দীর্ঘ ২৩ বছর পর পটুয়াখালী জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়েছে। এতে সভাপতি পদে স্নেহাংশু সরকার ও সাধারণ সম্পাদক পদে মজিবুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল বুধবার গভীর রাতে এর ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল হক ফরাজী।

এর আগে গতকাল বিকেলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন। তিনি বক্তব্য শেষে ভোট গ্রহণের উদ্বোধন করেন।

ফলাফল অনুযায়ী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব স্নেহাংশু সরকার ৭৫৮ ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাকসুদ আহমেদ পেয়েছেন ৪০২ ভোট। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে ছয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে মজিবুর রহমান ৪৭৪ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বশির আহমেদ পেয়েছেন ৪২০ ভোট।

এই নির্বাচনে জেলা-উপজেলার ১৪টি ইউনিটের ১ হাজার ৫১১ কাউন্সিলরের মধ্যে ১ হাজার ১৭২ জন ভোট প্রদান করেন। দীর্ঘ ২৩ বছর পর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু, সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে এই সম্মেলন হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে প্রথম অধিবেশন এবং বেলা তিনটার দিকে দ্বিতীয় অধিবেশন শেষ হলে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। রাত ১১টার পর্যন্ত গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ চলে।

জেলা বিএনপি সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২০০২ সালের ১৪ এপ্রিল কাউন্সিলের মাধ্যমে জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে সভাপতি ও স্নেহাংশু সরকার সাধারণ সম্পাদক করে জেলা কমিটি গঠিত হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ