ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গাজীপুরে পানিতে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রাইজিংবিডির প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জেলার নাসিরনগরে নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার গোয়লনগর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কদমতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- কদমতলী গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে মাসুমা তাবাসুম (৬) ও জুনাইদ আহমদ এর মেয়ে তানিশা মনি (৫)।

আরো পড়ুন:

ধলাই নদে বাল্কহেড ডুবি: নিখোঁজ দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার

পুকুরে ডুবে নিখোঁজ, ১৩ ঘণ্টা পরে মিলল লাশ

পরিবার সদস্য ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে দুই শিশু বাড়ির পাশে খেলা করছিল। হঠাৎ তাদের দেখতে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। তবে পায়নি। পরে বাড়ির পাশে নদীতে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়।

গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.

আজহারুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘‘পানিতে ডুবে দুই শিশু মারা যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

গাজীপুর: জেলার শ্রীপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের সাটিয়া বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সাটিয়া বাড়ি গ্রামের শাহজাহান শিকদারের ছেলে রায়হান (১০) ও একই গ্রামের রজ্জব আলীর ছেলে মাহিম (৯)।

রাজাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য মনিরা পারভিন বলেন, ‘‘শনিবার বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে বসে খেলা করছিল রায়হান ও মাহিম। হঠাৎ তারা পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয়। দীর্ঘ সময় তাদের দেখতে না পেয়ে স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি করে। পরে পুকুর থেকে রায়হান ও মাহিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’’

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সুরুজ্জামান বলেন, ‘‘পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।’’

ঢাকা/পলাশ/রফিক/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মেঘনা গ্রুপের কর্মকর্তাসহ দুজন নিহত

নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী ও কবিরহাট উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মেঘনা গ্রুপের এক কর্মকর্তাসহ দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।

পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনায় নিহত দুই ব্যক্তি হলেন মেঘনা গ্রুপের (ফ্রেশ) আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক গোলাম ছারওয়ার (৪৫)। তিনি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার আবদুস সাত্তার মণ্ডলের ছেলে। নিহত অপরজন হলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিরাহিমপুর গ্রামের বাসিন্দা বেলাল হায়দার (৫২)।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল ৯টার দিকে শহরের পশ্চিম মাইজদী এলাকায় মাইজদী-রাজগঞ্জ-ছয়ানী সড়কের নাহার কটেজের মোড়ে মোটরসাইকেল আরোহী মেঘনা গ্রুপের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক গোলাম ছারওয়ারকে পেছন থেকে চাপা দেয় একটি পণ্যবাহী গাড়ি। এ সময় তিনি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে ওই গাড়ির পেছনের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরে সুধারাম থানার পুলিশ গিয়ে নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে এবং গাড়িটি আটক করে।

সুধারাম থানার উপরিদর্শক (এসআই) লন্ডন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সড়কের মোড় ঘুরতে গিয়ে সম্ভবত পণ্যবাহী গাড়িটি মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়েছে। এতে মোটরসাইকেল থেকে আরোহী গোলাম ছারওয়ার ছিটকে গাড়ির পেছনের চাকার নিচে পড়ে যান। গাড়িটি আটক করা হয়েছে। চালক পালিয়ে গেছেন। নিহত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

অপর দিকে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কবিরহাটের গ্রামের বাড়ি থেকে কিডনি ডায়ালাইসিস করানোর জন্য জেলা শহরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে যাচ্ছিলেন বেলাল হায়দার (৫২) নামের এক ব্যক্তি। পথে সুন্দলপুর ইউনিয়নের হাতাইল্লা পোল নামের স্থানে বিপরীত দিক হতে আসা একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে বেলালকে বহনকারী অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারের পর বেলাল হায়দারকে জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত হন বেলালের স্ত্রী, অটোরিকশার চালক, প্রাইভেট কারের চালক, আরোহীসহ কমপক্ষে আরও পাঁচজন। তাঁরা জেলা শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন মিয়া দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে কবিরহাট থানার পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। নিহত ব্যক্তির লাশ পরিবার বাড়িতে নিয়ে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ