ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের এক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গায়ানাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম কাইয়েটুর নিউজ গত সপ্তাহে জানিয়েছে, একাধিক নারী ওই খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। কিছু অভিযোগ ২০২৩ সালেরও। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়নি।

ঘটনার পর এ নিয়ে মুখ খুলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের প্রধান কোচ ড্যারেন স্যামি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে গ্রেনাডায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘মিডিয়ায় কী চলছে, তা আমরা সবাই জানি। আমি আমার খেলোয়াড়দের খুব কাছের মানুষ। তাদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছি। আমি নিশ্চিত হয়েছি, ওদের মানসিক অবস্থা ভালো আছে।’

স্যামি বলেন, ‘একটা বিষয় আমি জোর দিয়ে বলতে পারি—আমরা ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করি। আমরা এমন একটা সম্প্রদায়ের অংশ, যারা মনে করে, অপরাধ করলে শাস্তি হওয়া উচিত। তবে এর জন্য একটি সঠিক প্রক্রিয়া আছে। আমরা সেই প্রক্রিয়াকে সমর্থন দিয়ে যাব। আমি একজন প্রধান কোচ হিসেবে চাই, প্রত্যেকে যেন ন্যায়বিচার পায়।’

চলছে অস্ট্রেলিয়া–ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইলন মাস্ক কি নতুন দল গঠন করতে পারবেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ কংগ্রেসে পাস হলে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করবেন বলে এ সপ্তাহে হুমকি দিয়েছেন ইলন মাস্ক। এ ধনকুবের মনে করেন, বিলটি পাস হলে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে রিপাবলিকানদের পার্থক্য থাকবে না। ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে করদাতাদের অর্থ অপচয়ের অভিযোগ রয়েছে। 

ট্রাম্পের প্রস্তাবিত বিলটি গত মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে পাস হয়। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এটিকে নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে পাঠানো হয়েছে। বিলটিতে করছাড়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা ও দরিদ্রদের জন্য খাদ্য সহায়তা কমানোর কথা বলা হয়েছে।

গত মাসে মাস্ক একাধিকবার বিলটির সমালোচনা করেন এবং নতুন দল গঠনের ইঙ্গিত দেন। গত সোমবার মাস্ক এক্স পোস্টে লেখেন, এ পাগলাটে বিল পাস হলে পরদিনই ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠন করা হবে। তিনি বলেন, ‘দেশে ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান মিলিয়ে একটাই দল চলছে। মানুষের আসল কণ্ঠস্বর শোনার জন্য এখন বিকল্প দরকার।

বিলটি নিয়ে এক সময়ের ঘনিষ্ঠজন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয় মাস্কের। তিনি প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের দাবিও জানান।

গত ৫ জুন ইলন মাস্ক তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে জরিপ চালান। সেখানে অনুসারীদের প্রশ্ন করেন, ‘এখন কি যুক্তরাষ্ট্রে এমন একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এসেছে, যা মাঝামাঝি অবস্থানে থাকা ৮০ শতাংশ মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করবে?’ জরিপে ৫৬ লাখ মানুষ অংশ নেন। এর মধ্যে ৮০ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ ‘হ্যাঁ’ উত্তর দিয়েছেন। পরে মাস্ক ফল শেয়ার করে বলেন, এটা প্রমাণ হলো যে, বেশির ভাগ মার্কিনি নতুন রাজনৈতিক দল চান।

ইউনিভার্সিটি অব এসেক্সের অধ্যাপক নাতাশা লিন্ডস্ট্যাড বলেন, মাস্ক বিশ্বাস করেন, যুক্তরাষ্ট্রের ৮০ শতাংশ মানুষ ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান— এই দুই প্রধান দল নিয়ে সন্তুষ্ট নন এবং তাদের প্রতিনিধিত্ব করা হচ্ছে না। সূত্র: আলজাজিরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ