আগামীকাল ৭ আগস্ট থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনে শুরু হচ্ছে নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘তেল ছাড়া পরোটা’। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন কচি খন্দকার। প্রতি রবি থেকে বৃহস্পতিবার রাত আটটায় প্রচারিত হবে নাটকটি।
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, সমাজে বসবাসকারী দুই ধরনের মানুষ। একদল বিশ্বাস করে উন্নতির জন্য তেল বা তোষামোদের বিকল্প নেই। অন্য দলটি তোষামোদবিমুখ, নীতির জায়গায় অটল থেকে লড়ে যায় প্রতিকূলতার সঙ্গে। এই দুই বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিনিধিত্ব করে নাটকের দুটি পরিবার।
একটি পরিবার একসময় তিলের খাজার ব্যবসা করত। এখন তারা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ক্ষমতাবানদের তোষামোদ করে বিশাল ব্যবসা গড়ে তুলেছে। তাদের ব্যবসা শর্ষের তেল, নারকেল তেলের। এমনকি পেট্রলের ব্যবসাও আছে। তাদের কোম্পানির নাম তিলের খাজা অয়েল মিল কোম্পানি লিমিটেড। অন্যদিকে রয়েছে আরেক পরিবার, যারা সহজ-সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তোষামোদ নয়, তারা নিজেদের নীতিতেই বিশ্বাসী। এই দুই পরিবারের মধ্যকার সাংস্কৃতিক, নৈতিক ও সামাজিক সংঘাত নিয়েই এগোবে নাটকের কাহিনি।
‘তেল ছাড়া পরোটা’ নাটকের দৃশ্য.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন টক র পর ব র ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ সেলিমের ৩৫ ব্যাংক হিসাব ও ২৩ বিও হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁর ২৩টি বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশও দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন বুধবার রাতে এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে বলা হয়, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে–বিদেশে বিপুল পরিমাণ স্থাবর–অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। একই সঙ্গে দুদক শেখ সেলিমের ৩৫টি ব্যাংক হিসাব ও ২৩টি বিও হিসাব অবরুদ্ধ করার আবেদন করে। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁর এসব হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।
এর আগে গত বছরের ২৮ আগস্ট শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়। একই সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ও পুত্র-কন্যাদের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করা হয়। ব্যাংক হিসাব জব্দের এ তালিকায় থাকা বাকিরা হলেন শেখ সেলিমের স্ত্রী ফাতেমা সেলিম, তাঁর ছেলে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ফজলে ফাহিম ও শেখ ফজলে নাইম এবং মেয়ে শেখ আমিনা সুলতানা সনিয়া।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বুধবার ব্যাংক হিসাব স্থগিতের এ নির্দেশনা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠায়।
বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়, উল্লিখিত ব্যক্তি ও তাঁদের ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেই হিসাবের লেনদেন মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা এবং তাঁদের নামে কোনো লকার থাকলে তার ব্যবহার ৩০ দিনের জন্য বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ২০ আগস্ট শেখ সেলিম, তাঁর ছেলে ফজলে ফাহিমসহ পরিবারের সবার ব্যাংক হিসাব তলব করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ছাত্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর অনেক মন্ত্রী-এমপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করা হয়।