পক্ষাঘাতগ্রস্ত স্ত্রীকে মাটিতে পুঁতে ফেলার চেষ্টা, ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
Published: 9th, August 2025 GMT
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় পক্ষাঘাতগ্রস্ত শয্যাশায়ী স্ত্রীকে মাটিতে পুঁতে ফেলার চেষ্টা করেছেন স্বামী। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর কানিপাড়া বাজারসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর নাম খোশেদা বেগম (৭০)। অভিযুক্ত স্বামী মো.
ভিডিওতে দেখা যায়, খলিলুর রহমান স্ত্রীকে ঘর থেকে টেনে উঠানে নিয়ে যান। এর আগে তিনি উঠানের এক পাশে কোদাল দিয়ে ছোট গর্ত খুঁড়ে রাখেন। এরপর স্ত্রীকে ওই গর্তে শুইয়ে কোদাল দিয়ে মাটি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। অসুস্থ খোশেদা প্রাণপণ চিৎকার করছেন। স্বামী তাঁর মুখে থাপ্পড় দিচ্ছেন। আশপাশে কিছু মানুষ দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। একসময় নিজেই স্ত্রীকে ফেলে চলে যান। ভিডিওটি স্থানীয় এক ব্যক্তি ফেসবুকে পোস্ট করেন, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, খোশেদা বেগম ছয় বছর ধরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত। স্বামী চিকিৎসা করিয়েছিলেন, তবে কোনো ফল হয়নি। দীর্ঘদিনের সেবাযত্নে ক্লান্ত হয়ে খলিলুর রহমান এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে তাঁদের ধারণা। চিকিৎসা ও ওষুধের খরচ জোগাতে কষ্টে জীবন–যাপন করছিলেন তাঁরা।
প্রতিবেশী সুজন মিয়া বলেন, গতকালই খলিলুর রহমান স্ত্রীর জন্য একটি চেয়ার ও কমোড কিনে এনেছিলেন। স্ত্রী চোখে ভালো দেখেন না, কথা না শোনায় আজকের ঘটনাটি ঘটেছে। নাতির ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করায় বিষয়টি সবার নজরে এসেছে।
মো. খলিলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার জাহিদ বলেন, ‘ভিডিও দেখার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান হয়েছে বলে শুনেছি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।