বক্তাবলীর উন্নয়নে জামায়াত অগ্রণী ভূমিকা রাখবে : মাও. জব্বার
Published: 26th, July 2025 GMT
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আমীর ও ফতুল্লা সিদ্ধিরগঞ্জ উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার বলেছেন যে, জামায়াতে ইসলামী সব সময় জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে এবং জনগণের সমষ্টিগত চাহিদা পূরণের জন্য কর্মসূচি ঘোষণা এবং বাস্তবায়ন করছে।
তাই যেখানে সরকারি ব্যবস্থাপনা অপর্যাপ্ত ও মানুষের সক্ষমতার বাহিরে আছে সেখানে জামায়াতে ইসলামী তার সামর্থ্য অনুযায়ী জনকল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতে যদি জামায়াতে ইসলামী দেশ আর মানুষের সেবা করার সুযোগ পায় তাহলে সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি দলীয় ব্যবস্থাপনায় মানুষের কল্যাণের কর্মসূচি পালন করে যাবে।
তিনি আজ ২৬ জুলাই শনিবার সকালে বক্তাবলীর ব্রিজ, বক্তাবলি বাজারের খানা খন্দক পূর্ণ রাস্তা এবং লক্ষীনগর ও মধ্যনগর খালের উপর ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা পরিদর্শন কালে উপস্থিত এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে এই সকল কথা বলেন।
এ সময় তিনি বক্তাবলী বাজার ব্যবসায়ী কমিটির অফিসে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়, বক্তবালী ইউনিয়নের কেন্দ্র ভিত্তিক নির্বাচনী কমিটির দায়িত্বশীলদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান, লক্ষীনগর ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা ও ঈদগাহ মাঠে বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন এবং বক্তা বলি, গোপালনগর, লক্ষিনগর ও মধ্যনগর এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভায় বক্তব্য রাখেন।
এ সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য মোঃ জাকির হোসাইন,ফতুল্লা পশ্চিম থানা আমীর মাওলানা নুরুল ইসলাম, বক্তাবলি ইউনিয়ন আমীর আবু বক্কর সিদ্দিক, ইউনিয়নের সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন, আদর্শ শিক্ষক পরিষদ নারায়ণগঞ্জ এর নেতা আব্দুল করিম খান, সাইদুর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ইসল ম ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব