শুরু হচ্ছে স্টারশিপ ইন্সপায়ারিং টেন
Published: 2nd, July 2025 GMT
সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেসব তরুণ নানা উদ্যোগের মাধ্যমে বা নিজ কর্মগুণে সফল হয়েছেন, তাঁদের স্বীকৃতি দিতে শুরু হতে যাচ্ছে ‘স্টারশিপ ইন্সপায়ারিং টেন’ আয়োজন। স্বপ্নজয়ী এসব সফল মানুষকে আরও উৎসাহ দিতে এবং অন্যদের অনুপ্রাণিত করতে দেশের সেরা ১০ জনকে এ আয়োজনের মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হবে।
আজ বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে স্টারশিপ ইন্সপায়ারিং টেন আয়োজনের আনুষ্ঠানিক যাত্রার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে স্মাইল ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে রয়েছে প্রথম আলো ডটকম।
আয়োজনের জুরি বোর্ডের প্রধান ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার বলেন, এই ধরনের আয়োজন যেন উদ্দেশ্যপূর্ণ হয়। সমাজের ভালো মানুষগুলো যেন স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে উঠে আসতে পারে এবং অন্যরা অনুপ্রাণিত হয়।
প্রথম আলো সব সময় শিশু, কিশোর, তরুণ ও নারীদের প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে জানিয়ে পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, এ ধরনের আয়োজনগুলো মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। পাশাপাশি এ আয়োজনগুলো দীর্ঘ সময় করতে পারলে সমাজে এর প্রভাব বোঝা যাবে।
দেশকে এগিয়ে নিতে তরুণ বয়সেই স্বীকৃতি প্রয়োজন জানিয়ে স্মাইল ফুড প্রোডাক্টসের চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শোয়েব বলেন, এ দেশের বড় পুরস্কারগুলো মানুষ পান শেষ বয়সে বা মারা যাওয়ার পর। এই ধারা বদলানো প্রয়োজন। সে চিন্তা থেকে তাঁদের এ উদ্যোগ। এতে সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী তরুণেরা নিজেরা যেমন উৎসাহী হবেন, তেমনি অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবেন।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে স্টারশিপ ইন্সপায়ারিং টেন আয়োজনের আনুষ্ঠানিক যাত্রার ঘোষণা দেওয়া হয়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন প র ণ ত প রথম আল
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের পোস্টের পর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো গৃহহীনদের তাঁবু
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে গৃহহীনদের একটি বড় তাঁবু উচ্ছেদ করেছে শহর কর্তৃপক্ষ। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত রোববার তাঁর গলফ ক্লাবে যাওয়ার সময় গৃহহীনদের ওই শিবিরের ছবি তুলে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে লেখেন, ‘এই গৃহহীনদের অবিলম্বে এখান থেকে সরে যেতে হবে।’
ট্রাম্পের এ পোস্টের চার দিন পরই বুলডোজার দিয়ে গৃহহীনদের ওই তাঁবু উচ্ছেদ করেছে শহর কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় এক দিনেই অন্তত ১১ জন গৃহহীন তাঁদের আশ্রয় হারিয়েছেন।
ট্রাম্পের পোস্ট করা একটি ছবিতে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি নিজের তাঁবুর পাশে একটি ভাঁজ করা চেয়ারে বসে আছেন। পরে জানা যায়, তাঁর নাম বিল থিওডি। থিওডির তাঁবুও উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখন তিনি আশ্রয়হীন।
নিজের ছবি দেখে বিল থিওডি বলেন, ‘ওটা আমি। তিনি (ট্রাম্প) গাড়ির জানালা দিয়ে আমার ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচকভাবে ব্যবহার করেছেন। এটিকে তাঁর রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। এটা তাঁর কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ।’
হোয়াইট হাউসের প্রেস কনফারেন্স কক্ষে গত সোমবার ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁর প্রশাসন সব পার্ক থেকে গৃহহীনদের শিবিরগুলো সরিয়ে ফেলবে।
এ ঘোষণার পর বিবিসি ভেরিফাই ট্রাম্পের পোস্ট করা ছবিগুলো যাচাই করে। তাঁবুগুলোর ছবিতে দৃশ্যমান সূত্র, যেমন বাঁকানো রাস্তার ধারে ঘাসের জায়গা ব্যবহার করে বিবিসি গুগল স্ট্রিটভিউতে একটি স্থানের সঙ্গে মিলিয়েছে।
গৃহহীনদের শিবিরটি হোয়াইট হাউস থেকে গাড়িতে প্রায় ১০ মিনিটের দূরত্বে আর বিবিসি কার্যালয় থেকেও খুব কাছে। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানীয় কর্মকর্তারা গৃহহীনদের সতর্ক করছেন যে তাঁদের শিগগির সরে যেতে হতে পারে।
মিজৌরি অঙ্গরাজ্য থেকে আসা ৬৬ বছর বয়সী বিল থিওডি এখানে অনেক বছর ধরে থাকেন। নির্মাণশিল্পে কাজ করতেন। ২০১৮ সাল থেকে তাঁর স্থায়ী কোনো চাকরি নেই। বর্তমানে মাসে কিছুদিনের কাজ জোটে। গত বৃহস্পতিবার থিওডিসহ অন্য বাসিন্দাদের জানানো হয় অবিলম্বে তাঁবু গুঁটিয়ে চলে যেতে হবে।
বিল থিওডি বলেন, ‘আমি বুঝি, উনি (ট্রাম্প) এলোমেলো কিছু দেখতে চান না। তাই আমরা জায়গাটা যতটা সম্ভব পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করি। আমরা প্রেসিডেন্ট বা অন্য কাউকে অসম্মান করতে চাই না।’
ওয়াশিংটন ডিসির স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের ডেপুটি মেয়র ওয়েন টারনেজ বলেন, শহর কর্তৃপক্ষ আগেও এভাবে গৃহহীনদের শিবির উচ্ছেদ করেছে। সাধারণত অন্তত এক সপ্তাহ আগে নোটিশ দেওয়া হয়, তবে ট্রাম্পের ঘোষণার পর এবার প্রক্রিয়াটি দ্রুত করা হয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হিসাবে, ওয়াশিংটন ডিসি থেকে বের হওয়ার প্রধান একটি সড়কের পাশে উচ্ছেদ করা শিবিরটি শহরের সবচেয়ে বড় গৃহহীন শিবির ছিল। সেখানে ১১ জন থাকতেন।
তথ্য বলছে, চলতি বছরের শুরুতে রাজধানীর গৃহহীন শিবিরে ৯৭ জন ছিলেন। ২০২৩ সালে এখানে ২৯৪ জন ছিলেন।
শহরের বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছর বাস্তুচ্যুতির শিকার মানুষের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার ১৩৮। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৬১৩। এর মধ্যে প্রায় ৮০০ জন সম্পূর্ণ খোলা আকাশের নিচে আর বাকি ৪ হাজার ৩০০ জন কোনো না কোনো অস্থায়ী আশ্রয়ে আছেন।
বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে গৃহহীনদের তাঁবু