কলম্বোর কন্ডিশনে স্পিনাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে তাদের কার্যকারীতা বাড়ে। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তা ভালো মতোই বুঝেছেন নাজমুল শান্তরা। এমন উইকেট-কন্ডিশনে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন হতে পারেন দলের ট্রাম কার্ড।

কিন্তু সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে রিশাদের খেলা নিশ্চিত নয়। মঙ্গলবার জানা যায়, রিশাদ পেটের পীড়ায় ভুগছেন। তবে ম্যাচের দিন (বুধবার) দল সূত্রে জানা গেছে, রিশাদ ওই পেটের পীড়া থেকে অনেকটাই সুস্থ হয়ে গেছেন। যে কারণে তার ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, টসের আগে কলম্বোয় ওয়ার্ম আপে নামবেন ক্রিকেটাররা। সেখানে রিশাদের ফিটনেস টেস্ট নেওয়া হবে। তিনি ম্যাচ খেলার মতো ফিট হলে তাকে একাদশে নেওয়া হতে পারে। অর্থাৎ রিশাদকে একাদশে পেতে শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে টিম ম্যানেজমেন্ট। 

কলম্বোর উইকেটে স্পিন বোলিংয়ের সঙ্গে রিশাদের ব্যাটিংও দলের জন্য কার্যকরী হতে পারে। টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনায় আছে তার ব্যাটিংয়ের বিষয়টিও। শেষ পর্যন্ত রিশাদ খেলতে না পারলে একাদশে ঢুকবেন বাঁ-হাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম।   

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ডিমে শিশুর অ্যালার্জি কেন হয়, কীভাবে বুঝবেন, সমাধান কী

কেন হয়

শিশুদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা পুরোপুরি গড়ে না ওঠায় অনেক সময় ডিমের প্রোটিনকে শরীর ‘অচেনা’ বা ক্ষতিকর হিসেবে ভুলভাবে শনাক্ত করে। ফলে ঠিক যেভাবে রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধব্যবস্থা কাজ করে, একই ধরনের প্রতিক্রিয়া এখানে সৃষ্টি হয়। এই প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবেও হতে পারে, আবার অনেক ক্ষেত্রে কয়েক ঘণ্টা পরেও দেখা দিতে পারে।

লক্ষণ 

ত্বকে লাল লাল চাকা, একজিমা।

পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব বা মুখের চারপাশে চুলকানো।

সর্দি, শ্বাস নেওয়ার সময় শোঁ শোঁ শব্দ, শ্বাসকষ্ট হওয়া।

দ্রুত হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ কমে যাওয়া। 

অ্যানাফাইলেকসিস শক। 

আরও পড়ুনডিম দিনে কয়টি ও কীভাবে খাবেন০৫ জুলাই ২০২৫রোগনির্ণয় 

শিশুকে প্রথম ডিম খাওয়ানোর সময় অ্যালার্জি উপসর্গ বোঝা যায়। 

চিকিৎসক যদি মনে করেন ডিম বা ডিমযুক্ত খাবার খেলে অ্যালার্জি হয়, তবে তা স্কিন টেস্ট করে নিশ্চিত হতে পারেন।

চিকিৎসা

ডিম ও ডিমযুক্ত খাবার না খাওয়া। 

অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া দমনে অ্যান্টি হিস্টামিন, মারাত্মক অ্যানাফাইলেকসিসে শক ইনজেকশন এপিনেফ্রিন ব্যবহার।

● ডিমে অ্যালার্জি থাকলে কিছু খাদ্য উপাদান পরিহার করা যেমন—এলবুমিন, গ্লোবুলিন ইত্যাদি।

অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

আরও পড়ুনডিমের কমলা, না হলুদ কুসুম—কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ