বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, তিন ঘণ্টা পর ৭ জেলে উদ্ধার
Published: 2nd, July 2025 GMT
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন উত্তাল বঙ্গোপসাগরে ট্রলারে করে মাছ শিকারে গিয়ে ৭ জেলেসহ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার দুপুর ৩টার দিকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বেলা ১২টার দিকে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট এলাকায় সমুদ্র হঠাৎ উত্তাল হলে ট্রলারটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনায় আহত জেলেরা হলেন- মো. হাসান ঘরামি (৩৬), মো. তানিম (২০), মামুন (৩২), ইসমাইল (৩৩), মাহাবুব (৩১), নাঈম (২২) ও ওলিউল্লাহ (২০)। তারা সবাই কুয়াকাটা পৌর সভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
আহতরা জানান, দুর্ঘটনার পরে জেলেরা সমুদ্রে ভাসতে থাকে। এর মধ্যে ৫ জন জেলেকে স্থানীয় অন্য একটি ট্রলার উদ্ধার করে। বাকি দুইজন ভাসতে ভাসতে তীরে কাছাকাছি চলে আসে। এক পর্যায়ে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে দায়িত্বে থাকা ট্যুরিস্ট পুলিশের নজরে আসলে স্থানীয় পর্যটক বহনকারী স্পিডবোট পাঠিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পরবর্তীতে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদেরকে নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
দুর্ঘটনাকবলিত নামবিহীন ট্রলারটির মাঝি মামুন জানান, সকালে আমরা মাছ ধরতে সমুদ্রে যাই, দুপুর ১২টার দিকে সমুদ্র হঠাৎ উত্তাল হলে আমাদের ট্রলারটি ডুবে যায়। আমরা ট্রলার ধরে ভাসতে থাকি। পরে অন্য ট্রলার গিয়ে আমাদের উদ্ধার করে। ট্রলারের বডি ছাড়া অন্য সব মালামাল হারিয়ে গেছে। কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, ‘দুপুর ৩টার দিকে আমাদের সদস্যরা সৈকতে দায়িত্ব পালন করছিল। এ সময় দু’জন জেলেকে ভাসমান দেখে। সৈকতে থাকা স্পিডবোট পাঠিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করি। পরে বাকি পাঁচজনকেও উদ্ধার করি। জেলেরা মোটামুটি সুস্থ আছে। তাদেরকে নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
কুয়াকাটা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিকাশ মন্ডল জানান, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পেরে ওয়াটার বাইক ও ট্রলারের মাধ্যমে দুর্ঘটনাকবলিত ৭ জন জেলেকে তীরে নিয়ে আসতে সক্ষম হই। তারা সবাই সুস্থ আছেন এবং সবাইকে পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনায় ট্রলারটির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে সেটিও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।