গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিতের দাবি এমএসএফের
Published: 9th, August 2025 GMT
গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। পাশাপাশি ঘটনাস্থলের সাক্ষীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানিয়েছে এমএসএফ। এতে পূর্বশত্রুতার জেরে ও পেশাগত দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নিন্দা, ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এমএসএফ বলেছে, এভাবে একজন সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা শুধু অনাকাঙ্ক্ষিতই নয়, বরং সৎ সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।
সংবাদ সূত্রের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৭ আগস্ট রাত সাড়ে আটটার দিকে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় পাঁচ–ছয়জন দুর্বৃত্ত দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। এ সময় তিনি দৌড়ে ঈদগাহ মার্কেটের একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন। দুর্বৃত্তরা তাঁকে দোকানের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে তাঁর মৃত্যু হলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুনগাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় আরও তিনজন গ্রেপ্তার৬ ঘণ্টা আগেএকজন সাংবাদিককে এভাবে হত্যা করা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি অশনিসংকেত বলে মনে করে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামালের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বক্তব্যে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার কথা ব্যক্ত করা হয়ে থাকে। সরকার দেশের সব নাগরিকের মতো সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন বাধাগ্রস্ত করা, ভয় দেখানো এবং চিরতরে তাদের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার একটি ভয়ংকর অপতৎপরতার উদাহরণ হচ্ছে এই ঘটনা। সাংবাদিকদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রতিটি সরকারের অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচিত হওয়া বলে মনে করে এমএসএফ।
আরও পড়ুনগাজীপুরে সাংবাদিক হত্যায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত করছে পুলিশ ৯ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রক শ
এছাড়াও পড়ুন:
‘মোটা জেনারেলদের’ কড়া সমালোচনা করলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা হেগসেথ
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ‘মোটা জেনারেল’ এবং বৈচিত্র্য আনার উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এর ফলে কয়েক দশক ধরে সামরিক বাহিনীর অধঃপতন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কমান্ডারদের এক বিরল সমাবেশে তিনি বলেন, যাঁরা তাঁর কর্মসূচিকে সমর্থন করেন না, তাঁদের পদত্যাগ করা উচিত।
হেগসেথের সঙ্গে মার্কিন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সমাবেশে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনিও ভার্জিনিয়ার কোয়ান্টিকোতে সমবেত অ্যাডমিরাল এবং জেনারেলদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি মার্কিন শহরগুলোতে সেনা মোতায়েনকে ‘আমাদের সামরিক বাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র’ হিসেবে ব্যবহার করার ধারণা দেন।
ফক্স নিউজের সাবেক গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হেগসেথ এবং সাবেক রিয়েলিটি টিভি তারকা ট্রাম্পের এ মন্তব্য একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানের মতো মনে হয়েছে। কারণ, গত সপ্তাহে হঠাৎই এই সমাবেশের জন্য মার্কিন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের তলব করা হয়েছিল।
হেগসেথ অনুষ্ঠান শুরু করে বলেন, ‘নির্বোধ ও বেপরোয়া রাজনৈতিক নেতারা ভুল পথে পরিচালনা করায় আমরা পথ হারিয়ে ফেলেছি। আমরা ‘ওউক ডিপার্টমেন্ট’ (অতিমাত্রায় প্রগতিশীল বিভাগ) হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আর নয়।’
সারা বিশ্ব থেকে উড়ে আসা শীর্ষ কর্মকর্তায় ভরা মিলনায়তনে ভাষণ দেওয়ার সময় হেগসেথ তাঁর মাধ্যমে ফ্ল্যাগ কর্মকর্তাদের যাঁরা বরখাস্ত হয়েছেন, সেই সেটিকে সমর্থন করেন। বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন একজন কৃষ্ণাঙ্গ শীর্ষ মার্কিন জেনারেল এবং নৌবাহিনীর শীর্ষ অ্যাডমিরাল, যিনি একজন নারী। তিনি বলেন, যেসব কর্মকর্তাকে তিনি অব্যাহতি দিয়েছেন, তাঁরা একটি ভেঙে পড়া সংস্কৃতির অংশ ছিলেন।
হেগসেথ পেন্টাগন যেভাবে বৈষম্যের অভিযোগ ও অন্যায়ের তদন্ত পরিচালনা করছে, তাতে ব্যাপক পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, বর্তমান ব্যবস্থায় শীর্ষ কর্মকর্তাদের ‘ডিমের খোসার ওপর দিয়ে হাঁটার মতো’ সতর্ক থাকতে হয়।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথের ডাকে সমাবেশে যোগ দেওয়া মার্কিন শীর্ষ জেনারেলরা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ভার্জিনিয়া