ঋতুপর্ণার অসাধারণ দুই গোলে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে এক পা বাংলাদেশের
Published: 2nd, July 2025 GMT
মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে একটা স্বপ্নের কথা বলে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার ও অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার—প্রথমবারের মতো মেয়েদের এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলতে চান! নিজেদের প্রথম ম্যাচে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইনকে ৭–০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। আর গতকাল ঋতুপর্ণা চাকমার অসাধারণ দুটি গোলে র্যাঙ্কিংয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা স্বাগতিক মিয়ানমারকে ২–১ ব্যবধানে হারিয়ে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে এক পা দিয়ে রেখেছে বাটলারের দল।
(বিস্তারিত আসছে.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৮২ বছর পর গ্রন্থাগারে ফেরত দেওয়া হলো বই
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের সান আন্তোনিও পাবলিক লাইব্রেরির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবাক করা এক ঘটনার সাক্ষী হয়ে গেলেন। এই গ্রন্থাগার থেকে ধার নেওয়া একটি বই প্রায় ৮২ বছর পর ফেরত এসেছে। বইয়ের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে একটি চিঠি। তাতে লেখা ছিল, ‘দাদি আর জরিমানা দিতে পারবেন না।’
সান আন্তোনিও পাবলিক লাইব্রেরি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বইটির নাম ইউর চাইল্ড, হিজ ফ্যামিলি, অ্যান্ড ফ্রেন্ডস। লেখক পারিবারিক ও বিবাহ-পরামর্শক ফ্রান্সেস ব্রুস স্ট্রেইন। ১৯৪৩ সালের জুলাইয়ে বইটি ধার নেওয়া হয়েছিল। গত জুনে ওরেগন অঙ্গরাজ্যের এক ব্যক্তি এটি ফেরত দিয়েছেন।
বইয়ের সঙ্গে পাঠানো চিঠিতে ওই ব্যক্তি লিখেছেন, ‘সম্প্রতি বাবার মৃত্যুর পর আমি তাঁর রেখে যাওয়া কয়েক বাক্স বই পেয়েছি। বাক্সগুলোর মধ্যে এই বইটি ছিল।’ চিঠিতে তিনি নিজের নাম না লিখে শুধু আদ্যক্ষর দিয়েছেন —পি.এ.এ.জি। সান আন্তোনিও পাবলিক লাইব্রেরি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে চিঠিটি প্রকাশ করেছে।
মা-বাবার সন্তানের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত—সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে এ বই লেখা হয়েছে। যে ব্যক্তি বইটি ফেরত দিয়েছেন, তাঁর বাবার বয়স যখন ১১ বছর, তখন বইটি ধার নেওয়া হয়েছিল।
ওই ব্যক্তি চিঠিতে লিখেছেন, ‘বইটি নিশ্চয়ই আমার দাদি মারিয়া দেল সকোরো আলদ্রেতে ফ্লোরেস (কর্তেজ) ধার নিয়েছিলেন। ধার নেওয়ার বছরেই তিনি মেক্সিকো সিটিতে মার্কিন দূতাবাসে কাজ করতে যান। তিনি বইটি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। প্রায় ৮২ বছর পর সেটি আমার হাতে এসে পৌঁছেছে।’
লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২১ সাল থেকে তারা জরিমানা তুলে দিয়েছে। যদিও বইটির ভেতরে একটি সিলমোহরে উল্লেখ আছে, সময়মতো বই ফেরত না দিলে প্রতিদিন তিন সেন্ট করে জরিমানা দিতে হবে। সে হিসাবে এ বছরের জুন পর্যন্ত জরিমানার পরিমাণ দাঁড়াত প্রায় ৯০০ ডলার। আর মূল্যস্ফীতি হিসাব করে দেখা গেছে, তিন সেন্টের বর্তমান মূল্য প্রায় ৫৬ সেন্ট। ফলে জরিমানা দাঁড়াত ১৬ হাজার ডলারের বেশি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বইটি এখনো ভালো আছে। আগস্টজুড়ে সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে প্রদর্শিত হবে। এরপর তা বিক্রির জন্য তুলে দেওয়া হবে অলাভজনক সংগঠন ফ্রেন্ডস অব সান আন্তোনিও পাবলিক লাইব্রেরির হাতে।