ওয়াশব্লকে পানি না থাকায় বিপাকে শিক্ষার্থীরা
Published: 1st, July 2025 GMT
তাহিরপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পানি সরবরাহের লাইন বন্ধ থাকায় সব ওয়াশব্লক ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গত জানুয়ারি থেকে চলছে এই দুর্ভোগ।
বিদ্যালয়ের একটি নতুন ভবন নির্মাণের সময় পানির জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি বিদ্যালয়ের সাবমার্সিবল নলকূপ থেকে বিকল্প সংযোগ ব্যবহার করে। যার এক পর্যায়ে সেটি বিকল হয়ে যায়।
সহকারী শিক্ষক হোসেন আহমদ তৌফিক জানান, প্রতিষ্ঠানে ৮ জন শিক্ষক ও ৪০৪ জন শিক্ষার্থী আছে। নলকূপ বিকল হওয়ায় বিদ্যালয়ের সবক’টি ওয়াশব্লক বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে নির্মাণাধীন ভবনের ইটের গাঁথুনি নির্মাণকাজেও প্রায় এক মাস ধরে পানি দেওয়া হচ্ছে না। থমকে আছে কাজ। বিষয়টি অবহিত করার পর উপজেলা প্রকৌশলী নির্মাণকাজ আপাতত বন্ধ রাখার জন্য শ্রমিকদের বলে দিয়েছেন। পরে বার বার অবহিত করেও এখন সমাধান পাচ্ছেন না। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সাইফ উদ্দিন জানায়, বিদ্যালয়ের টয়লেটে পানি না থাকার কারণে তাদের খুব সমস্যা হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের সাবমার্সিবল নলকূপটি বন্ধ থাকার কারণে ৬টি ওয়াশব্লকে বাইরে থেকে পানি এনে ব্যবহার করতে হয়। কম পানি ব্যবহারে দুর্গন্ধ বেড়ে যাচ্ছে। ঠিকাদার লিটন মিয়াকে বার বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করছেন না।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।
আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।
এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।
ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’
১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।