চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী রেলস্টেশনে লাইনচ্যুত গার্ডব্রেকটি উদ্ধার কাজ শেষে খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে উথলী রেলস্টেশনের পার্শ্ববর্তী স্টেশনে আটকা পড়া ট্রেনগুলো নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছেন উথলী স্টেশন মাস্টার মিন্টু কুমার রায়।

এর আগে জীবননগর উপজেলার উথলী রেলস্টেশনের কাছে শুক্রবার বিকেল ৫টা ৩৮ মিনিটে উথলী স্টেশনের আপ পয়েন্টে একটি মানবাহী ট্রেনের গার্ডব্রেক লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনার পর খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এছাড়া উথলীর পার্শ্ববর্তী স্টেশনে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ডাউন নকশিকাঁথা ট্রেন এবং খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী আন্তঃনগর সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস ট্রেন আটকা পড়ে। ট্রেনগুলোতে থাকা যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হন।

উথলী স্টেশন মাস্টার মিন্টু কুমার রায় সমকালকে জানান, খুলনার মোংলা থেকে চিটাগুড় নিয়ে একটি মালবাহী ট্রেন সিরাজগঞ্জ অভিমুখে যাওয়ার সময় শুক্রবার বিকেলে উথলী রেলস্টেশনে প্রবেশ করে। এরপর রাজশাহী থেকে খুলনাগামী আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেন উথলী রেলস্টেশন ক্রস করার পর মালবাহী ট্রেনটি সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি লুপ লাইন থেকে মেইন লাইনে ওঠার সময় স্টেশনের আপ পয়েন্টের কাছে মালবাহী ওই ট্রেনের গার্ডব্রেক লাইনচ্যুত হয়। এর পর খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিষয়টি পাকশী বিভাগীয় কার্যালয়কে জানানো হয়। রাত ১০টার সময় ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। আধা ঘণ্টাব্যাপী উদ্ধার কাজ শেষে খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ বননগর ট র ন চল চল

এছাড়াও পড়ুন:

চুয়াডাঙ্গায় দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। নিহতরা হলেন—ওই গ্রামের বড় মসজিদ পাড়ার মৃত ক্ষুদে মন্ডলের ছেলে মিন্টা মিয়া (৬০) ও হামজা আলী (৪৫)। 

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই দুই ভাইকে কোপানো হয়। 

স্থানীয় বাসিন্দা ও জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস জানিয়েছেন, মিন্টা ও হামজা শনিবার সকাল ৮টার দিকে উথলী গ্রামের ৭২ নম্বর ব্রিজ মাঠে কৃষিকাজ করতে যান। এ সময় প্রতিপক্ষের ৮-১০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে দুই ভাইকে কুপিয়ে জখম করে চলে যান। স্থানীয়রা তাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১০টার দিকে হামজার ও সাড়ে ১১টার মিন্টার মৃত্যু হয়। 

উথলী গ্রামে এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জীবননগরে দুই ভাইয়ের জীবন গেল ধারালো অস্ত্রের কোপে
  • চুয়াডাঙ্গায় দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা