জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলায় নিহতের ঘটনার ১১ মাস পর দুটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলা দুটি করেন নিহত নিজাম উদ্দিনের বাবা মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন ও কাউসার মাহমুদের বাবা মোহাম্মদ আব্দুল মোতালেব।
দুই মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, এমপি, মেয়র, কাউন্সিলরসহ ১২৬ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতসহ ৫২৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। একটি মামলায় দু’জন মৃত আওয়ামী লীগ নেতাকেও আসামি করা হয়েছে। আবার কয়েকজন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে দু’বার করে।
আসামিদের মধ্যে অন্যতম হলেন– সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.
সাহাবউদ্দিনের করা মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট নগরের লালদিঘীপাড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন তাঁর হেফজখানায় পড়ুয়া ২১ বছর বয়সী ছেলে নিজাম উদ্দিন। হাজার হাজার ছাত্র-জনতার অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের সন্ত্রাসীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গুলিবর্ষণ করে। এতে তাঁর ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ঘটনার বিস্তারিত অবগত হয়ে পরিবার ও চট্টগ্রামের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনা করে এজাহার দায়ের করতে দেরি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে এজাহারে আবদুল মোতালেব অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলে কাউছার মাহমুদ গত বছরের ৪ আগস্ট নিউমার্কেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশ নেন। সেখানে আসামিরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গুলি বর্ষণ ও হামলা চালায়। এতে তাঁর ছেলে গুরুতর আহত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে ঢাকার সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বছরের ১৩ অক্টোবর তাঁর মৃত্যু হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল করিম বলেন, দুটি মামলা হয়েছে। এজাহারে কোনো অসংগতি থাকলে তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে