অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এল ১১ দিন পর
Published: 2nd, July 2025 GMT
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিনেত্রী লি সিও-ই মারা গেছেন। গত ২০ জুন তাঁর মৃত্য হয়েছে। তবে মৃত্যুসংবাদটা সামনে এসেছে ১১ দিন পর গতকাল মঙ্গলবার।
এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে অভিনেত্রীর ম্যানেজার খবরটি নিশ্চিত করেছেন। সঙ্গে অভিনেত্রীকে নিয়ে একটি আবেগঘন বার্তা জুড়ে দিয়েছেন ম্যানেজার।
ম্যানেজার লিখেছেন, ‘স্নেহভাজন অনি মারা গেছেন ২০ জুন। হঠাৎ এমন খবরে অনেকেই হতবাক ও মর্মাহত হয়েছেন। তিনি যেন শান্তিতে থাকেন, তাঁর জন্য প্রার্থনা করার অনুরোধ রইল।’
লি সিও-ইয়ের মৃত্যুর কারণ এখনো প্রকাশ করা হয়নি। ফলে এ নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। মৃত্যুর আগপর্যন্ত ইনস্টাগ্রামে সক্রিয় ছিলেন এই তারকা। তাঁর হুট করে চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না ভক্তরা। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৩ বছর।
সহকর্মী ও শিল্পী বন্ধুরা তাঁর স্মৃতিতে আবেগময় বার্তা দিয়ে শেষশ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনকোরীয় গায়কের মরদেহ উদ্ধার১১ মার্চ ২০২৫১৯৮২ সালে জন্ম নেওয়া লি সিও-ই ২০১৩ সালে এমবিসির ‘হুর জুন: দ্য অরিজিনাল স্টোরি’ দিয়ে অভিনয়ে যাত্রা শুরু করেন। এরপর ‘দ্য কিং’ ও ‘কিলিং রোমান্স’-এর মতো সিনেমায়ও অভিনয় করেন তিনি।
সর্বশেষ লি সিও-ইকে দেখা গেছে টিভিএনের ড্রামা ‘দ্য ডিভোর্স ইনস্যুরেন্স’-এ, ড্রামাটি গত মে মাসে সম্প্রচার শেষ করেছে।
সূত্র: কোরিয়া টাইমস
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্র-জনতার ভয়ে ডোবায় ঝাঁপ সাবেক মেয়রের, পুলিশে সোপর্দ
যশোরের কেশবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন ছাত্র-জনতা। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে পৌর শহরের ভবানীপুর এলাকায় একটি বাড়িতে ঘেরাও করেন ছাত্র-জনতা। পরে থানা ছাত্র-জনতার ভয়ে পালাতে গিয়ে একটি ডোবাতে ঝাঁপ দেন তিনি। পরে স্থানীয়রা ধরে মারধরের চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। একটি বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, গতবছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রফিকুল ইসলাম তার ভবানীপুর মোড়লপাড়ার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। বুধবার দুপুরের দিকে তার বাড়িটি স্থানীয় ছাত্র-জনতা ঘিরে ফেলেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে রফিকুল ইসলাম ওই এলাকার আরিফুর রহমান মিলনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে ছাত্র-জনতার ভয়ে পালাতে একটি ডোবায় ঝাঁপ দেন রফিকুল। পুলিশ জানতে পেরে রফিকুলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে নাশকতা, চাঁদাবাজিসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে কেশবপুরে ত্রাস সৃষ্টি করতেন জামাল বাহিনী। সেই জামাল বাহিনীর পরিচালনা করতেন সাবেক মেয়র রফিকুল। একটি বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।