ভিডিও ভাইরালের পর পরশুরাম থানার এসআই বললেন, ‘পকেট থেকে টাকা বের করে দেখিয়েছি’
Published: 3rd, July 2025 GMT
ফেনীর পরশুরাম উপজেলার একটি নারী নির্যাতন মামলার তদন্তে গিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবু ছৈয়দকে পরশুরাম মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে তাঁকে ফেনী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
এর আগে গতকাল সন্ধ্যার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৩৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, অনন্তপুর গ্রামের নারী নির্যাতন মামলার আসামি আবদুস ছাত্তার (৫৫) তদন্ত কর্মকর্তা পরশুরাম থানার এসআই আবু ছৈয়দকে টাকা দিচ্ছেন। বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরায় ভিডিওটি ধারণ করা হয়। তবে আবু ছৈয়দ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তবে নারী নির্যাতন মামলার আসামি আবদুস ছাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এসআই আমার বাড়িতে তদন্তে এসেছিলেন। আমি শুধু বলেছি, তদন্তে গেলে অনেক সময় অফিসাররা টাকা নেন। তখন তিনি নিজের পকেট থেকে টাকা বের করে দেখান, যেন বোঝান তাঁর টাকার দরকার নেই।’
কে সিসিটিভি ফুটেজটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে, জানতে চাইলে ছাত্তার জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
পরশুরাম মডেল থানার এসআই আবু ছৈয়দ বলেন, ‘গত ২২ জুন পান্না আক্তার নামের এক নারী আবদুস ছাত্তারের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করেন। আমি তদন্তে গেলে ছাত্তার আমাকে টাকা দিতে চান। তখন আমি পকেট থেকে নিজের টাকা বের করে দেখিয়ে বলি, আমার টাকার প্রয়োজন নেই। এখন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিডিও ছড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
পুলিশ সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটি কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পরশ র ম র এসআই তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু: সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে মো. আবদুল্লাহ (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মহিম উদ্দিনকে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সাময়িক বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওবায়দুর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়ি ও গুইমারার পরিস্থিতি থমথমে, নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর
ঠাকুরগাঁওয়ে মা-মেয়ের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে মারা যান আব্দুল্লাহ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফাঁড়িতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নির্যাতন করা হয় আবদুল্লাহকে।
মারা যাওয়া আবদুল্লাহ বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে।
সূত্র জানায়, সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল গ্রামে একটি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্দেহভাজন হিসেবে স্থানীয়রা আব্দুল্লাহকে আটক করে মারধর করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফাঁড়িতে সোপর্দ করার পর পুলিশ তার ওপর আরো নির্যাতন চালায়। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে আবদুল্লাকে চারদিন আটকে রাখা হয়। ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মহিম উদ্দিন এ ঘটনা নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কিংবা থানার ওসিকে অবগত করেনি।
আব্দুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় তার ছোট ভাই সাকিল মিয়া বাদী হয়ে সোমবার নবীনগর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সলিমগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিম উদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা তবি মিয়া, আলামিন, আয়নাল হককে আসামি করা হয়। ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত এসআই মহিম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ