কুষ্টিয়ায় জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটূক্তি, পুলিশ সদস্য ক্লোজড
Published: 2nd, July 2025 GMT
কুষ্টিয়ায় জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটুক্তিমূলক ফেসবুক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ফারজুল ইসলাম রনি নামে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বর্তমানে ওই পুলিশ সদস্য ছুটিতে রয়েছেন। তবে তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো.
এর আগে মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলের দিকে ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে জুলাই অবমাননাকর পোস্ট করেন কুষ্টিয়া ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল ফারজুল ইসলাম রনি। বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষোভে ফুসে ওঠেন ছাত্র সমাজ। এরপর তারা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে।
এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে ও অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন কুষ্টিয়ার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তারা কুষ্টিয়া-মেহেরপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। তার গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান বলেন, “কুষ্টিয়া ট্রাফিক বিভাগের কর্মরত কনস্টেবল ফারজুল ইসলাম রনি ফেসবুকে জুলাই অবমাননাকর কটূক্তিমূলক পোস্ট করেছেন। আমরা তারই প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছি এবং এসপি অফিসের সামনে সড়ক অবরোধ করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “জুলাইকে কটূক্তি করে পোস্ট দিয়েছেন পুলিশ সদস্য ফারজুল। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। ওই পুলিশ সদস্যকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক।”
এসময় বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক সায়াদ ইসলাম শ্রেষ্ঠ, মুখ্য সংগঠক এম ডি বেলাল হোসেন বাঁধন, নয়ন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সুলতান মারুফ তালহা, রাসেল পারভেজসহ শতাধিক নেতাকর্মী।
কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর শেখ শাহাদাত আলী বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি ছুটিতে আছেন।”
ফারজুল ইসলাম রনি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার দহকুলা গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন মৃধার ছেলে। তিনি ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই থেকে কুষ্টিয়া ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, “ইতোমধ্যে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ কুষ্টিয়ার পুলিশ লাইন্সসহ সব ইউনিটে জুলাই অভ্যুত্থানবিরোধী ও রাষ্ট্রবিরোধী-সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য পোস্ট না করার জন্য জরুরি নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এর ব্যতিক্রম হলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ল শ সদস য ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।
আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।
এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।
ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’
১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।