অপেক্ষা করতে করতে হাসপাতালের বারান্দায় চেয়ারে বসা অবস্থা সন্তান প্রসব
Published: 3rd, July 2025 GMT
সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার লেবার ওয়ার্ডের বারান্দায় সন্তান প্রসব করেছেন দুই নারী। অপেক্ষা করতে করতে তারা বারান্দায়ই সন্তান প্রসব করেন। প্রসবের পর এক নারীর নবজাতক শিশু মারা গেছে। দুই নারীর অভিভাবকরা চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলার অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনার ছবি তোলার পর সেবা নিতে যাওয়া স্থানীয় দুই গণমাধ্যমকর্মী রোষানলের শিকার হয়েছেন। বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাটিবহর গ্রামের সাহিন মিয়ার স্ত্রী সুমি বেগমকে (১৯) নিয়ে বুধবার দুপুর ২টার দিকে লেবার ওয়ার্ডে যান তার স্বজনরা। একই সময়ে গোলাপগঞ্জের দক্ষিণ রামপাশা গ্রামের রতন চন্দ্র দাসের স্ত্রী সুপ্রিতা রানী দাসও (২৫) যান। লেবার ওয়ার্ডের বারান্দায় তারা অপেক্ষা করতে থাকেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে লেবার পেইন উঠার পর বার বার সংশ্লিষ্টদের জানান তাদের স্বজনরা। কিন্তু তাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়। একপর্যায়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বারান্দায় চেয়ারে বসা অবস্থা সুমি বেগম সন্তান বাচ্চা প্রসব করেন। এর ১০ মিনিট পর সুপ্রীতি রানী দাসও সন্তান প্রসব করেন। এতে সহযোগিতা করেন অন্যান্য রোগীর সঙ্গে যাওয়া নারীরা। তারা নিজের কাপড়ের অংশ বিশেষ টানিয়ে সন্তান প্রসবে সহায়তা করেন। প্রসবের পর এক নারী চিকিৎসক গিয়ে তাদের ভেতরে নিয়ে যান। ঘণ্টাখানেক পর মারা যায় সুমী বেগমের সন্তান। ওই সময়ে স্ত্রীকে নিয়ে লেবার ওয়ার্ডে ছিলেন স্থানীয় দৈনিক সবুজ সিলেটের সাংবাদিক হিলাল উদ্দিন শিপু। সঙ্গে ছিলেন তার ভাই শ্যামল সিলেটের সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন টিপু। তারা বিষয়টি জানতে গেলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও নার্স খারাপ আচরণ করেন বলে জানান সাংবাদিক টিপু। তিনি সমকালকে বলেন, সিনেমা স্টাইলে দুই নারীর সন্তান প্রসব বারান্দায় করিয়েছেন বিভিন্ন রোগীর নারী স্বজনেরা। অথচ সংশ্লিষ্টরা ছিলেন উদাসীন। অভিযোগ পাওয়ার পর হাসপাতাল ফাঁড়ি পুলিশ সেখানে যায়।
সুমি বেগম সমকালকে জানান, তিনি দুপুর ২টার দিকে লেবার ওয়ার্ডে যান। দুই ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। বারান্দায় প্রসবের পর ডাক্তার আসেন। এ বিষয়ে তার বাবা আজাদ মিয়া পুলিশে অভিযোগ করেছেন বলে জানান সুমি। বর্তামানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।
আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।
এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।
ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’
১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।