ফেনীর পরশুরাম উপজেলার একটি নারী নির্যাতন মামলার তদন্তে গিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবু ছৈয়দকে পরশুরাম মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে তাঁকে ফেনী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

এর আগে গতকাল সন্ধ্যার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৩৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, অনন্তপুর গ্রামের নারী নির্যাতন মামলার আসামি আবদুস ছাত্তার (৫৫) তদন্ত কর্মকর্তা পরশুরাম থানার এসআই আবু ছৈয়দকে টাকা দিচ্ছেন। বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরায় ভিডিওটি ধারণ করা হয়। তবে আবু ছৈয়দ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।  

তবে নারী নির্যাতন মামলার আসামি আবদুস ছাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এসআই আমার বাড়িতে তদন্তে এসেছিলেন। আমি শুধু বলেছি, তদন্তে গেলে অনেক সময় অফিসাররা টাকা নেন। তখন তিনি নিজের পকেট থেকে টাকা বের করে দেখান, যেন বোঝান তাঁর টাকার দরকার নেই।’

কে সিসিটিভি ফুটেজটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে, জানতে চাইলে ছাত্তার জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

পরশুরাম মডেল থানার এসআই আবু ছৈয়দ বলেন, ‘গত ২২ জুন পান্না আক্তার নামের এক নারী আবদুস ছাত্তারের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করেন। আমি তদন্তে গেলে ছাত্তার আমাকে টাকা দিতে চান। তখন আমি পকেট থেকে নিজের টাকা বের করে দেখিয়ে বলি, আমার টাকার প্রয়োজন নেই। এখন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিডিও ছড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’

পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

নুরুল হাকিম বলেন, ‘ঘটনাটি পুলিশের নজরে আসার পর এসআই আবু ছৈয়দকে থানার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ফেনী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভিডিও পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পুলিশ সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটি কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পরশ র ম র এসআই তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

গোপালগঞ্জে আরো দুই মামলায় আসামি ৫৫২

আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর ও কাশিয়ানী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আরো পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ দুটি মামলায় ১৫২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় জেলায় মোট চারটি মামলা দায়ের হলো।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিক ও কাশিয়ানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় এ দুটি মামলা দায়ের করেন।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম জানিয়েছেন, গত ১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের কয়েকটি স্থানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০০ জনসহ ২৬৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

অপরদিকে, কাশিয়ানী থানার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন জানিয়েছেন, কাশিয়ানী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় ৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০০ জনসহ মোট ২৮৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর ও কোটালীপাড়া থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আরো পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ দুটি মামলায় ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা ২৮৫ জনসহ মোট ৩৬৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ দুই মামলায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ শহরের গণপূর্ত অফিসের গাড়িতে ও সদর উপজেলার উলপুরে গ্রামীণ ব্যাংক অফিসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া জেলার কয়েকটি স্থানে সড়কে গাছ ফেলে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়।

ঢাকা/বাদল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোপালগঞ্জে ট্রাক চাপায় ইজিবাইক চালক নিহত
  • গোপালগঞ্জে আরো দুই মামলায় আসামি ৫৫২
  • ‘লকডাউন’ ঘিরে গোপালগঞ্জে পৃথক মামলায় আসামি ৩৬৭
  • পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে পালালেন ছাত্রদল নেতা