে হবে। প্রশ্নের মান ৫।
প্রশ্ন নম্বর ৭
Connectors/linking words প্রশ্নটি থাকবে সাত নম্বরে। এ অংশে ১৪টি শূন্যস্থান-সংবলিত একটি passage দেওয়া থাকবে। প্রদত্ত প্যাসেজের অর্থ অনুসারে উপযুক্ত connectors/ linking words ব্যবহার করে উত্তর লিখতে হবে। উত্তরপত্রে প্যাসেজ লিখতে হবে না। প্রশ্নের মান ৭।
প্রশ্ন নম্বর ৮
অষ্টম প্রশ্নটি antonym/synonym এর ওপর। প্রশ্নের এ অংশে antonym ও synonym-এর ব্যবহার করার জন্য আন্ডারলাইন করা ১০টি শব্দের একটি প্যাসেজ দেওয়া থাকবে। প্যাসেজটির নিচে underline করা শব্দের পাশে প্রদত্ত প্যাসেজের অর্থ এবং প্রথম বন্ধনীর ভেতরের নির্দেশনা অনুসারে উপযুক্ত antonym/synonym ব্যবহার করে উত্তর লিখবে। প্রদত্ত শব্দের parts of speech এবং এর antonym/synonym যেন একই parts of speech হয়, সে বিষয়টি মনে রাখতে হবে। প্রশ্নের মান ৭।
প্রশ্ন নম্বর ৯
নবম প্রশ্নটি Use of Punctuation নিয়ে। প্রশ্নপত্রের এ অংশে টেক্সট দেওয়া থাকবে, যেখানে কোনো punctuation marks (বিরাম চিহ্ন) দেওয়া থাকবে না। উপযুক্ত punctuation marks এবং capital letter ব্যবহার করে টেক্সটটি লিখতে হবে। প্রশ্নের মান ৭।
কম্পোজিশন—৪০ নম্বরপ্রশ্ন নম্বর ১০
দশম প্রশ্নটি Formal letter writing/Email এর ওপর। এ অংশে একটি formal letter/email লিখতে হবে। যেখানে সাধারণত শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা, দৈনন্দিন সমস্যা, সাম্প্রতিক বিষয়, কোনো বিষয়ের অভিযোগ উল্লেখ থাকে। কোনো বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে চাওয়া হলেও এ ধরনের Formal letter/email লিখতে হয়। প্রশ্নের মান থাকবে ১০।
প্রশ্ন নম্বর ১১
১১তম প্রশ্নটি Paragraph Writing (by listing/description) নিয়ে। এ অংশে প্রশ্নপত্রের প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী এর পদ্ধতি অনুসরণ করে ২০০ শব্দের মধ্যে একটি প্যারাগ্রাফ লিখতে হবে। প্যারাগ্রাফটির বিষয়বস্তু যেন প্রাসঙ্গিক হয়। এ প্রশ্নের মান ১৫।
প্রশ্ন নম্বর ১২
শেষ প্রশ্নটি ১২ নম্বর প্রশ্ন হবে Paragraph Writing (comparison and contrast, cause and effect) এর ওপর। এ অংশে প্রশ্নপত্রের প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী comparison and contrast, cause and effect-এর পদ্ধতি অনুসরণ করে ২০০ শব্দের মধ্যে একটি প্যারাগ্রাফ লিখতে হবে। প্রশ্নের মান ১৫। যেহেতু প্রশ্নের মান বেশি, তাই উত্তরও ভালো করে লিখতে হবে। প্রশ্নে কোনো বানান ভুল হওয়া যাবে না।
লেখক: মো. জসিম উদ্দীন বিশ্বাস, সহকারী অধ্যাপক, রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, ঢাকা
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর প রদত ত উপয ক ত এর ওপর পর ক ষ অন স র
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পুতিনকে কেন গ্রেপ্তার করা হবে না
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০২৩ সালের মার্চে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সে সময় পুতিনকে একজন ‘যুদ্ধাপরাধী’ আখ্যায়িত করে বলেছিলেন, এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ন্যায়সংগত। তবে যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্য কোনো দেশ নয়।
২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন রোম সংবিধিতে স্বাক্ষর করেছিলেন, ওই সংবিধির আলোকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট কখনো ওই চুক্তিকে আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক করার জন্য অনুসমর্থনের জন্য পদক্ষেপ নেয়নি।
বিল ক্লিনটন রোম সংবিধিতে স্বাক্ষরের দুই বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের সম্পৃক্ততার অবসান ঘটান। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে তিনি বলেছিলেন, প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।
সে কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কার্যকারিতা আমেরিকার মাটিতে নেই।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন প্রকাশ্যে আইসিসির প্রতি বৈরিতা করছে। নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত এই আদালতের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। আফগানিস্তানে যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা যুদ্ধাপরাধ করেছেন, এমন অভিযোগের তদন্ত করায় আইসিসির ওই সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেয় ট্রাম্প প্রশাসন।
আইসিসির এখতিয়ারের এই ঘাটতিই পুতিনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আজকের বৈঠকের স্থান হিসেবে আলাস্কাকে বেছে নেওয়ার একটি কারণ হতে পারে।
অবশ্য আইসিসির স্বাক্ষরকারী দেশ মঙ্গোলিয়ায় ২০২৩ সালের আগস্টে সফর করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সে সময় তাঁকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের অনুরোধ করা হলেও তাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল দেশটি। সে জন্য মঙ্গোলিয়াকে কোনো পরিণতি ভোগ করতে হয়নি।
শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আইন কেবল ততটাই কার্যকর হয়, যতটা দেশগুলোর সরকার এবং তাদের নেতারা কার্যকর করতে চান। আর এই ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে চান এবং এই সাক্ষাৎ তাঁর পছন্দ মতো করতে তাঁকে আটকানোর মতো কিছুই নেই।