কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার কড়ইবাড়ি গ্রামে একই পরিবারের তিনজনকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল ৯ টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন- রুবি, রাসেল ও জোনাকি।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। বাড়ির ভেতরে একসঙ্গে তিনটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য।”
তিনি আরো বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/রুবেল/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুরাদনগরের সেই ঘটনায় জড়িতদের বিচার চাইলেন সাবেক এমপি কায়কোবাদ
মুরাদনগরে নির্যাতিত সেই নারী ও তার পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে মঙ্গলবার দুপুরে হেলিকপ্টারে এলাকায় আসেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। যদিও ওই নারী বাড়িতে ছিলেন না। পরে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে যোগ দেন কাজী কায়কোবাদ।
সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে কায়কোবাদ বলেন, ধর্ষিতা বোনের প্রতি সান্ত্বনা জানাতে আমি ছুটে এসেছি। এই পৈশাচিক নির্যাতনের ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক তাদেরকে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
তিনি বলেন, মুরাদনগরের সেই ঘটনার দায় বিএনপির ওপর চাপাতে চেয়েছিল একটি গোষ্ঠী। কিন্তু প্রকৃত তথ্য এখন বেরিয়ে এসেছে। এ ঘটনার সাথে বিএনপির কোনো কর্মী সম্পৃক্ত নয়। থানার ওসি ও একজন সাংবাদিক বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছেন, ষড়যন্ত্র করছেন। আপনাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, এই থানার ওসি যোগদানের পর আর আমাদের উপদেষ্টা, শিশু উপদেষ্টা (আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া) আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসন করেছেন। যেহেতু তাদের পুনর্বাসন হয়েছে তাই এসব ঘটনা ঘটছে।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, পুলিশ তাদের সঙ্গে আছে। ফলে আগামীতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আরও বড় ধরনের নাশকতার ঘটনা ঘটাতে পারে।
এ সময় জেলা বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন মোল্লা, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন, সদস্য সচিব মোল্লা মজিবুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া ও যুবদল নেতা মাসুদ রানাসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে কায়কোবাদের অভিযোগ অস্বীকার করে মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান সমকালকে বলেন, অপরাধ দমন করা আমাদের কাজ। কোনো দলকে পুনর্বাসন করা পুলিশের কাজ নয়। এলাকার লোকজন এখন শান্ত আছেন। যখন বদলির আদেশ আসে, চলে যাব।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে এলাকার যুবকরা উল্টো তাকে মারধর ও বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে। এ সময় ওই যুবকরা ধর্ষণের অভিযোগে একই গ্রামের ফজর আলী নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেয়। ওই নারীকে নির্যাতনের ৫১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শনিবার রাত থেকে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়লে দেশব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে ওই রাতেই পুলিশ প্রধান আসামি ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অপর গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন একই এলাকার আবদুল হান্নানের ছেলে সুমন, জাফর আলীর ছেলে রমজান, মো. আলমের ছেলে মো. আরিফ ও তালেম হোসেনের ছেলে মো. অনিক। বৃহস্পতিবার পর্নোগ্রাফি আইনে ওই চারজনের আদালতে রিমান্ড শুনানিতে হতে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছে।