সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার লেবার ওয়ার্ডের বারান্দায় সন্তান প্রসব করেছেন দুই নারী। অপেক্ষা করতে করতে তারা বারান্দায়ই সন্তান প্রসব করেন। প্রসবের পর এক নারীর নবজাতক শিশু মারা গেছে। দুই নারীর অভিভাবকরা চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলার অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনার ছবি তোলার পর সেবা নিতে যাওয়া স্থানীয় দুই গণমাধ্যমকর্মী রোষানলের শিকার হয়েছেন। বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাটিবহর গ্রামের সাহিন মিয়ার স্ত্রী সুমি বেগমকে (১৯) নিয়ে বুধবার দুপুর ২টার দিকে লেবার ওয়ার্ডে যান তার স্বজনরা। একই সময়ে গোলাপগঞ্জের দক্ষিণ রামপাশা গ্রামের রতন চন্দ্র দাসের স্ত্রী সুপ্রিতা রানী দাসও (২৫) যান। লেবার ওয়ার্ডের বারান্দায় তারা অপেক্ষা করতে থাকেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে লেবার পেইন উঠার পর বার বার সংশ্লিষ্টদের জানান তাদের স্বজনরা। কিন্তু তাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়। একপর্যায়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বারান্দায় চেয়ারে বসা অবস্থা সুমি বেগম সন্তান বাচ্চা প্রসব করেন। এর ১০ মিনিট পর সুপ্রীতি রানী দাসও সন্তান প্রসব করেন। এতে সহযোগিতা করেন অন্যান্য রোগীর সঙ্গে যাওয়া নারীরা। তারা নিজের কাপড়ের অংশ বিশেষ টানিয়ে সন্তান প্রসবে সহায়তা করেন। প্রসবের পর এক নারী চিকিৎসক গিয়ে তাদের ভেতরে নিয়ে যান। ঘণ্টাখানেক পর মারা যায় সুমী বেগমের সন্তান। ওই সময়ে স্ত্রীকে নিয়ে লেবার ওয়ার্ডে ছিলেন স্থানীয় দৈনিক সবুজ সিলেটের সাংবাদিক হিলাল উদ্দিন শিপু। সঙ্গে ছিলেন তার ভাই শ্যামল সিলেটের সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন টিপু। তারা বিষয়টি জানতে গেলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও নার্স খারাপ আচরণ করেন বলে জানান সাংবাদিক টিপু। তিনি সমকালকে বলেন, সিনেমা স্টাইলে দুই নারীর সন্তান প্রসব বারান্দায় করিয়েছেন বিভিন্ন রোগীর নারী স্বজনেরা। অথচ সংশ্লিষ্টরা ছিলেন উদাসীন। অভিযোগ পাওয়ার পর হাসপাতাল ফাঁড়ি পুলিশ সেখানে যায়। 

সুমি বেগম সমকালকে জানান, তিনি দুপুর ২টার দিকে লেবার ওয়ার্ডে যান। দুই ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। বারান্দায় প্রসবের পর ডাক্তার আসেন। এ বিষয়ে তার বাবা আজাদ মিয়া পুলিশে অভিযোগ করেছেন বলে জানান সুমি। বর্তামানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ বিষয়ে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা.

সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান, অনেক সময় ডেলিভারি রোগী বেশি থাকেন। তখন পর্যায়ক্রমে ডেলিভারি করা হয়। সে কারণে বিলম্ব হওয়ায় বাইরে সন্তান প্রসব করেন দুই নারী। পরে তাৎক্ষণিক তাদের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি হাসপাতালের পক্ষ থেকে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সকালে এক গ্লাস নাকি চার গ্লাস পানি পান করা ভালো

সকালে খালি পেটে পানি পান করলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়, একথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু কত গ্লাস পানি পান করা ভালো সে কথা জানেন?  সেই প্রসঙ্গে আসছি, তার আগে বলে নেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে পানি পান করলে  ঠিক কোন কোন উপকার পাওয়া যায়।  অল্প কিছু বিষয় মেনে চললে সকালে খালি পেটে পানি পান করে সুস্থ-সবল থাকার পথে একধাপ এগিয়ে যেতে পারেন। জেনে নিনি বিস্তারিত—

এক. সকালে পানি পান করলে পাকস্থলী পরিষ্কার হয়। এই অভ্যাস অনেক রোগের ঝুঁকি কমায়। পরিপাকক্রিয়া থেকে সঠিকভাবে নানা পুষ্টি উপাদান গ্রহণে শরীরকে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে পানি পান করলে হজমশক্তি বাড়ে। আর এটা তো জানা কথা, হজমশক্তি ভালো হলে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যাই দূর হয়।

আরো পড়ুন:

যেসব স্বাস্থ্যকর অভ্যাস জীবন বদলে দিতে পারে

লিভার ডিটক্সিফিকেশনের জন্য সাপ্লিমেন্ট খাওয়া কী জরুরি?

দুই. সকালে খালি পেটে  পর্যাপ্ত পানি পান করলে ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর থাকে। রক্ত থেকে ‘টক্সিন’ বা বিষাক্ত নানা উপাদান দূর করে পানি।নতুন রক্ত কোষ এবং পেশি কোষ জন্মানোর প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

তিন. খালি পেটে পানি পান করলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

যেভাবে পুরোপুরি সুফল পাবেন

বিশেষজ্ঞরা বলেন, সকালে পানি পান করার পারেই খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়।

মনে রাখবেন,  প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানি পান করেই অনেক উপকার পেতে পারেন। আরও ভালো ফলাফল পেতে প্রতিদিন সকালে গড়ে চার গ্লাস পানি (প্রায় এক লিটার) পানি পান করতে পারেন।

প্রথম দিকে এই অভ্যাস গড়ে তুলতে একটু সমস্যা হতে পারে। তবে চেষ্টা করলে  এটা অনেক কিছুদিনের মধ্যে এই অভ্যাস আয়ত্বে চলে আসবে। এবং এর নানা উপকারিতাও বুঝতে পারবেন।

সূত্র: ওয়েবএমডি

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ