সেনাবাহিনী ও টার্কিস এয়ারলাইন্সের মধ্যে সমঝোতা সই
Published: 7th, August 2025 GMT
বাংলাদেশ ও তুরস্ক দুটি বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও টার্কিস এয়ারলাইন্সের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে একটি সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) সই অনুষ্ঠিত হয়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক ফেসবুক পোস্টে এ খবর জানিয়েছে।
আরো পড়ুন:
সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ দিলেন মির্জা ফখরুল
সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে: ডা.
এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিরত এবং অবসরপ্রাপ্ত সদস্যরা এখন থেকে বিভিন্ন সরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে ভ্রমণের ক্ষেত্রে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে তুলনামূলকভাবে সুলভ মূল্যে যাতায়াত করতে পারবেন।
এই চুক্তির মাধ্যমে একদিকে যেমন সেনা সদস্যদের যাতায়াত ব্যয় অনেকাংশে হ্রাস পাবে, তেমনি সরকারি অর্থেরও সাশ্রয় নিশ্চিত হবে। এছাড়া, চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যরা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন স্টার এলায়েন্স-এর সুবিধাসমূহ সাশ্রয়ী মূল্যে গ্রহণ করতে পারবেন।
এর ফলে, বিদেশে কর্তব্য পালনের সময় অভিযানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে গমনাগমনের ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
ঢাকা/হাসান/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদে নিজেদের অবদানের স্বীকৃতি দাবি সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিজেদের অবদান ও ভূমিকার কথা জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যরা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে আয়োজিত এক কর্মসূচি থেকে এই দাবি জানানো হয়।
‘সশস্ত্র বাহিনীর সকল পদবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্যবৃন্দ-ছাত্রজনতার ঐক্য সমাবেশ ও শোভাযাত্রা’ শীর্ষক এই কর্মসূচির আয়োজক ‘জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ’। রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে প্রথমে সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে শোভাযাত্রা বের করা হয়। রাওয়া কনভেনশন সেন্টার থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। জাহাঙ্গীর গেট ঘুরে রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে এসে শোভাযাত্রা শেষ হয়।
সমাবেশে অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট আহসান হাকিম বলেন, তাঁরা চান, জুলাই সনদে তাঁদের নাম থাকুক। এ সময় তিনি সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের জন্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানোর দাবি জানান।
অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট আবুল মনসুর বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। সে জন্য জুলাই সনদে তাঁদের অবদান তুলে ধরতে হবে।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর জামিল ডি আহসান বলেন, স্বাধীনতা পাওয়ার পর তা বিপন্ন হওয়ার পথে ছিল। ৫ আগস্ট তা আবার পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। আজকের দিনকে ঐতিহাসিক হিসেবে তাঁরা স্মরণ করছেন। তাঁরা দেশের জন্য আগেও ছিলেন, এখনো আছেন।
অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, দেশের সম্ভাব্য শত্রুদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানের অংশীদারত্ব নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। সরকারকে সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো. আহসানউল্লাহ বলেন, অনেক ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সবার সহযোগিতায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সংকট মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল শরীফ মো. এ হুসাইনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মনীশ দেওয়ান, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোশাররফ হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমিনুল করীম, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান প্রমুখ।